রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে পোষ্য কোটা পুনর্বহালের দাবিতে কর্মবিরতি
Published: 14th, August 2025 GMT
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় সন্তানদের জন্য পোষ্য কোটা–সুবিধা পুনর্বহাল ও সব বৈষম্য দূর করার দাবিতে দুই ঘণ্টার কর্মবিরতি পালন করেছেন শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। কর্মবিরতির অংশ হিসেবে পরীক্ষা ও জরুরি সেবা ছাড়া অধিকাংশ বিভাগ ও দপ্তরের কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়।
অংশগ্রহণকারীরা পোষ্য কোটা পুনর্বহাল, নিরাপত্তা বৃদ্ধি ও কোয়ার্টার সংস্কারসহ প্রাতিষ্ঠানিক সব সুবিধা বাস্তবায়নের দাবি জানান। দাবি আদায় না হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন তাঁরা।
মনোবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক এনামুল হক বলেন, ‘পৃথিবীর সব দেশেই যুগে যুগে প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা চালু আছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল স্টেকহোল্ডার শিক্ষার্থীদের সেবা দিতে গিয়ে আমাদের স্বাস্থ্য, নিরাপত্তাসহ সবকিছুর দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে।’
উর্দু বিভাগের অধ্যাপক আতাউর রহমান বলেন, ‘আমরা নতুন কোনো দাবি তুলিনি; বরং আগের অধিকার ফেরতের দাবিতে দাঁড়িয়েছি। দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে এ সুবিধা থাকলেও রাজশাহীতে কেন থাকবে না? এক সপ্তাহের মধ্যে দাবি না মানা হলে ক্লাস–পরীক্ষা বর্জন করে সর্বাত্মক ধর্মঘটে যাব।’
ক্রপ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক মো.
বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসার সমিতির সভাপতি মোক্তার হোসেন বলেন, ‘আমাদের সন্তানদের অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। দেশের অন্য সব বিশ্ববিদ্যালয়ে পোষ্য কোটাসহ প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা দেওয়া হচ্ছে, তাহলে আমরা কেন বঞ্চিত হব?’
এর আগে ২ জানুয়ারি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পর উপাচার্য সালেহ হাসান নকীব পোষ্য কোটা বাতিলের ঘোষণা দেন। ওই সময় শিক্ষার্থীরা প্যারিস রোডের পাশে ইট দিয়ে প্রতীকী ‘কবর’ নির্মাণ করেন। আজকের কর্মবিরতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শতাধিক শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী অংশ নেন।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় ইতিহাস হয়ে থাকবে: জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ
জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ সিনিয়র সহসভাপতি মাওলানা আবদুর রব ইউসুফী বলেছেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় একটি ইতিহাস হয়ে থাকবে। সময়মতো রায় কার্যকরের ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
আজ সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে মাওলানা আবদুর রব এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘আমরা সব সময় আইনের শাসন ও বিচার বিভাগের পূর্ণ স্বাধীনতা চাই। এই রায় থেকে বিচারব্যবস্থার স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আমরা আশাবাদী, হাসিনার সহযোগীদের বিরুদ্ধে দ্রুত রায় দেবে এবং সময়মতো কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের এই নেতা বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবার কোনো সরকারপ্রধানের মৃত্যুদণ্ডের রায় দেওয়া হলো। এ থেকে সবাইকে শিক্ষা নিতে হবে।