গানে গানে শাহ আবদুল করিমকে স্মরণ
Published: 13th, September 2025 GMT
গানে গানে স্মরণ করা হলো বাউল সম্রাট শাহ আবদুল করিমকে। তাঁর ১৬তম মৃত্যুবার্ষিকীতে এ উপলক্ষে শুক্রবার সন্ধ্যায় সংস্কৃতি চর্চাকেন্দ্র ছায়ানট আয়োজন করে শ্রোতার আসর। অনুষ্ঠান শুরু হয় সন্ধ্যা ৭টায় ধানমন্ডির ছায়ানট মিলনায়তনে।
সংগীত পরিবেশনার আগে অনুষ্ঠানের তাৎপর্য ও শাহ আবদুল করিম সম্পর্কে বক্তব্য দেন ছায়ানট সভাপতি সারওয়ার আলী। বর্তমান বাস্তবতা ও প্রাসঙ্গিকতায় শাহ আবদুল করিমের কর্মজীবন নিয়ে কথা বলেন তিনি।
সারওয়ার আলী বলেন, শতবর্ষ ধরে বাংলার যে বদ্ধ গ্রামীণ সমাজ, সেখানে ধর্মে বিভক্তি ছিল, বিত্তে ভিন্নতা ছিল, বর্ণ ছিল। তাই বৈষম্য, বঞ্চনা, রক্ষণশীলতা ও কুসংস্কারও ছিল। তারপরও গ্রামীণ সমাজ যে সম্প্রীতির বাঁধনে বেঁধে ছিল, এর পেছনে বৈষ্ণববাদের প্রভাব ছিল। তবে বড় ভূমিকা রেখেছিলেন বাংলার গীতিকারেরা। লালন থেকে শাহ আবদুল করিম সেই পরম শ্রদ্ধার মানুষ। তাঁরাই বাংলায় সম্প্রীতির সমাজ গড়ে তুলেছেন। যেটি আজ লুপ্তপ্রায়।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জয়ন্ত রায়। তিনি উল্লেখ করেন, শাহ আবদুল করিম তাঁর পরিচয় দিয়েছিলেন গানে গানে। এই বাউল সাধক প্রায় দেড় হাজার গান রচনা করেছেন, যার অনেকগুলো মানুষের মুখে মুখে জনপ্রিয় হয়ে আছে।
ছায়ানট আয়োজিত শ্রোতার আসরে শিল্পী ছিলেন রণেশ ঠাকুর (সুনামগঞ্জ), চন্দনা মজুমদার, আবুল কালাম আজাদ, বিমান চন্দ্র বিশ্বাস, নাজমুল আহসান তুহিন, মো.
আয়োজনের শুরুতে শিল্পী ফারজানা আফরিন ‘কথা রাখো কাছে থাকো যাইওনাগো দূরে’, ‘তোমারও পিরিতে বন্ধু গো’ গান পরিবেশন করেন। বাউল শাহ আবদুল করিমের জনপ্রিয় গান ‘কেন পিরিতি বাড়াইলায় রে বন্ধু ছেড়ে যাইবায় যদি’ গানটি পরিবেশন করেন শিল্পী বিমান চন্দ্র বিশ্বাস। ‘আমি কুলহারা কলঙ্কিনী, আমারে কেউ ছুঁইও না গো সজনি’ পরিবেশন করেন বাউল রণেশ ঠাকুর। শিল্পী চন্দনা মজুমদার শোনান ‘তুমি বিনে আকুল পরান’সহ তিনটি গান।
শ্রোতার আসরে দোতারা বাজিয়েছেন রতন কুমার রায়, মন্দিরায় ছিলেন প্রদীপ কুমার রায়, ঢোল বাজিয়েছেন দশরথ দাশ, তবলায় ছিলেন স্বরূপ হোসেন এবং বাঁশিতে মামুনুর রশীদ।
১৯১৬ সালে সিলেটের সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলায় জন্ম নেওয়া বাউল সম্রাট প্রয়াত হন ২০০৯ সালের ১২ সেপ্টেম্বর।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: শ হ আবদ ল কর ম ছ য় নট
এছাড়াও পড়ুন:
শেফালি আর দীপ্তিতে নতুন মুম্বাইয়ে নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত
নাবি মুম্বাই। নয়া মুম্বাই। নতুন সেই মুম্বাইয়ে কাল নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন পেল মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত।
দীপ্তি শর্মার করা ৪৬তম ওভারের তৃতীয় বলে নাদিন ডি ক্লার্কের তোলা ক্যাচটি এক্সট্রা কাভারে ভারত অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌরের হাতে জমা হতেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের আনন্দে মাতল পুরো ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকা ২৪৬ রানে অলআউট, ভারত ৫২ রানে জয়ী।
ভারতের জয়ের উৎসব অবশ্য শুরু হয়ে গিয়েছিল পাঁচ ওভার আগেই। লরা ভলভার্টকে ফিরিয়ে পথের কাঁটা উপড়ে ফেলেই উদ্যাপন শুরু করেছিল ভারতীয়রা। অসাধারণ এক সেঞ্চুরি করে দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক চোখ রাঙাছিলেন ভারতের উৎসব ভন্ডুল করার। কিন্তু সেঞ্চুরি করার পরপরই ক্যাচ তুললেন ভলভার্ট। আর সেই ক্যাচ নিতে গিয়ে আমানজোত কৌর ভারতের প্রায় শত কোটি মানুষের হৃৎস্পন্দন প্রায় থামিয়ে দিয়েছিলেন। একবার নয়, দুবার নয়, তৃতীয়বারের চেষ্টাতেই ক্যাচ নিতে পারেন আমানজোত। এবারও বোলার সেই অফ স্পিনার দীপ্তি শর্মা।
৯৮ বলে ১০১ রান করে ভলভার্ট যখন ফিরলেন দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ৪১.১ ওভারে ২২০/৭। এরপর শুধু আনুষ্ঠানিকতাই ছেড়েছে ভারত। দীপ্তি আরও ২টি উইকেট নিয়ে পেয়ে গেছেন ৫ উইকেট। আর ভারত হয়ে গেছে চ্যাম্পিয়ন। এর আগে ব্যাট হাতেও ৫৮ বলে ৫৮ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন দীপ্তি।
ব্যাট হাতে ৮৭ রান করা শেফালি বর্মা বল হাতে নিয়েছেন ২ উইকেট