বাংলাদেশ সময় শুক্রবার (০৫ সেপ্টেম্বর) সকালে বুয়েনস আয়ার্সের আকাশ যেন সাক্ষী ছিল এক আবেগঘন সন্ধ্যার। বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে ঘরের মাঠে হয়তো শেষবারের মতো খেললেন লিওনেল মেসি। আর সেই বিদায়ী মঞ্চটিকেই রাঙিয়ে দিলেন জোড়া গোলের আলোয়। ভেনেজুয়েলাকে ৩-০ গোলে হারিয়ে আলবিসেলেস্তেরা লিখল আরেকটি দাপুটে অধ্যায়।

৩৮ বছর বয়সী মেসি এখনো অবসরের দিনক্ষণ ঘোষণা করেননি। তবে তাঁর কণ্ঠে স্পষ্ট ঘোষণা, ঘরের মাঠে আর কোনো বিশ্বকাপ বাছাই খেলবেন না। তাই এই ম্যাচ যেন হয়ে উঠেছিল শুধু একটি জয় নয়, এক টুকরো আবেগ, এক মুঠো বিদায়বেলা।

আরো পড়ুন:

পারলেন না মেসি-সুয়ারেজ, সিয়াটল সাউন্ডার্স চ্যাম্পিয়ন

মেসির জাদুতে আবারও ফাইনালে ইন্টার মায়ামি

ইতিমধ্যেই উত্তর আমেরিকায় অনুষ্ঠিতব্য ২০২৬ বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত করেছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা। তাই শুরু থেকেই ছিল চাপহীন ফুটবল। টাগলিয়াফিকো আর তরুণ মাস্তান্তুয়োনোর পদক্ষেপে তৈরি হয়েছিল একের পর এক সুযোগ। তবে ভেনেজুয়েলার গোলরক্ষক রাফায়েল রোমো প্রথমার্ধে ছিলেন দেয়ালের মতো।

কিন্তু ৩৯ মিনিটেই সেই দেয়াল ভেঙে দিলেন মেসি। জুলিয়ান আলভারেজের নিখুঁত পাস থেকে অধিনায়ক যেন সময় থামিয়ে দিলেন, এক দারুণ শটে বল পাঠালেন জালের ডানদিকের উপরের কোণে। স্টেডিয়ামজুড়ে তখন কেবল এক নাম— মেসি।

দ্বিতীয়ার্ধে আর্জেন্টিনার আক্রমণ হয়ে উঠল ঢেউয়ের মতো। আক্রমণের কেন্দ্রে সবসময়ই ছিলেন মেসি। অবশেষে ৭৬ মিনিটে বাঁ দিক থেকে নিকো গনসালেসের ক্রসে লাওতারো মার্টিনেজের ডাইভিং হেডে মিলল দ্বিতীয় গোলের আনন্দ।

কিন্তু আসল আবেগ জমা ছিল মাত্র চার মিনিট পর। থিয়াগো আলমাদার পাস থেকে আবারও গোলপোস্টে আলো জ্বালালেন মেসি। এটি ছিল তার এবারের বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে অষ্টম গোল, সব মিলিয়ে বাছাইপর্বে ৩৩তম গোল এবং আর্জেন্টিনার জার্সিতে ১১৫তম গোল। হয়তো বিদায়ের ইঙ্গিত দিচ্ছেন, কিন্তু গোলের জাদুতে এখনো তিনি অতুলনীয়।

এই জয়ে ৩৮ পয়েন্ট নিয়ে দক্ষিণ আমেরিকার বাছাইপর্বের শীর্ষে অবস্থান করছে আর্জেন্টিনা। মঙ্গলবার (০৯ সেপ্টেম্বর) ইকুয়েডরের বিপক্ষে গ্রুপের শেষ ম্যাচ খেলবে তারা। আর ভেনেজুয়েলা নিজেদের বিশ্বকাপের স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখতে লড়বে কলম্বিয়ার বিপক্ষে।

ঢাকা/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল আর জ ন ট ন আর জ ন ট ন ব ছ ইপর ব ব শ বক প

এছাড়াও পড়ুন:

প্রতিষ্ঠার দেড় যুগ পর ইতিহাসের সাক্ষী হতে যাচ্ছে বেরোবি

‎বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ব্রাকসু) নিয়ে অপেক্ষার প্রহর শেষ হতে চলেছে শিক্ষার্থীদের। গত ২৮ অক্টোবর রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের মাধ্যমে ‎বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের গেজেট প্রকাশ হয়ছে গঠনতন্ত্র।

এরই মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ১৭ বছর পর হতে যাচ্ছে কাঙিক্ষত কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ তথা ব্যাকসু নির্বাচন। তবে এর জন্য আমরণ অনশন থেকে শুরু করে সব ধরনের কর্মসুচিই পালন করেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

আরো পড়ুন:

‘আমরা একটা অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন করতে চাই’

‎বেরোবিতে শহীদ আবু সাঈদ স্মৃতিস্তম্ভের মডেল প্রদর্শন

‎জুলাই অভ্যুত্থান পর গণরুম ও গেস্ট রুমের যে সাংস্কৃতি ছিল, তা এখন বন্ধ হয়েছে। কোনো রাজনৈতিক দলের কমকাণ্ডে সামিল হওয়াও বাধ্যতামুলক নয়।

‎তাই শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এ ছাত্র সংসদ। যাতে শিক্ষার্থীদের অধিকার ও স্বার্থ সুরক্ষিত হবে।

‎কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ বেরোবির বিধিমালা অনুযায়ী, ১৩টি পদে সরাসরি নির্বাচন ও হল সংসদে নয়টি পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। যাতে শিক্ষার্থীরা তাদের প্রতিনিধির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে সব ধরনের কথা তুলে ধরতে পারবেন।

‎পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী শেখর রায় বলেন, “সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ও লেজুরবিত্তিক রাজনীতি ব্যতীত একটি নির্বাচন হোক। যোগ্য, আদর্শ, উত্তম চরিত্র ও মনের প্রার্থী বিজয়ী হোক। নির্বাচিত হয়ে তারা হয়ে উঠুক বেরোবির একেকজন যোগ্য প্রতিনিধি। তারা ন্যায়ের পক্ষে থাকুক । তাদের হাত ধরেই এগিয়ে যাক বেরোবি।”

‎গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী জাওয়াদ সাজিদ বলেন, “ছাত্র সংসদ শিক্ষার্থীদের দাবি, অধিকার ও স্বার্থ রক্ষার প্রধান মঞ্চ। এটি প্রশাসন ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করে, যাতে প্রতিটি শিক্ষার্থীর কণ্ঠ পৌঁছে যায় সিদ্ধান্ত গ্রহণের টেবিলে। কিন্তু এজন্য সংসদকে দলীয় প্রভাবমুক্ত, স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক হতে হবে। প্রকৃত অর্থে ছাত্র সংসদ তখনই সফল, যখন তা শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি হয়ে তাদের সমস্যার সমাধান ও কল্যাণে কাজ করে।”

‎অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী আতিকুর রহমান বলেন, “আমরা এমন ছাত্র সংসদ চাই, ‎যেখানে যোগ্য নেতৃত্ব আসবে এবং সব শিক্ষার্থীর সমস্যা সমাধানের হাতিয়ার হয়ে কাজ করবে। সবমিলিয়ে সবার বিশ্বস্ত জায়গা হবে এই ছাত্র সংসদ।”

ঢাকা/সাজ্জাদ/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ