রাজধানীর বনানীতে গুলিতে আহত হওয়া বক্ষব্যাধি হাসপাতালের এক সাবেক কর্মী চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে মারা গেছেন। সোমবার রাত সোয়া ১০টার দিকে তিনি মারা যান।

নিহত জামান হোসেন (৪০) বক্ষব্যাধি হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী ছিলেন এবং একসময় চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীর সংগঠনের (অফিস ক্লাব) সাধারণ সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছিলেন।

জামান হোসেনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো.

ফারুক।

পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, সোমবার রাত সোয়া ১০টার দিকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি বনানী থানা-পুলিশকে জানানো হয়েছে।

জামানের বড় ভাই সালাউদ্দিন জানান, গত শুক্রবার রাত সোয়া আটটার দিকে বনানী থানাধীন বক্ষব্যাধি হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণির অফিস ক্লাবের সামনে চা খেতে যান জামান। এ সময় হঠাৎ মুখোশধারী দুই দুর্বৃত্ত দূর থেকে গুলি ছুড়ে পালিয়ে যায়।

জামানের ডান চোখের পাশে গুলি লাগে। পরে আশপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে রাতেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।

নিহত জামান হোসেন মহাখালীর বক্ষব্যাধি হাসপাতালের স্টাফ কোয়ার্টারে থাকতেন। তাঁর গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি উপজেলায়।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় ইতিহাস হয়ে থাকবে: জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ

জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ সিনিয়র সহসভাপতি মাওলানা আবদুর রব ইউসুফী বলেছেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় একটি ইতিহাস হয়ে থাকবে। সময়মতো রায় কার্যকরের ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

আজ সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে মাওলানা আবদুর রব এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘আমরা সব সময় আইনের শাসন ও বিচার বিভাগের পূর্ণ স্বাধীনতা চাই। এই রায় থেকে বিচারব্যবস্থার স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আমরা আশাবাদী, হাসিনার সহযোগীদের বিরুদ্ধে দ্রুত রায় দেবে এবং সময়মতো কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের এই নেতা বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবার কোনো সরকারপ্রধানের মৃত্যুদণ্ডের রায় দেওয়া হলো। এ থেকে সবাইকে শিক্ষা নিতে হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ