যাত্রীকে হয়রানি, শায়েস্তাগঞ্জ রেল ফাঁড়ির ইনচার্জসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা
Published: 5th, September 2025 GMT
যাত্রীকে হয়রানি করার অভিযোগে হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে ফাঁড়ির ইনচার্জসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে দ্রুত বিচার আইনে মামলাটি করেন সদর উপজেলার বড় বহুলা গ্রামের মো. ফারুক মিয়ার ছেলে মো. মশিউর রহমান জুয়েল। তিনি হবিগঞ্জ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সার্ভার হিসেবে কর্মরত।
দ্রুত বিচার আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কামরুল হাসান মামলাটি আমলে নিয়ে এফআইআর করতে শায়েস্তাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন। বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট এম এ মজিদ গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আরো পড়ুন:
কালীগঞ্জে ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার দুইজনকে কারাগারে প্রেরণ
প্রথমবারের মতো ভূমি প্রতিরোধ আইনের মামলার রায় কার্যকর
মামলার আসামিরা হলেন- শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই সাজিদুল ইসলাম সোহাগ, নায়েক আরিফুল, কনস্টেবল রবি দাস, টিএসআই শাহজালাল, শায়েস্তাগঞ্জ পৌর এলাকার মহলুল সুনাম গ্রামের রাজু মিয়া, শাহ আলম ও রেল কলোনি এলাকার পলাশ মিয়া।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, মশিউর রহমান জুয়েল ঢাকা যাওয়ার উদ্দেশে গত ১৯ আগস্ট রাতে শায়েস্তাগঞ্জ স্টেশনে যান। ওই দিন রাত ১টার দিকে ঢাকাগামী উপবন এক্সপ্রেস ট্রেনটি শায়েস্তাগঞ্জ স্টেশনে আসার কথা থাকলেও বিলম্ব হয়। এ সময় মশিউর রহমান জুয়েল রেলস্টেশনের ২ নম্বর প্ল্যাটফর্মে পায়চারি করছিলেন। তখন কয়েকজন লোক তাকে হেনস্থা করেন। তার কাছ থেকে মানিব্যাগ ও মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়া হয়। এ সময় তিনি চিৎকার শুরু করলে পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে মারপিট করেন। একপর্যায়ে তাকে মাদক দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হয়।
ঢাকা/মামুন/রাজীব
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
জাল টাকা বহন: ২ জনের ১৪ বছর কারাদণ্ড
ঝালকাঠিতে জাল টাকা বহনের দায়ে নুপুর বেগম ও জসিম খলিফা নামে দুইজনকে ১৪ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঝালকাঠির বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ রহিবুল ইসলাম এ রায় দেন।
আরো পড়ুন:
মুন্সীগঞ্জে বিদেশি পিস্তল উদ্ধার
খুলনায় নবজাতক চুরি: নারী গ্রেপ্তার
অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর আক্কাস সিকদার রায়ের তথ্য জানিয়েছেন। দুই আসামিকে কারাদণ্ডের পাশাপাশি ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরো ৬ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে।
দণ্ডপ্রাপ্ত নুপুর বেগম (৩৫) পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার গৌরীপুর এলাকার আল আমিন হাওলাদারের স্ত্রী এবং জসিম খলিফা (৩৬) ঝালকাঠির সদর উপজেলার পোনাবালিয়া ইউনিয়নের দেউরী এলাকার ওয়াজেদ খলিফার ছেলে।
ঝালকাঠি জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর মাহেব হোসেন জানান, ২০২৪ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি বিকেলে ঝালকাঠি শহরের কবিরাজ বাড়ি রোড থেকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সূবর্ণ চন্দ্র দের নেতৃত্বে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে। পরে তাদের কাছ থেকে ১ হাজার টাকার ১৯৬টি জালনোট, ৫০০ টাকার ২০০টি জালনোট ও ২০০ টাকার ৫টি জালনোট জব্দ করা হয়।
এসআই সুবর্ণ চন্দ্র দে বাদী হয়ে দুইজনকে আসামি করে ঝালকাঠি থানায় মামলা করেন।
রায় ঘোষণার সময় আসামি নুপুর বেগম আদালতে উপস্থিত ছিলেন। জসিম খলিফা জামিনে বের হয়ে পলাতক রয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে আরো মামলা রয়েছে।
ঢাকা/অলোক/বকুল