পতিত ফ্যাসিস্ট বিভ্রান্তি সৃষ্টির উদ্দেশ্যে ‘গুজব’ ছড়াচ্ছে: ফখরুল
Published: 2nd, September 2025 GMT
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, “পতিত ফ্যাসিস্ট বিভ্রান্তি সৃষ্টির উদ্দেশ্যে ‘গুজব’ ছড়াচ্ছে।”
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর উত্তরায় একটি খালের পরিচ্ছন্নতা অভিযানের উদ্বোধনকালে বিএনপি মহাসচিব এই মন্তব্য করে জনগণকে সর্তক থাকার আহ্বান জানান।
আরো পড়ুন:
জনগণের সরকার হলে তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হবেন: ফখরুল
গণঅধিকারের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ বিএনপির
ঢাকা মহানগর উত্তরের উদ্যোগে বিকেলে উত্তরা ১২ নম্বর সেক্টরে একটি খাল এবং দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে সকালে মানিক নগরে খালের ময়লা-আবর্জনা পরিস্কার অভিযান চালানো হয়।
মিজা ফখরুল বলেন, “অনেক গুজব চারদিকে, গুজবে কান দেবেন না। কারণ গুজব গুজবই। আমাদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করার জন্য আওয়ামী লীগ ভারত থেকে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে গুজব ছড়াচ্ছে। আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, আমাদের মধ্যে কোন বিভেদ নাই। আমাদের মধ্যে ঐক্য আছে, সেই ঐক্য নিয়ে আমরা জয় করব ইনশাআল্লাহ।”
পরিচ্ছন্নতা যেন লৌকিকতা না হয় উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, “আজকে খাল পরিস্কার অভিযান। আজকে আমাদের র্যালি হওয়ার কথা ছিল। র্যালি হলে রাস্তায় ভিড় হয়ে যায়, গাড়ি-ঘোড়া বন্ধ হয়ে যায়, ঢাকা শহর বন্ধ হয়ে যায়, মানুষের কষ্ট হয় এই কথা চিন্তা করে আমাদের নেতা তারেক রহমান বললেন, ঢাকা শহরে দুইটা অঞ্চলে দুইটা খাল আপনারা বেছে নেন যেটা আপনারা পরিস্কার করবেন। সেভাবে আমাদের নেতাদেরকে বলেছি সেভাবে এই কর্মসূচি হচ্ছে।”
তিনি বলেন, “আমার একটা অনুরোধ আছে নেতাদের কাছে। সেটা হচ্ছে, আজকে পাঁচ মিনিটের জন্য দেখিয়ে চলে গেলে হবে না, পাঁচ মিনিটের জন্য আমরা দেখলাম যে, আমরা পরিস্কার করতেছি, তারপরে নাই। আমরা দেখতে চাই যে, এই খাল পরিস্কার হয়েছে এবং আপনাদের নেতাকর্মীরা পরিস্কার করেছে। এখানে বুঝা যাবে যে, আপনাদের দলের প্রতি আপনার দরদ কতটা।”
মির্জা ফখরুল বলেন, “ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল সবার আগে নেতৃত্ব নিতে হবে। কোথাও কোনো গোলযোগ করা যাবে না। বিশেষ করে নির্বাচনগুলো হচ্ছে ছাত্র সংসদগুলোতে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে। সেখানে যেন কোন গোলযোগ সৃষ্টি না হয়। কোথাও যেন এই বদনাম না আসে বিএনপির বিরুদ্ধে। আপনারা বড় দল, আপনাদের দায়িত্ব বেশি।”
এ সময় ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমিনুল হক, সদস্য সচিব মোস্তফা জামানসহ মহানগর নেতারা উপস্থিত ছিলেন। পরে খাল পরিস্কার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন বিএনপি মহাসচিব।
এর আগে বেলা ১২টায় রাজধানীর পুরনো ঢাকায় দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে সপ্তাহব্যাপী খাল-নর্দমা পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন কর্মসূচির উদ্বোধন করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। পরে তিনি নিজে পরিচ্ছন্নতা অভিযানে নেতা-কর্মীদেরসহ অংশগ্রহণ করেন।
এ সময়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক রফিকুল আলম মজনু, সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিন, দলের যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য হাবিবুর রশিদ হাবিব, জাসাস জাকির হোসেন রোকন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের লিটন মাহমুদ, আব্দুস সাত্তার, ফরহাদ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/রায়হান/সাইফ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম র জ ফখর ল ইসল ম আলমগ র ব এনপ পর স ক র ব এনপ র আম দ র ফখর ল সদস য আপন র
এছাড়াও পড়ুন:
পারস্পরিক প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষর করল পাকিস্তান-সৌদি আরব
পাকিস্তানের ওপর কেউ হামলা চালালে সৌদি আরব তাদেরকে রক্ষায় এগিয়ে আসবে। আবার সৌদি আরবের ওপর কেউ আগ্রাসন চালালে পাকিস্তানও সৌদি আরবকে রক্ষায় এগিয়ে আসবে। ঠিক এমনই একটি পারস্পরিক প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে সৌদি আরব ও পারমাণবিক শক্তিধর পাকিস্তান।
জিও নিউজের খবর অনুসারে, বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফের সৌদি আরব সফরের সময় এই চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়। সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে শাহবাজের বৈঠকের পর এক যৌথ বিবৃতিতে এ চুক্তির কথা জানানো হয়।
আরো পড়ুন:
এক সপ্তাহে সৌদি আরবে ২০ হাজারের বেশি প্রবাসী গ্রেপ্তার
২০ বছর কোমায় থাকার পর মারা গেলেন সৌদির ‘ঘুমন্ত যুবরাজ’
চুক্তি স্বাক্ষরের পর উভয় দেশ একটি যৌথ বিবৃতিতে জানায় যে, ভ্রাতৃত্ব, ইসলামিক সংহতি ও অভিন্ন কৌশলগত স্বার্থের ভিত্তিতে এবং প্রায় আট দশকের দীর্ঘ অংশীদারত্বের ওপর দাঁড়িয়ে দুই পক্ষ কৌশলগত পারস্পরিক প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।
ক্রাউন প্রিন্সের আমন্ত্রণেই শরিফ সৌদি আরব সফরে গেছেন বলেও তাদের বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, সৌদি আরবের সঙ্গে হওয়া এই প্রতিরক্ষা চুক্তির ফলে এখন ‘এক দেশের বিরুদ্ধে আগ্রাসনকে উভয়ের বিরুদ্ধে আগ্রাসন’ বিবেচনা করা হবে।
বিশেষজ্ঞরা এই চুক্তিকে 'ঐতিহাসিক ও নজিরবিহীন অগ্রগতি' বলে অভিহিত করেছেন। তাদের মতে, এটি পাকিস্তান ও সৌদি আরবের সম্পর্ককে আনুষ্ঠানিক নিরাপত্তার প্রতিশ্রুতিতে উন্নীত করেছে। তারা বলছেন যে, এই পদক্ষেপ কেবল পাকিস্তান-সৌদি সম্পর্ককে দৃঢ় করছে না, বরং দক্ষিণ এশিয়া এবং মুসলিম বিশ্বের জন্যও এর গুরুত্ব রয়েছে। এটি পাকিস্তানকে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা রক্ষার সবচেয়ে সক্ষম মুসলিম শক্তি হিসেবে তুলে ধরেছে।
বিশ্লেষকরা আরও বলছেন যে, সাম্প্রতিক আঞ্চলিক অস্থিরতা, ইসরায়েলের হামলা, দোহা সম্মেলন এবং আরব বিশ্বে সার্বভৌমত্ব নিয়ে উদ্বেগ বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে এই চুক্তির তাৎপর্য অনেক বেশি। এটি প্রমাণ করে যে, বর্ধিত হুমকির সময়ে সৌদি আরব পাকিস্তানকে সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য অংশীদার হিসেবে বিশ্বাস করছে।
পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেখানো হয়, চুক্তি স্বাক্ষরের পর পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ ও সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানকে আলিঙ্গন করতে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির, যাকে দেশটির সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তি হিসেবে দেখা হয়।
ঢাকা/ফিরোজ