রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় সন্তানদের জন্য পোষ্য কোটা–সুবিধা পুনর্বহাল ও সব বৈষম্য দূর করার দাবিতে দুই ঘণ্টার কর্মবিরতি পালন করেছেন শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। কর্মবিরতির অংশ হিসেবে পরীক্ষা ও জরুরি সেবা ছাড়া অধিকাংশ বিভাগ ও দপ্তরের কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়।

অংশগ্রহণকারীরা পোষ্য কোটা পুনর্বহাল, নিরাপত্তা বৃদ্ধি ও কোয়ার্টার সংস্কারসহ প্রাতিষ্ঠানিক সব সুবিধা বাস্তবায়নের দাবি জানান। দাবি আদায় না হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন তাঁরা।

মনোবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক এনামুল হক বলেন, ‘পৃথিবীর সব দেশেই যুগে যুগে প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা চালু আছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল স্টেকহোল্ডার শিক্ষার্থীদের সেবা দিতে গিয়ে আমাদের স্বাস্থ্য, নিরাপত্তাসহ সবকিছুর দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে।’

উর্দু বিভাগের অধ্যাপক আতাউর রহমান বলেন, ‘আমরা নতুন কোনো দাবি তুলিনি; বরং আগের অধিকার ফেরতের দাবিতে দাঁড়িয়েছি। দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে এ সুবিধা থাকলেও রাজশাহীতে কেন থাকবে না? এক সপ্তাহের মধ্যে দাবি না মানা হলে ক্লাস–পরীক্ষা বর্জন করে সর্বাত্মক ধর্মঘটে যাব।’

ক্রপ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক মো.

নুরুল ইসলাম বলেন, রাত ১০টার মধ্যে জরুরি সিন্ডিকেট ডেকে পোষ্য কোটা ফিরিয়ে আনতে হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসার সমিতির সভাপতি মোক্তার হোসেন বলেন, ‘আমাদের সন্তানদের অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। দেশের অন্য সব বিশ্ববিদ্যালয়ে পোষ্য কোটাসহ প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা দেওয়া হচ্ছে, তাহলে আমরা কেন বঞ্চিত হব?’

এর আগে ২ জানুয়ারি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পর উপাচার্য সালেহ হাসান নকীব পোষ্য কোটা বাতিলের ঘোষণা দেন। ওই সময় শিক্ষার্থীরা প্যারিস রোডের পাশে ইট দিয়ে প্রতীকী ‘কবর’ নির্মাণ করেন। আজকের কর্মবিরতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শতাধিক শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী অংশ নেন।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ফতুল্লায় নিহত যুবদল নেতা ইব্রাহিমের বাসায় মামুন মাহমুদ

ফতুল্লা ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের হাজীগঞ্জ এলাকায় যুবদল নেতা নিহত ইব্রাহিমের বাসায় গিয়ে তার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ। 

এসময়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের পক্ষ থেকে তিনি পরিবারের কাছে আর্থিক অনুদান তুলে দেন। শুক্রবার আসরের নামাজ শেষে মসজিদে ইব্রাহিম এর জন্য মিলাদ ও দোয়া শেষে তাঁর বাসায় যান তিনিসহ নেতৃবৃন্দ। 

২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর ঢাকার মহা-সমাবেশে হিব্রাহিম পুলিশের ব্যাপক নির্যাতনের শিকার হন। এরপর দীর্ঘদিন চিকিৎসা গ্রহনের একপর্যায়ে গত ৩ সেপ্টম্বর মারা যান।

অধ্যাপক মামুন মাহমুদ বলেন বিল্লাল গনতন্ত্রের জন্য জীবন দিয়েছে। আমাদের নেতা দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ইব্রাহিমের পরিবারের পাশে রয়েছেন। আমরাও তার পরিবারের সুবিধা ও অসুবিধায় পাশে থাকবো। 

এরআগে ইব্রাহিমের বাড়ির পাশ্ববর্তী মসজিদে মিলাদে অংশগ্রহণ করেন অধ্যাপক মামুন মাহমুদসহ ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি শহীদুল ইসলাম টিটু, সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আব্দুল বারী ভুঁইয়াসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ