ডায়রিয়া হলে শরীর নেতিয়ে পড়ে। এই সময়ে স্বাভাবিক খাবার খাওয়ার প্রতি গুরুত্ব দেওয়া হয়। ডায়রিয়া অ্যালার্জি, খাদ্যে বিষক্রিয়া, অথবা ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোমের মতো দীর্ঘস্থায়ী অবস্থার কারণে হতে পারে। কিছু খাবার আছে যেগুলো আপনার পাচনতন্ত্রকে আবার সঠিক পথে ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করতে পারে। 

হেলথ লাইনের তথ্য, ‘‘যারা দীর্ঘদিন ধরে ডায়রিয়ার ভুগছেন তারা কলা, সাদা ভাত, আপেলের সস, সাদা রুটি দিয়ে তৈরি টোস্ট খেতে পারেন। এই খাবারগুলো নরম এবং ফাইবার কম, তাই এগুলো পাচনতন্ত্রকে ভালো রাখতে পারে।’’

আরো পড়ুন:

নিয়মিত শরীরচর্চা ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়: গবেষণা

কী কারণে মুখ ফোলে?

তরলজাতীয় খাবার বেশি খাওয়া দরকার

যারা হঠাৎ ডায়রিয়ায় ভুগতে শুরু করেন তারা পানিশূন্যতায় ভুগতে পারেন। এই সমস্যা রোধ করতে  তরল বা তরলজাতীয় খাবার বেশি খাওয়া দরকার। বিশেষ করে খাওয়ার স্যালাইন, চিড়ার পানি, ভাতের মাড় ইত্যাদি খাবার খেলে পানিশূন্যতা প্রতিরোধ করা যায়। ডায়রিয়া হলে শরীরে লবণের ঘাটতিও ঘটে। তাই এ সময় ডাবের পানি শরীরে পটাশিয়ামের ঘাটতি পূরণে সাহায্য করে। 

যা খাওয়া যাবে না
ডায়রিয়া হলে—অতিরিক্ত মসলাদার খাবার, চা-কফি এরিয়ে যাওয়াই ভালো। কারণ, এসব খাবারে হজমশক্তির ব্যাঘাত ঘটে বলে পাতলা পায়খানার সমস্যা আরও বেড়ে যেতে পারে। 

সতর্কতা
দই বা ঘোলে থাকে প্রোবায়োটিকস বা উপকারী ব্যাকটেরিয়া। তাই অনেকের মতে ডায়রিয়া হলে এসব খাবার খেলে অবস্থার উন্নতি হতে পারে। অতিরিক্ত পাতলা পায়খানার কারণে শরীর যেমন পানিশূন্য হয়ে কিডনির ক্ষতি করতে পারে, তেমনি শরীরের উপকারী লবণের ঘাটতি হলে নানা জটিলতার সৃষ্টি হতে পারে।

ঢাকা/লিপি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ব স থ যকর জ বন

এছাড়াও পড়ুন:

আফগানিস্তানে মধ্যরাতে শক্তিশালী ভূমিকম্পের আঘাত

আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলীয় হিন্দুকুশ অঞ্চলে ৬ দশমিক ৩ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। যুক্তরাষ্ট্র ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) এ তথ্য জানিয়েছে। দুই মাস আগেই দেশটিতে এক ভূমিকম্পে কয়েক হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছিল।

ইউএসজিএস জানায়, রোববার দিবাগত রাতে আফগানিস্তানের হিন্দুকুশ অঞ্চলে মাজার-ই-শরিফ শহরের কাছে খোলম এলাকায় ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। স্থানীয় সময় রাত ১২টা ৫৯ মিনিটে আঘাত হানা এই ভূমিকম্পের গভীরতা প্রথমে ১০ কিলোমিটার বলা হয়। পরে তা সংশোধন করে গভীরতা ২৮ কিলোমিটার বলে জানায় সংস্থাটি।

আফগানিস্তানের জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা জানিয়েছে, হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পরে জানানো হবে।

উল্লেখ্য, গত ৩১ আগস্ট আফগানিস্তানের সাম্প্রতিক ইতিহাসে সবচেয়ে প্রাণঘাতী ভূমিকম্পটি আঘাত হেনেছিল। দেশটির পূর্বাঞ্চলে আঘাত হানা রিখটার স্কেলে ৬ মাত্রার ওই ভূমিকম্পে ২ হাজার ২০০ জনেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারান।

আরও পড়ুনআফগানিস্তানে ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ২২০৫, খোলা আকাশের নিচে মানুষ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

আফগানিস্তানে প্রায়শই ভূমিকম্প আঘাত হানে। বিশেষ করে হিন্দুকুশ পর্বতমালা বরাবর, যেখানে ইউরেশীয় এবং ভারতীয় টেকটোনিক প্লেটগুলো মিলিত হয়েছে।

ব্রিটিশ ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থার ভূমিকম্পবিদ ব্রায়ান ব্যাপটির দেওয়া তথ্য মতে, ১৯০০ সাল থেকে উত্তর-পূর্ব আফগানিস্তানে রিখটার স্কেলে ৭ মাত্রার বেশি ১২টি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে।

আরও পড়ুন৩৫ বছরে আফগানিস্তানে ভয়াবহ যত ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ