ভারতীয় বাংলা টিভি সিরিয়াল নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতার তোপ
Published: 25th, July 2025 GMT
ভারতীয় বাংলা টিভি সিরিয়াল নিয়ে তোপ দাগলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। তার দাবি—এসব সিরিয়ালের গল্প সমাজে ভয়ংকর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। মহানায়ক উত্তম কুমারের স্মৃতিতে আয়োজিত সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে এসব কথা বরেন তিনি।
মমতা ব্যানার্জি বলেন, “সিরিয়াল যারা করেন তাদের বলব, এখন সারাক্ষণ দেখছি, এ ওকে বিষ দিচ্ছে, ও একে বিষ দিচ্ছে। একটা পরিবারে তিনজন ঝগড়া করছে। একটা কেন্দ্রীয় চরিত্র, দুটি ঝগড়াটে চরিত্র। আর বাজে বাজে জিনিসগুলো শেখানো হচ্ছে। এতে সমাজের বাচ্চারা ভুল করছে। অনেকে আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছে।”
টিভি সিরিয়ালের মালিকদের দৃষ্টিআকর্ষণ করে মমতা বলেন, “টিভি সিরিয়ালের মালিকদের বলব, এটা লীনাদিদের (লীনা গাঙ্গুলি) হাতে নেই, যারা মালিক তাদের হাতে আছে, দয়া করে খারাপ কিছু শেখাবেন না। আর সিরিয়াল বাড়াতে হবে বলে, রোজ গুন্ডামি! ভালো জিনিস দিয়ে বাড়ান। কত-কত সুন্দর বিষয় আছে। হাসি-খুশি-মজা-সামাজিক গল্প, এগুলো দেখান। যে গল্প আমার সংস্কৃতিকে ভালোবাসে, যে গল্প মানুষের বিবেককে জাগ্রত করে, আবেগকে জাগ্রত করে, সেগুলো দেখান।”
আরো পড়ুন:
উত্তরায় শুটিং হাউজ বন্ধের নোটিশ, নির্মাতা-শিল্পীদের প্রতিবাদ
রাজস্থানের ফটোশুটে বর জয়, কনে জেরিন
বাংলা সিরিয়ালে বাংলা গান ব্যবহার নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “সিরিয়ালে এখন বাংলা গান কোথায়? এরা ভাবে শুধু ঝিকঝাক দুমদাম গান দিয়ে দিলেই হয়ে গেল। আরে বাজান না, কিন্তু ওরা তো একটা জায়গায় বাজায়। তাদের জন্য একটা প্ল্যাটফর্ম আছে তো! বলিউড তো পুরোটাই তাদের জন্যে। দক্ষিণ ভারতও বেশ জনপ্রিয়। কিন্তু টলিউডে তো আপনারা বাংলা গানটা বেশি করে দেবেন। লীনাদি (লীনা গাঙ্গুলি) দেয়, আমি জানি। কিন্তু সবাইকেই এটা নিয়ে ভাবতে হবে।”
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
নির্বাচনের দিন অমোচনীয় কালি সরবরাহ না হলে ভোট গ্রহণ বন্ধ থাকবে: ছাত্রদল
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনে অমোচনীয় কালি সরবরাহ না করলে ভোট গ্রহণ বন্ধ থাকবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের নেতারা। এ ছাড়া এমফিল কোর্সে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের ভোটার ও প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা না দিয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে ছাত্রদলকে ভোট প্রক্রিয়া থেকে বাদ দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন তাঁরা।
রোববার উপাচার্যের সভাকক্ষে রাজনৈতিক ও সক্রিয় সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত জকসু ও হল সংসদ নির্বাচন ২০২৫–এর আচরণবিধিবিষয়ক এক মতবিনিময় সভায় ছাত্রদলের নেতারা এমন মন্তব্য করেন।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সদস্যসচিব শামসুল আরেফিন বলেন, ‘নির্বাচনে যদি কোনো ধরনের অনিয়মের ঘটনা ঘটে, তাহলে আমরা একচুল ছাড় দেব না। আমি প্রতিজ্ঞা করছি, যদি কোনো ধরনের অনিয়ম হয়— কোনো ছাড় হবে না। নির্বাচনের সময় অমোচনীয় কালি ব্যবহার করতে হবে। যদি নির্বাচন কমিশন অমোচনীয় কালি ব্যবহার করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে ভোট গ্রহণ বন্ধ থাকবে।’
ভোটের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে ‘ম্যানুয়ালি’ ভোট গণনার দাবি জানিয়ে শামসুল আরেফিন বলেন, ‘কত ব্যালট ছাপানো হলো, কত ভোট গণনা হলো, কত ব্যালট নষ্ট হলো—এসব তথ্য স্বচ্ছতার সঙ্গে প্রকাশ করতে হবে। কারণ, আমরা ডাকসুতে ব্যালট কেলেঙ্কারির অভিযোগ সম্পর্কে জানি।’
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান অভিযোগ করেন, কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ বিধিমালায় এমফিল শিক্ষার্থীদের ভোটার ও প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা না দিয়ে ছাত্রদলকে ‘মাইনাস’ করার একটি মাস্টারপ্ল্যান করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘জকসু গঠন ও পরিচালনা বিধিমালায় বলা হয়েছে, তফসিল ঘোষণার পর নিয়মিত শিক্ষার্থী ভোটার কিংবা প্রার্থী ছাড়া কেউ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে পারবে না। অন্যদিকে এমফিল শিক্ষার্থীদের ভোটার ও প্রার্থীর যোগ্যতা না দিয়ে আমাদের মাইনাস করা ছিল মাস্টারপ্ল্যান—আর সেই মাস্টারপ্ল্যান সফল হয়েছে।’
প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মোস্তফা হাসানের সভাপতিত্বে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য রেজাউল করিম, প্রক্টর, সিন্ডিকেটের সদস্য, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ ও হল শিক্ষার্থী সংসদ নির্বাচন ২০২৫-এর নির্বাচন কমিশনার এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে সক্রিয় বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা।