বাবুরাইলে নিজ বাসায় ফাঁসিতে ঝুলছিল যুবক, খাটে স্ত্রী-সন্তানের লাশ
Published: 15th, September 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জ শহরের বাবুরাইলে নিজ বাসা থেকে একই পরিবারের তিনজনের মারদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টায় ১ নং বাবুরাইল বউ বাজার এলাকার পলাশের বাড়ির ৪ তলার ফ্ল্যাট থেকে মারদেহগুলো উদ্ধার করা হয়। নিহতরা হলেন- মো. হাবিবুল্লাহ শিপলু (৩৫), তার স্ত্রী মোহিনী আক্তার মীম (২৪) ও ছেলে আফরান (৪)।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সদর থানার ওসি নাছির উদ্দিন জানান, হাবিবুল্লাহ শিপলু স্ত্রী সন্তান নিয়ে ভবনের চারতলার ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকতেন। খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে দেখা যায় ফ্ল্যাটের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ করা।
তখন নিহতের আত্মীয়স্বজন ও স্থানীয়দের উপস্থিতিতে দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে পুলিশ। ভেতরের একটি কক্ষের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁছিয়ে ফাঁসিতে ঝুলছিল হাবিবুল্লাহ শিপলুর লাশ। আরেক কক্ষে তার স্ত্রী ও ছেলের মুখের উপর বালিশ ছিল।
নিহত মো.
এদিকে, কোন কাজ না থাকায় নিজেও ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েন শিপলু। মানসিক অবসাদ থেকেই এই ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে ধারণা পুলিশের।
ওসি আরও জানান, লাশগুলো সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তাদের মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানার চেষ্টা চলছে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ হ ব ব ল ল হ শ পল
এছাড়াও পড়ুন:
পারস্পরিক প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষর করল পাকিস্তান-সৌদি আরব
পাকিস্তানের ওপর কেউ হামলা চালালে সৌদি আরব তাদেরকে রক্ষায় এগিয়ে আসবে। আবার সৌদি আরবের ওপর কেউ আগ্রাসন চালালে পাকিস্তানও সৌদি আরবকে রক্ষায় এগিয়ে আসবে। ঠিক এমনই একটি পারস্পরিক প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে সৌদি আরব ও পারমাণবিক শক্তিধর পাকিস্তান।
জিও নিউজের খবর অনুসারে, বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফের সৌদি আরব সফরের সময় এই চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়। সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে শাহবাজের বৈঠকের পর এক যৌথ বিবৃতিতে এ চুক্তির কথা জানানো হয়।
আরো পড়ুন:
এক সপ্তাহে সৌদি আরবে ২০ হাজারের বেশি প্রবাসী গ্রেপ্তার
২০ বছর কোমায় থাকার পর মারা গেলেন সৌদির ‘ঘুমন্ত যুবরাজ’
চুক্তি স্বাক্ষরের পর উভয় দেশ একটি যৌথ বিবৃতিতে জানায় যে, ভ্রাতৃত্ব, ইসলামিক সংহতি ও অভিন্ন কৌশলগত স্বার্থের ভিত্তিতে এবং প্রায় আট দশকের দীর্ঘ অংশীদারত্বের ওপর দাঁড়িয়ে দুই পক্ষ কৌশলগত পারস্পরিক প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।
ক্রাউন প্রিন্সের আমন্ত্রণেই শরিফ সৌদি আরব সফরে গেছেন বলেও তাদের বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, সৌদি আরবের সঙ্গে হওয়া এই প্রতিরক্ষা চুক্তির ফলে এখন ‘এক দেশের বিরুদ্ধে আগ্রাসনকে উভয়ের বিরুদ্ধে আগ্রাসন’ বিবেচনা করা হবে।
বিশেষজ্ঞরা এই চুক্তিকে 'ঐতিহাসিক ও নজিরবিহীন অগ্রগতি' বলে অভিহিত করেছেন। তাদের মতে, এটি পাকিস্তান ও সৌদি আরবের সম্পর্ককে আনুষ্ঠানিক নিরাপত্তার প্রতিশ্রুতিতে উন্নীত করেছে। তারা বলছেন যে, এই পদক্ষেপ কেবল পাকিস্তান-সৌদি সম্পর্ককে দৃঢ় করছে না, বরং দক্ষিণ এশিয়া এবং মুসলিম বিশ্বের জন্যও এর গুরুত্ব রয়েছে। এটি পাকিস্তানকে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা রক্ষার সবচেয়ে সক্ষম মুসলিম শক্তি হিসেবে তুলে ধরেছে।
বিশ্লেষকরা আরও বলছেন যে, সাম্প্রতিক আঞ্চলিক অস্থিরতা, ইসরায়েলের হামলা, দোহা সম্মেলন এবং আরব বিশ্বে সার্বভৌমত্ব নিয়ে উদ্বেগ বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে এই চুক্তির তাৎপর্য অনেক বেশি। এটি প্রমাণ করে যে, বর্ধিত হুমকির সময়ে সৌদি আরব পাকিস্তানকে সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য অংশীদার হিসেবে বিশ্বাস করছে।
পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেখানো হয়, চুক্তি স্বাক্ষরের পর পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ ও সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানকে আলিঙ্গন করতে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির, যাকে দেশটির সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তি হিসেবে দেখা হয়।
ঢাকা/ফিরোজ