বান্দরবানে ভাঙা সেতুতে ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকো
Published: 2nd, September 2025 GMT
সেতু আছে, কিন্তু সেটি দিয়ে চলাচল করা যায় না। উজান থেকে নেমে আসা পানির তীব্র স্রোতে পাঁচ বছর আগে ভেঙে যাওয়া এই সেতুর ওপর গ্রামবাসী নিজেরাই গাছের সাঁকো তৈরি করেছেন। সেই সাঁকোই এখন তাদের যাতায়াতের একমাত্র ভরসা। প্রতিনিয়ত সাঁকো পার হতে গিয়ে অনেকেই আহত হচ্ছেন। বিশেষ করে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে স্কুলগামী কোমলমতি শিশুদের।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের অর্থায়নে প্রায় ৩২ লাখ টাকা ব্যয়ে বান্দরবান রোয়াংছড়ি উপজেলার নোয়াপতং ঝিরির ওপর আরসিসি সেতু নির্মাণ করা হয়। নির্মাণের মাত্র তিন বছরের মাথায় উজান থেকে নেমে আসা পানির প্রবল স্রোতে সেতুটির পূর্ব অংশ ধসে পড়ে। সংযোগ সড়কও ভেঙে গেছে।
আরো পড়ুন:
অবশেষে গ্রামবাসীর টাকা-শ্রমেই তৈরি হচ্ছে সেতু
বহুল প্রত্যাশিত মওলানা ভাসানী সেতুর উদ্বোধন
স্থানীয়রা জানান, সেতু ভেঙে যাওয়ার পর পাড়াবাসীরা গাছের (বুল্লি) সাঁকো তৈরি করে প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছেন। ছোট-বড় কোনো যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। এ সেতু দিয়ে সোনাই মারমা পাড়া, সোনাই সেপ্রু পাড়া, ছাপুসে পাড়া, সোনাই আগা পাড়া, নগুখং পাড়ার প্রায় ২৫০ পরিবারের হাজারো মানুষ চলাচল করতেন।
জামছড়ি জুনিয়র হাইস্কুল ও বাঘমারা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন এ সাঁকো পার হয়ে যাতায়াত করে। নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী উত্তম কুমার তঞ্চঙ্গ্যা বলেন, “ছোটরা একা সাঁকো পার হতে পারে না, অন্যের সহায়তা নিতে হয়। বৃষ্টি বেশি হলে ঝিরির পানিও বেশি থাকে। পানি কমতে কয়েক ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়। অনেক সময় সাঁকো থেকে পড়ে আহত হতে হয়।”
স্থানীয় অভিভাবক করুণারানী দাশ বলেন, “বর্ষার সময় প্রবল স্রোতে সাঁকোও ডুবে যায়। তখন ছেলে-মেয়েদের বিদ্যালয়ে পাঠানো অসম্ভব হয়ে পড়ে। টানা বৃষ্টির সময় দুর্ঘটনার ভয়ে অনেকেই সন্তানদের স্কুলে পাঠান না। ইতোমধ্যে কয়েকজন শিক্ষার্থী দুর্ঘটনার শিকারও হয়েছে।”
মাহিন্দ্রা চালক সুজন তঞ্চঙ্গ্যা বলেন, “সেতুটি ভেঙে গেছে প্রায় চার-পাঁচ বছর আগে। বর্তমানে সবাই সাঁকো পায়ে হেঁটে পারাপার হন। স্থানীয় কৃষকরা তাদের উৎপাদিত ফলমূল ও শাকসবজি মাথায় বহন করে যাতায়াত করছেন। ফলে তাদের সময় নষ্ট হচ্ছে অনেক।”
নোয়াপতং ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান চনুমং মার্মা বলেন, “বছরের পর বছর যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় হাট-বাজার, হাসপাতাল, স্কুল-কলেজ, মাদরাসায় যাতায়াতে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন অন্তত ৫-৬ গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ। বিষয়টি একাধিকবার কর্তৃপক্ষকে জানানো হলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি তারা।”
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) বান্দরবান কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ তাসাউর বলেন, “প্রায় ১০ বছর আগে ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বাঘমারা-বিলাইছড়ি সড়কে ওই সেতু নির্মাণ করা হয়েছিল। পরে এলজিইডির আওতায় আসার পর জানতে পারি, সেতুটি ধসে গেছে।”
তিনি আরো বলেন, “১০০ মিটার দৈর্ঘ্যে নতুন সেতু নির্মাণের জন্য কাগজপত্র পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পাওয়া গেলে দ্রুত কাজ শুরু করা হবে।”
ঢাকা/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বাগদানের গুঞ্জনের মাঝে হুমার রহস্যময় পোস্ট
অনেক দিন ধরে গুঞ্জন উড়ছে, অভিনয় প্রশিক্ষক রচিত সিংয়ের সঙ্গে প্রেম করছেন বলিউড অভিনেত্রী হুমা কুরেশি। যদিও তারা এ সম্পর্কের কথা কখনো স্বীকার করেননি। কয়েক দিন আগে জানা যায়, দীর্ঘ দিনের কথিত প্রেমিক রচিতের সঙ্গে বাগদান সম্পন্ন করেছেন হুমা কুরেশি।
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে দ্য ফ্রি প্রেস জার্নাল জানিয়েছে, এক বছরের বেশি সময় লিভ-ইন সম্পর্কে থাকার পর বাগদান সম্পন্ন করেছেন তারা। যদিও এই খবরের কোনো প্রতিক্রিয়া জানাননি হুমা।
আরো পড়ুন:
আমার স্বামীর উপরে কু-নজর পড়েছে: অঙ্কিতা
‘উদয়ের সঙ্গে ব্রেকআপের পর অনেক কষ্ট পেয়েছিলাম’
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) ইনস্টাগ্রামে একটি রহস্যময় বার্তা শেয়ার করেছেন এই অভিনেত্রী। হুমা তার ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে রামেন বাউলের ছবি শেয়ার করে লেখেন, “প্রত্যেকেরই শান্ত হওয়া প্রয়োজন… আর শান্তভাবে কাজ করা উচিত।” পাশাপাশি জানান, তিনি বর্তমানে দক্ষিণ কোরিয়ায় অবস্থান করছেন।
এর আগে হুমা-রচিতের ঘনিষ্ঠজন হিন্দুস্তান টাইমসকে বলেন, “হুমা তার দীর্ঘ দিনের প্রেমিক, অভিনয় প্রশিক্ষক রচিত সিংয়ের সঙ্গে বাগদান সম্পন্ন করেছেন।”
হুমা ও রচিতের সম্পর্ক নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়, তাদের ঘনিষ্ঠ বন্ধু, গায়িকা আকাসা সিংয়ের শেয়ার করা একটি ছবিকে কেন্দ্র করে। এ ছবির ক্যাপশনে আকাসা লেখেন, “এক টুকরো এই স্বর্গের জন্য তোমাদের অভিনন্দন। দারুণ একটি রাত কেটেছে।”
এ ঘটনার কিছুদিন পর, হুমা ও রচিতকে একসঙ্গে দেখা যায় সোনাক্ষী সিনহা ও জহির ইকবালের বিয়েতে, দুজনেই সেদিন পরেছিলেন গোলাপী রঙের পোশাক। তাদের রসায়ন ছিল চোখে পড়ার মতো এবং ভক্তরা দ্রুত অনলাইনে খোঁজখবর নেওয়া শুরু করেন এই রহস্যময় ব্যক্তিটিকে (রচিত) নিয়ে।
সম্প্রতি, রচিতের ঘনিষ্ঠ একজনের জন্মদিন উদযাপনের সময় আবারো তাদের একসঙ্গে দেখা যায়, যা তাদের বাগদান নিয়ে জল্পনা আরো বাড়িয়ে তোলে। তবে বাগদান নিয়ে নানা চর্চা চললেও সরাসরি একটি কথাও বলেননি হুমা কিংবা রচিত।
রচিত সিংহ একজন নামকরা অভিনয় প্রশিক্ষক। রচিত সিং ওয়ার্কশপ নামে তার নিজস্ব প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এই ওয়ার্কশপের মাধ্যমে ১০০টিরও বেশি কর্মশালা পরিচালনা করেছেন রচিত। তার কর্মশালায় অংশ নিয়েছেন—গুলশন দেবাইয়া, ইমাদ শাহ, কুণাল কাপুর, পূজা হেগডে, হর্ষবর্ধন রানে, অমৃতা সুবাস, সহানা গোস্বামী, অহনা কুমারা, রণবীর সিং, বরুণ ধাওয়ান, ভিকি কৌশল, অনুশকা শর্মা, অনীত পড্ডা, শানায়া কাপুরের মতো অভিনয়শিল্পীরা।
এর আগে পরিচালক, প্রযোজক, চিত্রনাট্যকার মুদাসসার আজিজের সঙ্গে চুটিয়ে প্রেম করেছেন বলিউড অভিনেত্রী হুমা কুরেশি। দীর্ঘ ৩ বছর সম্পর্কে ছিলেন তারা। ২০২২ সালের শেষের দিকে জানা যায়, ভেঙে গেছে এই সম্পর্ক।
ঢাকা/শান্ত