বুলাওয়েতে শুরুটা যেমন প্রত্যাশিত ছিল, শেষটাও তেমনি অবধারিত। তবে সময়টা আরও দ্রুত। হাতে ছিল তিন দিনের বেশি সময়, লক্ষ্য ছিল মাত্র ৮ রান। আর নিউ জিল্যান্ডের হাতে ছিল ১০ উইকেট। এত সুবিধাজনক অবস্থায় জয়ের জন্য যা দরকার, কিউইরা সেটাই করল। অপেক্ষাকৃত বিনা বাধায় জিম্বাবুয়েকে উড়িয়ে দিয়ে মাত্র তিন দিনেই টেস্ট শেষ করল তারা।

সিরিজের প্রথম টেস্টে আজ শুক্রবার (০১ আগস্ট) জিম্বাবুয়েকে ৯ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়ে দুই ম্যাচের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে নিউ জিল্যান্ড। বুলাওয়ের কুইন্স স্পোর্টস ক্লাবে অনুষ্ঠিত এই টেস্টে আধিপত্যের সবটুকুই দেখিয়েছে সফরকারীরা। ম্যাচের নায়ক ছিলেন ম্যাট হেনরি, যিনি এক ইনিংসে ৬ উইকেট ও ম্যাচে মোট ৯ উইকেট শিকার করে হয়েছেন ম্যাচসেরা।

প্রথম ইনিংসে জিম্বাবুয়ে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ১৪৯ রানেই গুটিয়ে যায়। অধিনায়ক ক্রেগ আরভিন করেন সর্বোচ্চ ৩৯ রান। হেনরির বলের গতি আর সুইং সামলাতে না পেরে একে একে সাজঘরে ফেরে বাকিরা। হেনরি ১৫.

৩ ওভারে ৩৯ রানে তুলে নেন ৬ উইকেট। তার সঙ্গে নাথান স্মিথ নেন আরও ৩ উইকেট।

আরো পড়ুন:

ভারত সফরে ধোনি-কোহলিদের সঙ্গে ক্রিকেট খেলবেন মেসি

দুর্দান্ত জয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল

জবাবে নিউ জিল্যান্ড ব্যাটিংয়ে নেমে তেমন ঝড়ো কিছু না হলেও তারা তোলে ৩০৭ রান। ইনিংসের সর্বোচ্চ ৮৮ রান আসে ডেভন কনওয়ের ব্যাট থেকে। আর ড্যারিল মিচেল করেন ৮০ রান। বল হাতে জিম্বাবুয়ের পক্ষে ৩ উইকেট নেন ব্লেসিং মুজারাবানি।

তৃতীয় দিনের শুরুতেই ২ উইকেটে ৩১ রান নিয়ে ব্যাট করতে নামে জিম্বাবুয়ে। তবে সেই শুরুটাই যেন শেষের ইঙ্গিত দেয়। উইলিয়াম ও’রুর্কের পেসে নিক ওয়েলচ ও মাসেকেসা দ্রুত ফিরে গেলে জিম্বাবুয়ে পড়ে যায় চাপে। এরপর কিছুটা প্রতিরোধ গড়েছিলেন আরভিন ও শন উইলিয়ামস। কিন্তু তাদের ৫৭ রানের জুটি ভাঙতেই আবার ভেঙে পড়ে গোটা ব্যাটিং লাইনআপ। শেষ পর্যন্ত ১৬৫ রানেই থামে তাদের দ্বিতীয় ইনিংস। হারায় শেষ ৬ উইকেট মাত্র ৫৫ রানে। সর্বোচ্চ ৪৯ রান করেন উইলিয়ামস। মিচেল স্যান্টনার ৪ উইকেট, হেনরি ও ও’রুর্ক ৩টি করে উইকেট নেন।

জয়ের জন্য নিউ জিল্যান্ডের লক্ষ্য দাঁড়ায় মাত্র ৮ রান। ইনিংস শুরুতেই কনওয়ে একটি চার মারলেও পরের বলেই বোল্ড হন। তবে হেনরি নিকোলস এসে দ্বিতীয় ওভারের দ্বিতীয় বলেই বাউন্ডারি হাঁকিয়ে নিউ জিল্যান্ডকে এনে দেন সহজ এক জয়।

এই জয়ে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল নিউ জিল্যান্ড। জিম্বাবুয়ের কাছে এখন বাঁচা-মরার লড়াই দ্বিতীয় টেস্টে। সেটি শুরু হবে আবার বুলাওয়েতেই, আগামী ৭ আগস্ট। ৩৩ বছরের অপেক্ষা ঘোচাতে হলে, এই ম্যাচে ঘুরে দাঁড়াতেই হবে স্বাগতিকদের।

ঢাকা/আমিনুল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিসিএস পরীক্ষার্থীদের জন্য বাস সার্ভিস চালু

৪৭তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষার্থীদের জন্য ফ্রি বাস সার্ভিস চালুর উদ্যোগ নিয়েছে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (মাভাবিপ্রবি) শাখা ছাত্রদল। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে ঢাকা ও ময়মনসিংহের পরীক্ষা কেন্দ্রে শিক্ষার্থীদের নির্বিঘ্নে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এ বিশেষ যাতায়াত সুবিধার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাতে শাখা ছাত্রদলের কর্মী নাফিস ইকবাল পিয়াল বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ফেসবুক গ্রুপে এ তথ্য জানিয়ে পোস্ট দেন। একইসঙ্গে শাখা সভাপতি সাগর নাইম ও সাধারণ সম্পাদক সাজিদ ইসলাম দীপুও তাদের ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে পোস্ট দিয়ে পরীক্ষার্থীদের এ সুবিধা গ্রহণের আহ্বান জানান।

আরো পড়ুন:

ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচনী রোডম্যাপের দাবিতে মানববন্ধন

বিশ্ববিদ্যালয় জ্ঞান অর্জন ও বিতরণের জায়গা: ইউজিসি চেয়ারম্যান

ছাত্রদল জানিয়েছে, ক্যাম্পাস থেকে দুটি বাস ছাড়বে। একটি ঢাকা রুটে এবং অপরটি ময়মনসিংহ রুটে যাবে। প্রতিটি বাসে ৫০ জন করে মোট ১০০ জন শিক্ষার্থী এই ফ্রি সার্ভিসের আওতায় যাতায়াত করতে পারবেন। এজন্য শিক্ষার্থীদের অবশ্যই আগাম রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত গুগল ফর্মের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করা যাবে। রেজিস্ট্রেশন ছাড়া কেউ এই সার্ভিসের সুবিধা নিতে পারবেন না।

শিক্ষার্থীদের জন্য এ উদ্যোগ ইতোমধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয়জুড়ে প্রশংসা কুড়িয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেক শিক্ষার্থী পোস্ট দিয়ে ছাত্রদলের এ পদক্ষেপকে ‘শিক্ষার্থীবান্ধব ও সময়োপযোগী উদ্যোগ’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।

শাখা সভাপতি সাগর নাইম তার পোস্টে বলেন, “প্রতি বছর বিসিএসে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সাফল্যের আলো ছড়িয়ে দেন। আমরা চাই এ সুনাম আরো দূরে ছড়িয়ে পড়ুক, আরো উজ্জ্বল হোক। এ ধারাবাহিক সাফল্যের পথে আপনাদের পাশে থাকতে, ভালোবাসা ও সম্মান জানাতে মাভাবিপ্রবি ছাত্রদল ৪৭তম বিসিএস পরীক্ষার্থীদের জন্য ফ্রি বিশেষ বাস সার্ভিসের ব্যবস্থা করেছে।”

এ বিষয়ে শাখা সাধারণ সম্পাদক সাজিদ ইসলাম দীপু বলেন, “জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল সবসময়ই শিক্ষার্থীদের কল্যাণে কাজ করে থাকে। গত বিসিএসে আমাদের বড় ভাই বিসিএস প্রশাসনে প্রথম হয়েছেন। এটি শুধু আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য নয়, সারা দেশের জন্যই গর্বের বিষয়। সেই সাফল্যের ধারা অব্যাহত রাখতে এবং শিক্ষার্থীদের কল্যাণে আমরা এবার পরীক্ষার্থীদের জন্য ফ্রি বাস সার্ভিস চালু করেছি।”

তিনি বলেন, “বিশেষ করে অনেক নারী শিক্ষার্থী আছেন, যারা ক্যাম্পাস থেকে পরীক্ষাকেন্দ্র অনেক দূরে হওয়ায় অংশ নিতে পারেন না। আবার অনেকে যানবাহন না পেয়ে দেরিতে কেন্দ্রে পৌঁছান। আমরা চাইনি কেউ যেন যাতায়াত সমস্যার কারণে বিসিএস পরীক্ষায় পিছিয়ে পড়েন। তাই বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু ভাইয়ের সহায়তায় আমরা এ বাস সার্ভিসের ব্যবস্থা করেছি।”

ঢাকা/আবিদ/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ