ওয়েস্ট ইন্ডিজকে আবারও হতাশায় ডুবিয়ে এগিয়ে গেল পাকিস্তান
Published: 1st, August 2025 GMT
নিজেদের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার কাছে বারবার হেরে হতাশ ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবার ভিন্ন দেশে, ভিন্ন প্রতিপক্ষের বিপক্ষেও ঘুরে দাঁড়াতে পারল না। যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে ১৪ রানে জয় তুলে নিয়ে ক্যারিবিয়ানদের জয়হীন ধারা অব্যাহত রাখল পাকিস্তান।
লডারহিলের সেন্ট্রাল ব্রোয়ার্ড রিজিওনাল পার্ক স্টেডিয়ামে টস জিতে পাকিস্তানকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তবে সেই সিদ্ধান্ত ব্যুমেরাং হয়ে ফেরে হোপের দলের ঘাড়ে। প্রথমে সাইম আইয়ুবের ব্যাটে ঝড়, পরে বল হাতে মোহাম্মদ নেওয়াজের নিখুঁত স্পিন; সব মিলিয়ে জমজমাট শুরু পেয়ে গেল পাকিস্তান।
পাওয়ার প্লে’তে পাকিস্তান পড়ে প্রথম ধাক্কায়। সাহিবজাদা ফারহানকে এলবিডব্লুর ফাঁদে ফেলেন শামার জোসেফ। কিন্তু এরপর সাইম আইয়ুব এবং অভিজ্ঞ ফখর জামান গড়ে তোলেন ৮১ রানের গুরুত্বপূর্ণ জুটি। সাইমের ব্যাট থেকে আসে ৫৮ রানের দুর্দান্ত ইনিংস, যা তার টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ফিফটি। শেষদিকে সালমান আগা, ফাহিম আশরাফ ও হাসান নওয়াজদের ছোট ছোট কার্যকর ইনিংসের কল্যাণে স্কোরবোর্ডে ১৭৮ রানের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেয় পাকিস্তান।
আরো পড়ুন:
পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি সম্পন্নের ঘোষণা ট্রাম্পের
‘পরীক্ষা-নিরীক্ষা’ পছন্দ হয়নি মিনহাজুলের
জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে দারুণ শুরু এনে দেন জনসন চার্লস ও অভিষিক্ত জুয়েল অ্যান্ড্রু। উদ্বোধনী জুটিতে তারা তোলে ৭২ রান। কিন্তু সেটা করতে খরচ করেন ৬৭ বল, যা টি-টোয়েন্টিতে ছন্দ হারানোর ইঙ্গিতই দেয়। এরপর দ্রুত উইকেট হারিয়ে ৭ উইকেটে ১১০ রানে দাঁড়িয়ে যায় ক্যারিবিয়ানরা। শেষদিকে জেসন হোল্ডার ও শামার জোসেফ মিলে ঝড় তুলে ৫৪ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়লেও ম্যাচ থেকে আর ফিরে আসা সম্ভব হয়নি।
পাকিস্তানের হয়ে মোহাম্মদ নেওয়াজ নেন ৩টি উইকেট, সাইম আইয়ুব ২টি। ব্যাটে-বলে অলরাউন্ড পারফরম্যান্সের জন্য ম্যাচসেরা নির্বাচিত হন সাইম আইয়ুব।
এ জয়ের ফলে তিন ম্যাচের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে পাকিস্তান। সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে একই ভেন্যুতে, বাংলাদেশ সময় রোববার সকালে।
সংক্ষেপে স্কোরকার্ড:
পাকিস্তান– ১৭৮/৬ (আইয়ুব ৫৮, ফখর ২৮; শামার ৩/৩০)
ওয়েস্ট ইন্ডিজ– ১৬৪/৭ (অ্যান্ড্রু ৩৫, হোল্ডার ৩০\*; নেওয়াজ ৩/২৩, আইয়ুব ২/২০)
ফল: পাকিস্তান ১৪ রানে জয়ী
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: সাইম আইয়ুব
সিরিজ অবস্থা: পাকিস্তান ১–০ এগিয়ে।
ঢাকা/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উইন ড জ ক র ক ট
এছাড়াও পড়ুন:
যে জীবন মানুষের উপকারে আসে না, সে জীবন সার্থক নয়: ববিতা
চিরসবুজ অভিনেত্রী ফরিদা আক্তার ববিতা। ১৯৫৩ সালের ৩০ জুলাই বাগেরহাটে জন্মগ্রহণ করেন। আজ ৭১ বছর পূর্ণ করলেন সত্তরের দশকের অন্যতম সেরা এই অভিনেত্রী। জন্মদিন উপলক্ষে গত বছর একটি সাক্ষাৎকার দেন ববিতা। এ আলাপচারিতায় জীবনবোধ নিয়ে কথা বলেন এই শিল্পী।
জীবন নিয়ে ববিতা বলেন, “যে জীবন মানুষের কোনো উপকারে আসে না, সে জীবন সার্থক নয়। মরে গেলে আমার ছেলে অনিক আমাকে অনেক মিস করবে। একমাত্র ছেলে তো, ওর কথা খুব ভাবি। ভক্তরা আমাকে কতটুকু মনে রাখবেন, জানি না।”
একটি ঘটনা উল্লেখ করে ববিতা বলেন, “এই জীবনে একটা জিনিস খুব ভালো লেগেছে। অনেক শিল্পীকে তা দেওয়া হয়নি, হোক তা ভারতে কিংবা বাংলাদেশ। ২০২৩ সালে আমাকে যুক্তরাষ্ট্রের ডালাসের মেয়র আজীবন সম্মাননা দিয়েছেন। সেদিন আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ সম্মান দিয়েছেন, ৬ আগস্টকে ‘ববিতা ডে’ ঘোষণা করেছেন। তার মানে আমি বেঁচে না থাকলেও দিনটা উদযাপিত হবে। এটা আমার ভীষণ ভালো লেগেছে।”
আরো পড়ুন:
বধূবেশে অভিষেক কন্যা
জসীম পুত্রের মৃত্যু: ভাই রাহুলের আবেগঘন পোস্ট
মৃত্যুর কথা স্মরণ করে ববিতা বলেন, “তবে কবরে একা থাকার কথা ভাবলে হঠাৎ কেমন যেন লাগে। আরেকটা বিষয়, আমি অনেক দিন বেঁচে থাকতে চাই না। অসুখ–বিসুখে কষ্ট পেয়ে, বিছানায় পড়ে বাঁচতে চাই না। আমি কারো বোঝা হয়ে বাঁচতে চাই না।”
কারণ ব্যাখ্যা করে ববিতা বলেন, “চারপাশে অনেক আত্মীয়স্বজনকে দেখেছি, দিনের পর দিন বিছানায় অসুস্থ হয়ে কষ্ট পেয়েছেন। যারা একা থাকেন, তাদের জন্য এই কষ্ট যেন আরো বেশি। তাই সব সময় এটা ভাবি, কখনোই যেন অন্যের বোঝা না হই।”
সিনেমায় অভিনয়ের ইচ্ছা ববিতার কখনো ছিল না। পরিচালক জহির রায়হানের ‘সংসার’ সিনেমায় অভিনয়ের প্রস্তাব পেলেও প্রথমে রাজি হননি। পরে মা আর বোনের পীড়াপীড়িতে অভিনয় করেন। তখন তিনি ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়েন। মুক্তির পর সিনেমাটি সুপারফ্লপ হয়।
পরিচালক জহির রায়হান আবারো ‘জ্বলতে সুরজ কে নিচে’ উর্দু সিনেমার নায়িকা চরিত্রে অভিনয় করতে বললে প্রথমে রাজি হননি ববিতা। তখন বয়স মাত্র ১৪। কিন্তু সিনেমার বেশির ভাগ শুটিং হওয়ার পরও শিল্পীদের শিডিউল মেলাতে না পারায় সিনেমাটি আর শেষ করা হয় না।
এরপর জহির রায়হান ববিতাকে নিয়ে বাংলা সিনেমা বানান। মুক্তির পর সিনেমাটি সুপারহিট হয়। অভিনয় করার ইচ্ছা না থাকলেও সিনেমা হিট হওয়ায় আবারো ক্যামেরার সামনে দাঁড়ান তিনি। এরপর ‘স্বরলিপি’, ‘পিচঢালা পথ’, ‘টাকা আনা পাই’ সিনেমায় জুটি বাঁধেন রাজ্জাক-ববিতা। প্রতিটি সিনেমাই সুপারহিট।
ঢাকা/শান্ত