জকসু: সর্বকনিষ্ঠদের ‘তরুণ শিক্ষার্থী ঐক্য’ প্যানেলের মনোনয়ন সংগ্র
Published: 16th, November 2025 GMT
আসন্ন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচনের ‘তরুণ শিক্ষার্থী ঐক্য’ প্যানেলের প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। জকসুর সব পদেই তাদের ব্যাচের প্রতিনিধি থাকবে বলে জানান তারা।
রবিবার (১৬ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বকনিষ্ঠ ২০তম ব্যাচের নবীন শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিরা শহীদ সাজিদ ভবনে অবস্থিত নির্বাচন কমিশন কার্যালয় থেকে অধিকাংশ মনোনয়ন উত্তোলন করেন।
আরো পড়ুন:
আ.
যশোর শিক্ষাবোর্ডে নতুন করে জিপিএ-৫ পেলেন ৭২ শিক্ষার্থী
২০ ব্যাচের প্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার মূল উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা করে এজিএস প্রার্থী শাহরিয়ার রহমান আবির বলেন, “আমি চাই জকসু নির্বাচনটি যেন সব ভয়ভীতি ও দল-মতের পার্থক্য ছাপিয়ে বছরের সর্ববৃহৎ উৎসবে পরিণত হয়। ২০তম ব্যাচের নেতৃত্বকে দৃশ্যমান করার লক্ষ্য নিয়েই নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি।”
জকসুর সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা খন্দকার সালিল আলম আরাফ পরিবর্তনের অঙ্গীকার নিয়ে বলেন, “আমি ক্ষমতার জন্য নয়, পরিবর্তন আনার জন্য দাঁড়িয়েছি। যে জকসু সমস্যায় চুপ থাকে, সেটি আমার নয়। অন্যায়ের বিরুদ্ধে এবং শিক্ষার্থীদের অধিকারের প্রশ্নে আমি আপসহীন থাকব। প্রতিশ্রুতি নয়, কাজ—এটাই আমার পরিচয়।”
ভিপি পদের প্রার্থী তাওসিন ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের জকসু নির্বাচনকে ‘গণতন্ত্র চর্চার নতুন সূচনা’ হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, “জগন্নাথ কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর হওয়ার পর এবারই প্রথম ছাত্র সংসদ নির্বাচন হতে যাচ্ছে। এটি ইতিবাচক পরিবেশ তৈরি করবে। তবে ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ২২ ডিসেম্বর ভোটগ্রহণের তারিখ পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানাচ্ছি। কারণ ওই সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে শীতকালীন ছুটি থাকে।”
ঢাকা/লিমন/মেহেদী
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
পে-স্কেল বাস্তবায়নের দাবিতে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে মানববন্ধন
১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে নবম পে-স্কেল নবম পে-স্কেল বাস্তবায়নের দাবিতে মানববন্ধন করেছে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১ থেকে ২০তম গ্রেডের কর্মচারীরা।
বাংলাদেশ আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী ফেডারেশনের আহ্বানে রবিবার (১৬ নভেম্বর) পৃথকভাবে এ প্রতিবাদী কর্মসূচি পালন করেন তারা।
আরো পড়ুন:
বেরোবিতে যৌন হয়রানিকারীদের স্থায়ী বহিষ্কার দাবি
সাংবাদিক শামছুলের বিরুদ্ধে করা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত জিডি প্রত্যাহার দাবি
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি)
দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলচত্বরে কুবির ১১ থেকে ২০তম গ্রেডের কর্মচারীরা মানববন্ধন করেন।
মানববন্ধনে গণিত বিভাগের কম্পিউটার অপারেটর এ কে এম কামরুল হাসান বলেন, “মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা অপানি বৈষম্যবিহীন এবং দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার প্রকল্প হাতে নিয়েছেন। কিন্তু আমাদের পেটে যদি ভাত না থাকলে দুর্নীতি না, এর চেয়ে ভয়ংকর কিছু করতে বাধ্য হব। আমাদের যদি দুর্নীতিমুক্ত রাখতে চান তাহলে নবম পে-স্কেল দ্রুত বাস্তবায়ন করেন।”
তিনি আরো বলেন, “আপনারা যদি কর্মচারীদের এভাবে দাবিয়ে রাখেন তাহলে দেশ অচল হয়ে যাবে। সবসময় দেশ দুর্নীতিতে প্রথম হবে। দেশকে দুর্নীতি মুক্ত করার জন্য দেশের কর্মচারীদের একটি মানসম্মত পে-স্কেল দিতে হবে আগামী ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে।”
বাংলাদেশ আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী ফেডারেশনের সহ-সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মো. মাসুদ আলম বলেন, “কর্মচারীদের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার একটা পে কমিশন গঠন করেন এবং বাংলাদেশের পেশাজীবী সংগঠনগুলোকে আমন্ত্রণ জানিয়ে ছিলেন। তখন থেকেই আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী ফেডারেশনের দাবি জানিয়েছেন, ১৫ ডিসেম্বর এর মধ্যেই আমরা একটি প্রজ্ঞাপন চাই। কিন্তু এই সরকার আমাদের সঙ্গে প্রতারণার ফাঁদ পেতেছেন নানা রকম অজুহাতে।”
নবম পে-স্কেল বাস্তবায়নে প্রহসন চলছে অভিযোগ করে তিনি আরো বলেন, “নবম পে-স্কেল আমাদের প্রাণের দাবি। কমিশন গঠন করেছেন আপনারা, নতুন স্বপ্ন দেখিয়েছেন আপনারা। নতুন পে-স্কেল আপনারাই বাস্তবায়ন করবেন।”
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়
নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী সমিতির উদ্যোগে দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে আয়োজিত মানববন্ধনে আগামী ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫-এর মধ্যে দাবি মেনে নেওয়ার আল্টিমেটাম দেওয়া হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, ২০১৫ সালে ঘোষিত অষ্টম পে–স্কেলে ১১ থেকে ২০ গ্রেডের কর্মচারীরা চরম বৈষম্যের শিকার হয়েছেন। ২০ থেকে ১৯ গ্রেডে বেতন বেড়েছে মাত্র ২০০ থেকে ৩০০ টাকা, সর্বোচ্চ ৫০০ টাকা। অথচ ১১ থেকে ১০ গ্রেডে এই পার্থক্য ছিল ৪০০০ থেকে ৫০০০ টাকা পর্যন্ত।
এমনকি ওপরের দিকের কিছু গ্রেডে ১০ হাজার টাকারও বেশি ব্যবধান তৈরি করা হয়েছে দাবি করে কর্মচারী নেতারা বলেন, সাধারণত প্রতি ৫ বছর অন্তর নতুন পে–স্কেল দেওয়া হলেও ২০১৫ সালের পর দীর্ঘ ১০ বছরেও নতুন স্কেল বাস্তবায়ন করা হয়নি। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি কর্মচারীরা বিশেষ আশাবাদী ছিলেন। সরকার বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে বৈঠক করলেও বর্তমানে বলা হচ্ছে—এই সরকারের সময় পে–স্কেল বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। বক্তারা সরকারের এমন অবস্থানের তীব্র নিন্দা জানান।
কর্মচারী সমিতির সভাপতি নজরুল ইসলাম কাজলসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য দেন।
গত জুলাই মাসে নতুন পে কমিশন গঠন করা হয় এবং এই কমিশনকে ৬ মাসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়। যার পরিপ্রেক্ষিতে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা ছিল অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের। তবে অর্থ উপদেষ্টা জানান, এখন হচ্ছে না নতুন পে স্কেল। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিবে আগামী নির্বাচিত সরকার।
ঢাকা/এমদাদুল/মুজিবুর/মেহেদী