চীনের কিছু পাবলিক টয়লেটে সম্প্রতি একটি নতুন নিয়ম শুরু হয়েছে। এতে বিনা পয়সায় টয়লেট পেপার পেতে ব্যবহারকারীদের প্রথমে একটি কিউআর কোড স্ক্যান করতে হবে এবং একটি সংক্ষিপ্ত বিজ্ঞাপন দেখতে হবে।

বিজ্ঞাপন এড়িয়ে টয়লেট পেপার নিতে চাইলে দিতে হবে দশমিক ৫ রেনমিনবি (বাংলাদেশি টাকায় ৫-৬ টাকা)। এই নিয়ম নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। কিন্তু কর্তৃপক্ষ বলছে, অপচয় কমাতে এই উদ্যোগ।

একটি ভিডিওতে দেখা যায়, টয়লেট পেপার পেতে কেউ কেউ কিউআর কোড স্ক্যান করে বিজ্ঞাপন দেখছেন এবং ব্যবহারের জন্য টয়লেট পেপার নিচ্ছেন। বেশি টয়লেট পেপার নিতে হলে অর্থ গুনতে হচ্ছে। তাড়াহুড়ো থাকায় অনেকে কিউআর কোড স্ক্যান করা ও বিজ্ঞাপন বাদ দিয়ে সরাসরি অর্থ দিয়ে টয়লেট পেপার কিনছেন।

সমালোচকেরা বলছেন, ধারণাগত ও প্রায়োগিক দিক থেকে এই নিয়মে সমস্যা আছে। কারণ, সবার সব সময় মুঠোফোন সঙ্গে না–ও থাকতে পারে। মুঠোফোন সঙ্গে থাকলেও তাতে চার্জ না থাকতে পারে। পাসওয়ার্ডে সমস্যা হতে পারে। ইন্টারনেট কাজ না করতে পারে। অথবা অতিরিক্ত পেপার দরকার হলে কেনার মতো অর্থ না–ও থাকতে পারে। তবে অনেকে বলছেন, এতে অপচয় কমানো গেলে নিয়মটি খারাপ নয়।

উদ্বিগ্ন নাগরিকদের মতে, পাবলিক টয়লেট ব্যবহারে এমন নিয়ম থাকা একদম উচিত নয়। এসব নাগরিকের জন্য বিনা শর্তে উন্মুক্ত থাকতে হবে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও কোন সময়ে ধারণা করা এবং এটি চীনের কোন শহরের, তা জানা যায়নি। তবে ভিডিওটি এক্সসহ নানা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রতি ছড়িয়ে পড়েছে।

চীনে পাবলিক টয়লেট নিয়ে বিতর্ক নতুন নয়। ২০১৭ সালে বেইজিংয়ের টেম্পল অব হেভেন পার্কে একটা নিয়ম চালু করা হয়েছিল। এতে চেহারা শনাক্তকারী প্রযুক্তি ব্যবহার করে নির্দিষ্ট পরিমাণ টয়লেট পেপার পাওয়া যেত। ৯ মিনিটের আগে একই ব্যক্তি দ্বিতীয়বার টয়লেট পেপার নিতে পারতেন না।

চীনে পাবলিক টয়লেট ব্যবহার নিয়ে আরেকটি ঘটনাও বেশ সমালোচনা জন্ম দিয়েছিল। দেশটির একটি প্রতিষ্ঠান তাঁদের কর্মীদের জন্য বাথরুম ব্যবহারের সময় নির্ধারণ করে দিয়েছিল। এক দিনে কয়বার টয়লেটে যাওয়া যাবে, তা–ও বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। পরে সমালোচনার মুখে তা প্রত্যাহার করা হয়েছিল।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: টয়ল ট প প র ন ত ব যবহ র

এছাড়াও পড়ুন:

বন্ধুর মোটরসাইকেলে ঘুরতে গিয়ে প্রাণ গেল তরুণীর

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে বন্ধুর সঙ্গে ঘুরতে গিয়ে মোটরসাইকেলের চাকায় ওড়না পেঁচিয়ে সুমাইয়া (১৮) নামের এক তরুণীর মৃত্যু হয়েছে।

সোমবার (৩ নভেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে গোয়ালন্দ উপজেলার জমিদার ব্রিজ এলাকায় ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সুমাইয়া তার বন্ধু মো. সজিব প্রামাণিকের মোটরসাইকেলে চড়ে ঘুরতে বের হন। মোটরসাইকেলটি দ্রুতগতিতে চলার সময় হঠাৎ পেছনের চাকায় সুমাইয়ার ওড়না পেঁচিয়ে যায়। এতে ভারসাম্য হারিয়ে তিনি সড়কে ছিটকে পড়ে মাথায় গুরুতর আঘাত পান। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে দ্রুত তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার রাতে তার মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই বাদী হয়ে সোমবার রাতেই  আহলাদিপুর হাইওয়ে থানায় সজিব প্রামাণিকের বিরুদ্ধে  মামলা দায়ের করেন। মামলার পর ফরিদপুর থেকে সজিবকে মোটরসাইকেলসহ গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

আহলাদিপুর হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শামীম শেখ বলেছেন, সুমাইয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের পরপরই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) সকালে তাকে রাজবাড়ীর আদালতে পাঠানো হয়েছে।

ঢাকা/রবিউল/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ