১৮তম জাতীয় উশু প্রতিযোগিতা-২০২৫ শেষ হয়েছে। এবারের আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। ১৬টি স্বর্ণপদক জিতে তারা চ্যাম্পিয়নশিপ জিতে নেয়।

অন্যদিকে, উশুতে ১৬ বছরের রাজত্ব হারিয়েছে আনসার ও ভিডিপি। দীর্ঘদিনের অহংকার উশুর শিরোপা হারিয়ে, সাতটি স্বর্ণ জিতে প্রথম রানারআপ হিসেবে এবারের জাতীয় উশু প্রতিযোগিতা শেষ করেছে সার্ভিস দলটি। তিনটি স্বর্ণপদক নিয়ে দ্বিতীয় রানারআপ হয়েছে দিনাজপুর জেলা এবং একটি স্বর্ণপদক জিতে চতুর্থ স্থান লাভ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

রাজধানীর মিরপুরে অবস্থিত শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামে ১৮তম জাতীয় উশু প্রতিযোগিতায় বিভিন্ন শ্রেণির বিজয়ীদের মাঝে পুরষ্কার বিতরণের মাধ্যমে এ প্রতিযোগিতার সমাপ্তি হয় গতকাল রবিবার (২৭ জুলাই)। পুরষ্কার বিতরণ ও সমাপনীর প্রধান অতিথি হিসেবে চীনা দূতাবাসের সম্মানিত কালচারাল কাউন্সিলর লী শাওপেং উপস্থিত থেকে বিজয়ীদের মাঝে পুরষ্কার বিতরণ করেন।

অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ উশু ফেডারেশনের সভাপতি মেজর জেনারেল আ স ম রিদওয়ানুর রহমান, এডব্লিউসি, এএফডব্লিউসি, পিএসসি, জি। আরও উপস্থিত ছিলেন উশুর প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক দিলদার হাসান দিলুসহ ফেডারেশন ও অন্যান সংস্থার কর্মকর্তাবৃন্দ।

এবারের প্রতিযোগিতায় সেনাবাহিনী, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ, পুলিশ, আনসার এবং বিকেএসপিসহ মোট ২৮টি দলের প্রায় ৪১৮ জন ক্রীড়াবিদ, কোচ ও কর্মকর্তা অংশ নিয়েছেন। পুরুষ ও নারী মিলিয়ে এবার ছিল মোট ২৭টি স্বর্ণপদক ইভেন্ট। এরমধ্যে সান্দা ফাইটে ছিল ১৯টি এবং তাওলুতে ৮টি ইভেন্ট। প্রতিযোগিতার শেষে বিভিন্ন শ্রেণিতে সর্বমোট ১০৮টি পদক (স্বর্ণ, রৌপ্য ও তাম্র) প্রদান করা হয়।

বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে প্রতিটি স্বর্ণপদক বিজয়ীকে এওয়ার্ড স্পন্সর প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের সৌজন্যে আকর্ষণীয় ইলেকট্রনিক পণ্য উপহার দেওয়া হয়। দলীয় চ্যাম্পিয়নদের হাতে তুলে দেয়া হয় ট্রফি। এছাড়াও সকল প্রতিযোগীকে টি-শার্ট ও সনদপত্র প্রদান করা হয়।

এর আগে, গত ২৩ জুলাই (মঙ্গলবার), উক্ত ১৮তম জাতীয় উশু প্রতিযোগিতার খেলাসমূহ শুরু হয় এবং বৃহস্পতিবার শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করা হয়। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব আমিনুল ইসলাম, এনডিসি, প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে উশুর অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ এ আয়োজনের উদ্বোধন করেন।

উল্লেখ্য, জাতীয় প্রতিযোগিতা শেষে স্বর্ণ ও রৌপ্যপদক জয়ীদের প্রাধান্য দিয়ে আগামী ১লা আগস্ট থেকে মিরপুর ক্রীড়া পল্লীতে একটি আবাসিক প্রশিক্ষণ ক্যাম্প শুরু হবে। মূলত ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার জন্য নতুন প্রতিভাবান খেলোয়াড় খুঁজে নিতে চায় বাংলাদেশ উশু ফেডারেশন।

ঢাকা/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স বর ণ

এছাড়াও পড়ুন:

টিকতে হলে তথ্যপ্রযুক্তি ও কারিগরি শিক্ষার উন্নয়নের বিকল্প নেই: প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা

তত্ত্বীয় শিক্ষার পাশাপাশি কারিগরি শিক্ষায় গুরুত্ব দিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার। তিনি বলেছেন, দক্ষ মানবসম্পদ গড়তে যুগোপযোগী পাঠ্যক্রম, পাঠদান ও যথাযথ মূল্যায়ন গুরুত্বপূর্ণ।

উপদেষ্টা বিধান রঞ্জন রায় আরও বলেন, আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থায় সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ হলো তথ্যপ্রযুক্তি। উন্নত বিশ্বের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকতে হলে তথ্যপ্রযুক্তি ও কারিগরি শিক্ষার উন্নয়নের বিকল্প নেই।

আজ শনিবার রাজধানীর সেনা প্রাঙ্গণে ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিকের (ইউএপি) ১১তম সমাবর্তনে এ কথা বলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা।

উপদেষ্টা বিধান রঞ্জন রায় বলেন, শিক্ষার ধারণা ও পদ্ধতি প্রতিনিয়ত পরিবর্তন হচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে শিক্ষাব্যবস্থায় নতুন সময়ের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া জরুরি। এ যুগে গতানুগতিক শিক্ষার পাশাপাশি তথ্যপ্রযুক্তি ও কারিগরি জ্ঞানসম্পন্ন জনশক্তি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই শিক্ষাপদ্ধতিতে আধুনিক ও যুগোপযোগী পাঠদান নিশ্চিত করতে হবে।

শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়নে গবেষণার বিকল্প নেই। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গবেষণার প্রতি অধিক মনোযোগ দিতে হবে বলেও মন্তব্য করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ‘আমি চাই, আমাদের শিক্ষার্থীরা কুসংস্কার, অজ্ঞতা আর অসমতার বিরুদ্ধে যুক্তি, মানবিকতা ও প্রজ্ঞার আলো হাতে নিয়ে দাঁড়াক।’

অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতীয় সংগীত গাওয়া হয়। এরপর রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহত ব্যক্তিদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

সমাবর্তনে স্নাতকদের উদ্দেশে ভিডিও বার্তায় শুভেচ্ছা জানান মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ। তিনি ইউএপির প্রকৌশল, আইন, ফার্মেসি ও মানবিক শাখার অগ্রগতিতে মালয়েশিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির অংশীদারত্বকে ‘অত্যন্ত ইতিবাচক’ বলে উল্লেখ করেন।

সমাবর্তনে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন ইউএপির রেজিস্ট্রার নজরুল ইসলাম। স্বাগত বক্তব্য দেন স্কুল অব ফার্মেসির ডিন মহিউদ্দিন আহমেদ, বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারপারসন মাহবুবা হক নবী ও উপাচার্য কামরুল আহসান। সমাবর্তন বক্তা ছিলেন উল্কাসেমি প্রাইভেট লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রেসিডেন্ট এনায়েতুর রহমান।

এবারের সমাবর্তনে তিনজন শিক্ষার্থী আচার্য স্বর্ণপদক ও ১৫ জন উপাচার্য স্বর্ণপদক পেয়েছেন। সমাবর্তনে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর মিলিয়ে ১ হাজার ৯৭৫ জন শিক্ষার্থীকে সনদ দেওয়া হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • টিকতে হলে তথ্যপ্রযুক্তি ও কারিগরি শিক্ষার উন্নয়নের বিকল্প নেই: প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা