জার্মান ফুটবলের পরাশক্তি বায়ার্ন মিউনিখ আবারও ছুঁয়ে দেখল ইতিহাস। চলতি ডিএফবি পোকাল তথা জার্মান কাপের ২০২৫-২৬ আসরে আরেকটি দারুণ জয় তুলে নিয়ে তারা টানা ১৪ ম্যাচ অপরাজিত থাকার গৌরব অর্জন করেছে। এর মাধ্যমে ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগের ইতিহাসে নতুন এক রেকর্ড গড়ে নিজেদের নাম স্বর্ণাক্ষরে খোদাই করল তারা।

ভিনসেন্ট কোম্পানির অধীনে এই মৌসুমে বায়ার্ন যেন অন্য গ্রহের এক দল। গ্রীষ্মের ট্রান্সফার উইন্ডোতে লুইস দিয়াজ ও নিকোলাস জ্যাকসনের মতো তারকাদের দলে টেনে শক্তি বাড়ায় জার্মান জায়ান্টরা। এরপর থেকেই তারা খেলছে দুরন্ত ছন্দে। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে টানা ১৪ ম্যাচে জয়!

আরো পড়ুন:

রোহিতের সেঞ্চুরির ‘হাফ-সেঞ্চুরি’, ঢুকলেন এলিট ক্লাবে

রশিদ-জাম্পাকে ছাড়িয়ে বাংলাদেশের রিশাদ

এর আগে বায়ার্ন মিউনিখ ও এসি মিলান যৌথভাবে ১৩ ম্যাচ টানা জয়ের রেকর্ডের মালিক ছিল। তবে জার্মান কাপে বুধবার দিবাগত রাতে কোলনের বিপক্ষে ৪-১ গোলের জয়ে সেই রেকর্ড ভেঙে এককভাবে শীর্ষে উঠে গেছে বাভারিয়ানরা।

সে ম্যাচে লুইস দিয়াজ শুরুতেই গোল করে এগিয়ে দেন দলকে। এরপর হ্যারি কেন ৩৮ ও ৬৪ মিনিটে জোড়া গোল করে ব্যবধান বাড়ান। আর ৭২ মিনিটে মাইকেল ওলিসে গোল করে বায়ার্নের উৎসবে যোগ দেন।

ম্যাচ শেষে বায়ার্নের ডিফেন্ডার জোনাথান তা বলেন, “আমরা সব সময় ক্ষুধার্ত, জয়ের ক্ষুধায়। কখনও সন্তুষ্ট থাকি না। আজকের জয় উপভোগ করছি। তবে কাল থেকেই পরের ম্যাচের প্রস্তুতি শুরু হবে।”

আগামী ১ নভেম্বর বুন্দেসলিগায় বায়ার লেভারকুসেনের মুখোমুখি হবে বায়ার্ন মিউনিখ। এরপর ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নস লিগে ৫ নভেম্বর তাদের অপেক্ষা করছে আরও বড় চ্যালেঞ্জ, প্যারিসে পিএসজির বিপক্ষে লড়াই। বর্তমানে দুই দলই চ্যাম্পিয়নস লিগের পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে অবস্থান করছে। ফলে ম্যাচটি হয়ে উঠবে মর্যাদা ও শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণের এক মহারণ।

ঢাকা/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র কর ড ফ টবল র কর ড

এছাড়াও পড়ুন:

টিকনারের ঝলমলে প্রত্যাবর্তনে নিউ জিল্যান্ডের সিরিজ জয়

এক ম্যাচ বাকি থাকতেই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের আনুষ্ঠানিকতা সারল নিউ জিল্যান্ড। হ্যামিলটনের সেডন পার্কে আজ বুধবার (২৯ অক্টোবর) দ্বিতীয় ওয়ানডে ৫ উইকেটে জিতে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জয় নিশ্চিত করেছে।

প্রথম ওয়ানডের মতোই এটি ছিল নিউ জিল্যান্ডের একতরফা ম্যাচ। এবার তারা ইংল্যান্ডকে থামিয়ে দিয়েছে মাত্র ১৭৫ রানে। সেই লক্ষ্য তাড়া করতে গিয়ে ব্যাট হাতে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন ড্যারিল মিচেল। যিনি প্রথম ওয়ানডেতে ৭৮ রানের অপরাজিত ইনিংসের পর এবারও খেলেছেন ৫৬ রানের ইনিংস। তার আগে রাচিন রবীন্দ্রর ৫৪ রানের ইনিংসই ম্যাচের মূল ভিত গড়ে দেয়। আর অধিনায়ক মিচেল স্যান্টনার ঝড় তুলেছেন ১৭ বলে অপরাজিত ৩৪ রান করে। হাতে তখনো পড়ে ছিল ১০১ বল। যা তাদের আধিপত্যের সাক্ষী।

আরো পড়ুন:

নারী বিশ্বকাপে জয়ে শুরু অস্ট্রেলিয়ার

মার্শ ঝড়ে বৃথা গেল রবিনসনের সেঞ্চুরি, অস্ট্রেলিয়ার দাপুটে জয়

তবে আসল নায়ক ছিলেন ব্লেয়ার টিকনার। প্রায় দুই বছর পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরেই ঝলমলে স্পেল উপহার দেন। তুলে নেন ৪ উইকেট মাত্র ৩৪ রানে! এটাই তার ওয়ানডে ক্যারিয়ারের সেরা বোলিং ফিগার। কাইল জেমিসনের জায়গায় স্কোয়াডে যোগ হয়ে পরে ম্যাট হেনরির ইনজুরিতে সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু এই ফিরে আসা ছিল গভীরভাবে ব্যক্তিগত এক লড়াইয়ের ফল। তার স্ত্রী সারা লিউকেমিয়ায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। এখনও কেমোথেরাপি চলছে। যদিও এখন তিনি রেমিশনে আছেন। টিকনারের ভাষায়, “প্রতিটি দিন এখন একেকটা আশীর্বাদ।” হ্যামিলটনের এই জয় তাই তার জন্যও আবেগে ভরা এক প্রত্যাবর্তন।

ইংল্যান্ডের জন্য দিনটি ছিল একেবারে উল্টো। টানা দ্বিতীয় ম্যাচে তারা ব্যাটিংয়ে ব্যর্থ। প্রথম ওয়ানডের ২২৩ রানের পর এবার অলআউট ১৭৫। শেষ ১৬ ইনিংসে দশমবারের মতো ইনিংস গুটিয়ে গেল তাদের।

এই ম্যাচে হ্যারি ব্রুকও বাঁচাতে পারেননি দলকে। ১২তম ওভারে ৫১ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ক্রিজে নামেন তিনি। কিন্তু থামলেন ৩৪ রানে। যা প্রথম ম্যাচের ১৩৫ রানের মহাকাব্যিক ইনিংসের অনেক নিচে। কিছুটা প্রতিরোধ গড়েছিলেন জেমি ওভারটন। তিনি ২৮ বলে লড়াকু ৪২ রানে ইনিংস খেলেন। বাকিদের ব্যর্থতায় সেই ইনিংসও বৃথা গেল।

তবে ইংল্যান্ডের একমাত্র সান্ত্বনা ছিলেন জোফরা আর্চার। ২০১৯ বিশ্বকাপ ফাইনালের পর প্রথমবার নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে খেলতে নেমেই নিলেন ৩ উইকেট ২৩ রানে। ১০ ওভারের মধ্যে ৪টিই ছিল মেইডেন! ৯০ মাইল গতির ধারালো বোলিংয়ে তিনি নিউ জিল্যান্ডের টপ অর্ডারকে বিপাকে ফেলেছিলেন। কিন্তু রান ডিফেন্ড করার মতো পুঁজি ছিল না তাদের।

টসে জিতে বোলিং নিয়েছিলেন স্যান্টনার। বৃষ্টি দেরি করলেও সিদ্ধান্তটা ছিল সঠিক। শুরুতেই জেকব ডাফি ফিরিয়ে দেন বেন ডাকেটকে। এরপর টিকনার দারুণ ছন্দে পরপর উইকেট তুলে নেন জো রুট ও জ্যাকব বেথেলসহ চারজনের। ইংল্যান্ডের ব্যাটিং ধসে পড়তে সময় লাগেনি।

১৭৫ রানের লক্ষ্য নিউ জিল্যান্ডের জন্য চ্যালেঞ্জ ছিল না। যদিও আর্চার শুরুতেই উইল ইয়াংকে ফিরিয়ে কিছুটা উত্তেজনা আনেন। তবু রবীন্দ্র ও মিচেলের ব্যাটে দ্রুত ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ ফিরে পায় স্বাগতিকরা।

রবীন্দ্র ৫৩ রানে আউট হলেও কাজটা সহজ করে দিয়েছিলেন। এরপর মিচেল ও স্যান্টনার ঝড়ো ৫৯ রানের অপরাজিত জুটিতে ম্যাচ শেষ করে দেন স্টাইলের সঙ্গে। মিচেল পেরিয়ে যান নিজের ১৭তম ওয়ানডে অর্ধশতকের গণ্ডি। আর স্যান্টনার খেলেন মাত্র ১৭ বলে ২টি চার ও ৩ ছক্কায় ৩৪ রানের ইনিংস।

শেষ পর্যন্ত ১৪ ওভার হাতে রেখে জয় তুলে নেয় নিউ জিল্যান্ড। অন্যদিকে ইংল্যান্ডের ওয়ানডে ধস অব্যাহত। ২০২৫ সালে ১৪ ম্যাচে এটা তাদের দশম হার।

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • তদন্ত প্রতিবেদন: ডুবে যাওয়ার ২০ মিনিট উদ্ধার হন সায়মা
  • মাহিমা চৌধুরী-সঞ্জয় মিশ্রা বিয়ে করেছেন?
  • আগে চা পরে লাঞ্চ—বদলে যাচ্ছে ক্রিকেটের শতবর্ষ পুরোনো এক রীতি
  • বিছানায় পড়ে ছিল শিশুর লাশ, মা ঝুলছিলেন ফ্যানে
  • গিল-সূর্যকুমার ঝড়ের পর বৃষ্টির পেটে প্রথম টি-টোয়েন্টি
  • টিকনারের ঝলমলে প্রত্যাবর্তনে নিউ জিল্যান্ডের সিরিজ জয়
  • এক জালে ধরা পড়ল ৬০ মণ ইলিশ, বিক্রি সাড়ে ১৪ লাখ টাকায়
  • প্রিমিয়ার ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও এমডিকে প্রাণনাশের হুমকি এইচ বি এম ইকবালের
  • ‘মোগো যহন সেতু হইল তহন রাস্তা ছেল না, এহন রাস্তা হইছে কিন্তু সেতু নাই’