আ্যটার্নী জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, “দাবি এসেছে জুলাই আগস্টের গুম খুনের বিচার করতে হবে। অমুকের বিচার করতে হবে, তমুকের বিচার করতে হবে। শেখ হাসিনার বিচার করতে হবে, সালমানের বিচার করতে হবে। আপনাদের এ দাবির সঙ্গে একমত পোষণ করে একটু ভিন্নমত পোষণ করছি ভিন্ন জায়গায়। আমাদের কাছে ব্যক্তি নগণ্য, মূখ্য হলো কি অপরাধ করেছে। আপনারা ব্যাক্তির বিচার চাচ্ছেন আমরা অপরাধের বিচার করতে চাচ্ছি।”

সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সিনেট ভবনে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান ও সাংবিধানিক পুনর্গঠন তরুণদের আকাঙ্ক্ষার বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে এসব কথা বলেন তিনি।

আরো পড়ুন:

রাকসু নির্বাচন; ১২৩৩ মনোনয়ন বিতরণ, দাখিল ৯২৫

রাকসু নির্বাচন: ছাত্রশিবিরের পূর্ণাঙ্গ প্যানেল ঘোষণা

তিনি বলেন, “আমি আপনাদের বলছি, আমি যে পরিস্থিতিতে থাকি, যেভাবে থাকি- জীবনের শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে হলেও আপনাদের জুলাই বিপ্লবের চেতনার সঙ্গে আমি এক কাতারে থাকব। আপনাদের স্বপ্নের সারথী হয়ে হাতে হাত মিলিয়ে, কন্ঠে কন্ঠ মিলিয়ে এগিয়ে যাব।” 

তিনি আরো বলেন, “জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ১৫ শতাধিক মানুষকে অবিচারে গুলি করে হত্যা করেছে, ৩০ হাজারেরও বেশি মানুষ স্থায়ীভাবে পঙ্গুত্ব বরণ করেছে। গত ১৭ বছরে ৫ হাজারেরও বেশি মানুষ নির্বিচারে শহীদ করা হয়েছে। ৬০ লক্ষ মানুষ বিনা দোষে রাজনৈতিক মামলার স্বীকার হয়েছে। এসব অপরাধের বিচার করলে যারা এর সঙ্গে সম্পৃক্ত, তারা অবশ্যই বিচারের মুখোমুখি হবেন।”

আসাদুজ্জামান বলেন, “বাংলাদেশে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায়, সাংবিধানিক আইন প্রতিষ্ঠায় ‘আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেব’- এই তত্ত্ব প্রতিষ্ঠায় যত বাঁধা আসুক, যত ব্যারিকেড সবকিছু উপেক্ষা করে বাংলাদেশের জনগণ আসুক জুলাই বিপ্লবের শহীদদের রক্তের ঋণ পরিশোধ করার জন্য একটি সাংবিধানিক কাঠামো গঠন করবে।”

আসাদুজ্জামান আরো বলেন, “আমরা এমন একটি সংবিধানের স্বপ্ন দেখি, যে সংবিধানে আর কোনো মা-বোনকে স্বামী সন্তানের জন্য রাতে অপেক্ষা করতে না হয়। কোনো মা-বোনকে যেন তাহাজ্জুদে বসে কাঁদতে না হয়। আর কোনো কার্টুনিস্টকে যেন জেলে মরতে না হয়। আমরা সাংবিধানিকভাবে এমন একটি জায়গায় যেতে চাই, যেখানে সব শহীদদের রক্তের মুল্য দেওয়া হবে। এই স্বৈরাচারী সরকার পতনের মাধ্যমে আমরা একটি স্বাধীন বাংলাদেশ অর্জন করেছি। আমরা সেই রাষ্ট্রকে একটি সুসংগঠিত কাঠামোর মাধ্যমে গড়ে তুলব।”

অনুষ্ঠানের সভাপতি রাবি উপাচার্য সালেহ্ হাসান নকীব বলেন, “রাষ্ট্রের সব সমস্যা সমাধানের একমাত্র উপায় হলো সুশিক্ষা। শ্রেষ্ঠতম সংবিধান অনেক খারাপ কাজ আটকে দিতে পারে, কিন্তু একটি সুন্দর রাষ্ট্র গঠন করতে পারে না। ২৪ এর জুলাই আগস্ট আমাদের জন্য নতুন সুযোগ তৈরি করেছে। নতুন চিন্তাকে ধারণ করতে হলে আমাদের পুরাতন ধারা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।”

তিনি বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা করতে গিয়ে দেখলাম, এখানে সবাই পুরাতন ধারাকেই নিজের বলতে চায়। সবাই চায় আগে ওরা করেছে, আমরাও করব। দেশের প্রতি ভালোবাসার চেতনাকে ধারণ করতে দেশাত্মবোধক গান শোনা লাগে না। আজকের এ অনুষ্ঠানে হার-জিত হবে এটাই স্বাভাবিক। তবে আমাদের সবাইকে দেশকে ভালোবেসে নিজস্বতা প্রকাশের বদলে কাজ দেখাতে হবে।”

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ডিন একরামুল ইসলাম, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য শিক্ষা ড.

ফরিদ উদ্দীন প্রমুখ।

ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র ব চ র করত ব শ বব দ য আপন দ র আম দ র অপর ধ

এছাড়াও পড়ুন:

রূপগঞ্জে ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষে লিফলেট বিতরণ 

বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে।

শুক্রবার সকালে নারায়ণগঞ্জ জেলা জজ কোর্টের পিপি এডভোকেট আবুল কালাম আজাদের নেতৃত্বে (জাকির) উপজেলার মুড়াপাড়া বাজার এলাকায় এ লিফলেট বিতরণ করা হয়। 

এসময় জেলা জজ কোর্টের পিপি এডভোকেট আবুল কালাম আজাদ বলেন, গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশ বিনির্মাণে ৩১ দফা মানুষের অধিকার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার মূলমন্ত্র। বিগত ১৭ বছর দেশের মানুষ তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত ছিল।

মানুষের কথা বলার অধিকার ছিল না। ভোটের অধিকার ছিলনা। তাই ২৪’এর গণঅভ্যুত্থানের সৃষ্টি হয়েছিল। আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকে ভোট চান তিনি। 

এসময় উপস্থিত ছিলেন যুবদল নেতা আল আমিন, সৈয়দ গোলাপ, মোক্তার, কাজী শান্ত, সেচ্ছাসেবকদলের দেলোয়ার হোসেন প্রধান, আসাদ, মোশাররফ, ছাত্রদলের লাদেন হোসেন, শিপন, আবির, আপন প্রমুখ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • রূপগঞ্জে ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষে লিফলেট বিতরণ