ক্যাপ্টেন হওয়ার আসল পরীক্ষাটা শুধু কৌশলে নয়, দলের খেলোয়াড়দের সামলানোর ক্ষমতায়ও। কারো ভেতরের সেরা সামর্থ্যটুকু বের করে আনার মতো দক্ষতা যাদের থাকে, তারাই হয়ে ওঠেন সফল নেতা। মাহেন্দ্র সিং ধোনি যেমন এই দিকটা পুরোপুরি রপ্ত করেছিলেন। কোহলি কিংবা বুমরাহর মতো তারকা খেলোয়াড়দের নিয়ে কাজ করা সহজ। কিন্তু যাদের প্রতিভা তুলনামূলক কম, তাদের সেরাটা বের করে আনা; এটাই ধোনিকে এনে দিয়েছে ভারতের ও চেন্নাই সুপার কিংসের ইতিহাসে বিশেষ মর্যাদা।

খালিল আহমেদের মতে, এই গুণে রোহিত শর্মাও ধোনির কাতারেই দাঁড়িয়ে আছেন। সতীর্থদের ভরসা দেওয়া, আস্থা রাখা আর সঠিক সময়ে পিঠ চাপড়ে দেওয়া; এসবেই রোহিত অনন্য। আর এই কারণেই খালিলের বিশ্বাস, রোহিতের খেলা থামানো উচিত নয়, শুধু ২০২৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপ পর্যন্ত নয়, বরং আরও এক দশক।

আরো পড়ুন:

নির্বাচন করার ঘোষণা আমিনুলের

বল হাতে রশিদ খানের বিশ্বরেকর্ড

“আমি মনে করি, ভারতীয় ক্রিকেটের ভালোর জন্য রোহিত শর্মাকে অন্তত আগামী ১০ বছর খেলতে হবে। এটা আমার ব্যক্তিগত মতামত,” – বলেন খালিল আহমেদ।

খালিলের এই বিশ্বাসের পেছনে আছে ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা। ২০১৯ সালে রাজকোটে বাংলাদেশের বিপক্ষে এক ম্যাচে ভীষণ খারাপ করেছিলেন তিনি। প্রতি ওভারে গড়েছিলেন ১১ রান। অথচ অন্য কোনো বোলারের গড় ছিল ৯-এর নিচে। ভারতের জিতলেও খুশি হতে পারেননি খালিল।

সেদিন রোহিত বুঝেছিলেন, খালিল ভেঙে পড়েছেন। তাই দলের বাকিরা ড্রেসিংরুম ছেড়ে বেরিয়ে গেলেও রোহিত থেকে যান। তিনি আলাদা করে খালিলকে ডেকে বলেন, “তুমি নিজের আসল ক্ষমতাটা চেনো না।” এমনকি স্টেডিয়ামের বাইরে ভক্তরা যখন রোহিত-রোহিত করে চিৎকার করছিল, তখন রোহিতই খালিলকে বলেন, “একদিন এগুলো তোমার জন্যও হবে, আর তোমাকেই সেটার জন্য ইতিবাচক থাকতে হবে।”

খালিল বলেন, “সেদিন বুঝেছিলাম, তিনি শুধু বড় মাপের ক্রিকেটারই নন, ভীষণ বড় মাপের মানুষও। খারাপ খেললে যেখানে অনেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়, সেখানে উল্টো রোহিত প্রথম এগিয়ে আসেন। এটাই ওনার সবচেয়ে বড় শক্তি।”

খালিল আরও জানান, রিশভ পন্তের সাফল্যের পেছনেও রোহিতের এই আস্থা আর আত্মবিশ্বাস দেওয়ার ক্ষমতা বড় ভূমিকা রেখেছে।

সম্প্রতি বেঙ্গালুরুর এনসিএ-তে দুলীপ ট্রফির সময় আবার দেখা হয় তাদের। রোহিত তখন ফিটনেস টেস্ট দিতে গিয়েছিলেন। খালিল বলেন, “আমি ওনাকে খুব ফিট দেখলাম। তখনই বললাম, স্যার, এইভাবেই ফিট থাকবেন আর আরও অনেক দিন খেলবেন। আমি জীবনে এমন ক্যাপ্টেন আর মানুষ খুব কম দেখেছি। তিনি একেবারেই অমূল্য রত্ন। আমার ভেতরে তার জন্য শুধু শ্রদ্ধা আর ভালোবাসাই আছে।” 

ঢাকা/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

আফগানিস্তানে মধ্যরাতে শক্তিশালী ভূমিকম্পের আঘাত

আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলীয় হিন্দুকুশ অঞ্চলে ৬ দশমিক ৩ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। যুক্তরাষ্ট্র ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) এ তথ্য জানিয়েছে। দুই মাস আগেই দেশটিতে এক ভূমিকম্পে কয়েক হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছিল।

ইউএসজিএস জানায়, রোববার দিবাগত রাতে আফগানিস্তানের হিন্দুকুশ অঞ্চলে মাজার-ই-শরিফ শহরের কাছে খোলম এলাকায় ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। স্থানীয় সময় রাত ১২টা ৫৯ মিনিটে আঘাত হানা এই ভূমিকম্পের গভীরতা প্রথমে ১০ কিলোমিটার বলা হয়। পরে তা সংশোধন করে গভীরতা ২৮ কিলোমিটার বলে জানায় সংস্থাটি।

আফগানিস্তানের জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা জানিয়েছে, হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পরে জানানো হবে।

উল্লেখ্য, গত ৩১ আগস্ট আফগানিস্তানের সাম্প্রতিক ইতিহাসে সবচেয়ে প্রাণঘাতী ভূমিকম্পটি আঘাত হেনেছিল। দেশটির পূর্বাঞ্চলে আঘাত হানা রিখটার স্কেলে ৬ মাত্রার ওই ভূমিকম্পে ২ হাজার ২০০ জনেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারান।

আরও পড়ুনআফগানিস্তানে ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ২২০৫, খোলা আকাশের নিচে মানুষ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

আফগানিস্তানে প্রায়শই ভূমিকম্প আঘাত হানে। বিশেষ করে হিন্দুকুশ পর্বতমালা বরাবর, যেখানে ইউরেশীয় এবং ভারতীয় টেকটোনিক প্লেটগুলো মিলিত হয়েছে।

ব্রিটিশ ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থার ভূমিকম্পবিদ ব্রায়ান ব্যাপটির দেওয়া তথ্য মতে, ১৯০০ সাল থেকে উত্তর-পূর্ব আফগানিস্তানে রিখটার স্কেলে ৭ মাত্রার বেশি ১২টি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে।

আরও পড়ুন৩৫ বছরে আফগানিস্তানে ভয়াবহ যত ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ