বিবলিওথেরাপি: বইয়ের মাধ্যমে মনের আরোগ্য
Published: 23rd, November 2025 GMT
মানুষের জীবনে মানসিক সুস্থতা ঠিক ততটাই গুরুত্বপূর্ণ, যতটা শারীরিক সুস্থতা। আজকের দ্রুতগতির তথ্য ও প্রযুক্তিনির্ভর পৃথিবীতে মানসিক চাপ, উদ্বেগ, বিষণ্নতা ও একাকিত্ব যেন এক অনিবার্য বাস্তবতা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে ‘বিবলিওথেরাপি’ বা বইয়ের মাধ্যমে মানসিক আরোগ্য একটি প্রাচীন অথচ আধুনিক প্রেক্ষাপটে পুনরুজ্জীবিত ধারণা হিসেবে বিশ্বজুড়ে গুরুত্ব পাচ্ছে।
‘বিবলিওথেরাপি’ শব্দটি এসেছে দুটি গ্রিক শব্দ থেকে—‘বিবলিও’ অর্থাৎ ‘বই’ এবং ‘থেরাপিয়া’ অর্থাৎ ‘চিকিৎসা’। সহজভাবে বলতে গেলে, বিবলিওথেরাপি হলো এমন একটি মনস্তাত্ত্বিক চিকিৎসাপদ্ধতি, যেখানে বই পড়ার মাধ্যমে মানসিক প্রশান্তি, আত্মজ্ঞান ও আবেগীয় ভারসাম্য ফিরে পাওয়া যায়। এটি শুধু গল্প বা উপন্যাস পড়া নয়, বরং পাঠকের মানসিক অবস্থার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ বই বা সাহিত্য নির্বাচনের মাধ্যমে তার চিন্তা ও অনুভূতির ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটানো।
বিবলিওথেরাপি এমন একটি মনস্তাত্ত্বিক চিকিৎসাপদ্ধতি, যেখানে বই পড়ার মাধ্যমে মানসিক প্রশান্তি, আত্মজ্ঞান ও আবেগীয় ভারসাম্য ফিরে পাওয়া যায়। বিবলিওথেরাপির কাজ হলো অবস্থার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ বই বা সাহিত্য নির্বাচনের মাধ্যমে পাঠকের চিন্তা ও অনুভূতির ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটানো।আমেরিকান লাইব্রেরি অ্যাসোসিয়েশনের (এএলএ) দেওয়া সংজ্ঞা অনুযায়ী, বিবলিওথেরাপি হলো চিকিৎসা ও মনোরোগবিদ্যায় থেরাপিউটিক সহায়ক হিসেবে নির্বাচিত পাঠ উপকরণের ব্যবহার এবং নির্দেশিত পাঠের মাধ্যমে ব্যক্তিগত সমস্যার সমাধানে নির্দেশনা।
স্যামুয়েল জনসন যথার্থই বলেছিলেন, ‘আ রাইটার অনলি বেগিন আ বুক; আ রিডার ফিনিশেস ইট’ বিবলিওথেরাপি কেবল মানসিক স্বাস্থ্যের নিরাময় নয়, এটি নতুন করে বেঁচে থাকার মন্ত্র। একটি ভালো বই যে আলো জ্বালাতে পারে, তা কোনো ওষুধ বা পরামর্শ হয়তো পারে না।
বিবলিওথেরাপির ইতিহাসবিবলিওথেরাপির শিকড় অনেক প্রাচীন। প্রাচীন গ্রিসে ‘থিবস’ শহরের গ্রন্থাগারের প্রবেশদ্বারে একটি শিলালিপি ছিল—‘হিলিং প্লেস ফর দ্য সোল’, অর্থাৎ ‘এটি আত্মার আরোগ্যের স্থান।’ প্রাচীন মিসরের রাজা দ্বিতীয় রামেসিস তাঁর লাইব্রেরির দরজায় লিখে রেখেছিলেন ‘আত্মা নিরাময়ের ঘর’ এগুলোই ইঙ্গিত দেয় যে মানুষ বহু আগে থেকেই বইকে মনের চিকিৎসা হিসেবে দেখত।
আধুনিক অর্থে ‘বিবলিওথেরাপি’ শব্দটি প্রথম ব্যবহৃত হয় ১৯১৬ সালে স্যামুয়েল ম্যাককর্ড ক্রোথারস ফোনেটিক নামক একজন আমেরিকান ধর্মযাজক, প্রাবন্ধিক ও চিন্তাবিদের প্রবন্ধে। ১৯৪১ সালে ডরল্যান্ডস মেডিকেল ডিকশনারিতে বিবলিওথেরাপি মানসিক স্বাস্থ্য চিকিৎসার অংশ হিসেবে স্বীকৃত পায়। তবে বিশ শতকের মাঝামাঝি এসে এটি মনস্তত্ত্ব ও সমাজচিকিৎসার অংশ হিসেবে সুসংগঠিত রূপ পরিগ্রহ করে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর বিবলিওথেরাপির প্রয়োগদ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ভয়াবহতা শুধু মানুষের দেহ নয়, মনকেও ক্ষতবিক্ষত করেছিল। যুদ্ধ শেষে হাজার হাজার আহত ও মানসিকভাবে বিধ্বস্ত সৈনিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন ছিল। অনেকের মধ্যে হতাশা, অপরাধবোধ, ভয় ও যুদ্ধ-পরবর্তী মানসিক আঘাত (পোস্ট–ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিজঅর্ডার–পিটিএসডি) দেখা দেয়।
এ সময় ইউরোপ ও আমেরিকার হাসপাতালগুলোতে বিশেষভাবে ‘হসপিটাল লাইব্রেরিস’ প্রতিষ্ঠা করা হয়। প্রশিক্ষিত গ্রন্থাগারিক ও মনোবিজ্ঞানীরা সৈনিকদের জন্য মানসিক প্রশান্তিদায়ক বই বেছে দিতেন। গল্প, আত্মজীবনী, ভ্রমণকাহিনি, কবিতা ও ধর্মগ্রন্থ—এসব বই পাঠের মাধ্যমে সৈনিকদের মনে আশার আলো জ্বালানো হতো।
যুক্তরাষ্ট্রের ভেটেরান্স অ্যাডমিনিস্ট্রেশন হাসপাতালগুলোতে ১৯৪০-এর দশকের মাঝামাঝি থেকে ‘বিবলিওথেরাপি প্রোগ্রাম’ চালু করা হয়। গ্রন্থাগারিকেরা রোগীর মানসিক অবস্থা বিশ্লেষণ করে বইয়ের তালিকা তৈরি করতেন। উদাহরণস্বরূপ—যেসব সৈনিক ভয়ের কারণে কথা বলতেন না, তাঁদের দেওয়া হতো সাহসিকতা ও আত্মবিশ্বাসের গল্প; যাঁরা পরিবার হারিয়ে একাকিত্বে ভুগতেন, তাঁদের দেওয়া হতো মানবিক সম্পর্ক ও সহানুভূতির গল্প। ফলাফল ছিল আশাজাগানিয়া—অনেক সৈনিক তাঁদের হতাশা কাটিয়ে নতুন জীবনের স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন। এই সফলতার কারণেই বিবলিওথেরাপি পরবর্তী সময়ে মানসিক স্বাস্থ্যচিকিৎসার স্বীকৃত অংশে পরিণত হয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) তথ্য অনুযায়ী, দেশের প্রায় ১৮ দশমিক ৭ শতাংশ মানুষ কোনো না কোনো মানসিক সমস্যায় ভুগছেন। কিন্তু আমাদের দেশে মনোরোগ চিকিৎসকের সংখ্যা খুবই সীমিত। এ অবস্থায় বিবলিওথেরাপি একটি কার্যকর, সাশ্রয়ী ও মানবিক সমাধান হতে পারে।বিবলিওথেরাপির ধরনবিবলিওথেরাপি সাধারণত দুটি প্রধান ধরনে প্রয়োগ করা হয়—
১.
২. স্ব-সহায়ক বা উন্নয়নমূলক বিবলিওথেরাপি: এখানে পাঠক নিজের ইচ্ছায় এমন বই বেছে নেন, যা তাকে অনুপ্রাণিত করে বা আত্মোন্নয়নে সহায়তা করে। যেমন আত্মজীবনী, প্রেরণাদায়ক সাহিত্য বা আধ্যাত্মিক বই।
বিবলিওথেরাপি কেন মানসিক রোগ নিরাময়ে গুরুত্বপূর্ণমানুষের মন এমন এক জটিল ক্ষেত্র, যেখানে প্রত্যেকের যন্ত্রণা ও প্রতিক্রিয়া ভিন্ন। কিন্তু সাহিত্য, গল্প বা কবিতার মাধ্যমে মানুষ নিজের মতো করে আরেক জীবনের সঙ্গে সংযোগ খুঁজে পায়। এটাই বিবলিওথেরাপির মূল জাদু।
১. সহমর্মিতা জাগায়: গল্পের চরিত্রের সঙ্গে পাঠক নিজের অনুভূতির মিল খুঁজে পায়। এতে একাকিত্ব কমে, সহমর্মিতা বাড়ে এবং নিজের সমস্যাকে নতুন দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা যায়।
২. আবেগ প্রকাশে সাহায্য করে: অনেকেই নিজের ব্যথা বা ভয় প্রকাশ করতে পারেন না। কিন্তু কোনো বইয়ের চরিত্র যখন সেই অনুভূতি প্রকাশ করে, পাঠক মানসিকভাবে মুক্তি পেতে শুরু করেন।
৩. আত্মজ্ঞান বৃদ্ধি করে: পাঠক নিজের চিন্তা ও আচরণ নিয়ে ভাবতে শেখে। এতে আত্মবিশ্লেষণের ক্ষমতা বাড়ে এবং মানসিক ভারসাম্য ফিরে আসে।
৪. স্ট্রেস কমায়: বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত পাঠ মানসিক চাপ ৬০ শতাংশ পর্যন্ত কমাতে পারে। বই পড়া মস্তিষ্কে প্রশান্তি আনে, হার্টরেট ও টেনশন হরমোন কমায়।
৫. আত্মবিশ্বাস গড়ে তোলে: ইতিবাচক গল্প বা প্রেরণাদায়ক বই মানুষের জীবনে আশার আলো জ্বালায়। এতে জীবনের প্রতি বিশ্বাস ও আশাবাদ বাড়ে।
আধুনিক যুগে বিবলিওথেরাপির পুনর্জাগরণএকুশ শতকে মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতনতা অনেক বেড়েছে। পশ্চিমা দেশগুলোতে ‘রিডিং ফর ওয়েল–বিয়িং’ বা ‘বুকস অন প্রেসক্রিপশন’ নামে জাতীয় পর্যায়ের বিবলিওথেরাপি প্রোগ্রাম চালু রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ—যুক্তরাজ্যে ২০১৩ সালে ‘রিডিং ওয়েল’ উদ্যোগ নেওয়া হয়, যেখানে ডাক্তাররা রোগীদের নির্দিষ্ট বই পড়ার পরামর্শ দেন।
বাংলাদেশে বর্তমানে মানসিক রোগে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) তথ্য অনুযায়ী, দেশের প্রায় ১৮ দশমিক ৭ শতাংশ মানুষ কোনো না কোনো মানসিক সমস্যায় ভুগছেন। কিন্তু আমাদের দেশে মনোরোগ চিকিৎসকের সংখ্যা খুবই সীমিত। এ অবস্থায় বিবলিওথেরাপি একটি কার্যকর, সাশ্রয়ী ও মানবিক সমাধান হতে পারে। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও পাবলিক লাইব্রেরিতে ‘রিডিং থেরাপি কর্নার’ স্থাপন করে শিক্ষার্থী ও তরুণদের জন্য ইতিবাচক পাঠাভ্যাস গড়ে তোলা সম্ভব। লাইব্রেরিয়ানরা প্রশিক্ষিত হয়ে মানসিক অবস্থা অনুযায়ী বই সুপারিশ করতে পারেন।
বিবলিওথেরাপি মানুষের অন্তর্নিহিত ক্ষমতাকে জাগিয়ে তোলার এক নীরব শক্তি। বই মানুষের সবচেয়ে বিশ্বস্ত বন্ধু—তা শুধু জ্ঞান দেয় না, মনের গভীরে শান্তির আলো জ্বালায়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সৈনিকদের মনোবল পুনরুদ্ধারের ইতিহাস যেমন প্রমাণ করেছে, তেমনি আজও বই হতে পারে একাকী বা হতাশ মানুষের শ্রেষ্ঠ নিরাময়।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব বল ও গ রন থ মন র গ অন য য় অন ভ ত সমস য অবস থ বইয় র
এছাড়াও পড়ুন:
এইচ–১বি বাতিলের পথে যুক্তরাষ্ট্র: প্রযুক্তি খাতে পরিবর্তনের শঙ্কা
এইচ–১বি ভিসা হলো এমন একটি কর্ম ভিসা, যা উচ্চ দক্ষতাসম্পন্ন বিদেশি পেশাজীবীদের যুক্তরাষ্ট্রে চাকরি ও পরবর্তী সময় স্থায়ী বসবাসের সুযোগ তৈরি করে। সাম্প্রতিক সময়ে এই ভিসার ফি বৃদ্ধি করা হয়েছে। এই ফি মূলত কম বেতনের এইচ–১বি আবেদনকে কঠিন করার উদ্দেশ্যে নেওয়া হয়েছে বলে মনে করছেন অনেকে।
যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস ওম্যান মার্জোরি টেলর গ্রিন শিগগিরই একটি বিল পেশ করতে যাচ্ছেন, যেখানে এইচ–১বি ভিসা প্রোগ্রাম সম্পূর্ণ বিলুপ্তির প্রস্তাব করা হবে। তাঁর দাবি, এই ভিসা কর্মসূচি ‘দীর্ঘদিন ধরে মার্কিন কর্মীদের স্থানচ্যুত করছে’। বিলটি পাস হলে ভিসা শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অভিবাসীদের দেশে ফিরে যেতে বাধ্য করা হবে। এ ছাড়া গ্রিনকার্ড ও পরবর্তী সময় নাগরিকত্ব পাওয়ার পথও বন্ধ হয়ে যাবে।
ফিউচারেন্সের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও রাঘব গুপ্তা বলেন, নতুন নীতির ফলে শুধু গভীর প্রযুক্তিগত দক্ষতাসম্পন্ন বিশেষজ্ঞরাই বিবেচনায় আসবেন। তিনি বলেন, ‘এইচ–১বি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কঠোর অবস্থান বৈশ্বিক টেক নিয়োগকে বিশেষ দক্ষতার দিকে সরিয়ে দিচ্ছে। এআই, ডেটা, ক্লাউড ও সাইবার সিকিউরিটির মতো ক্ষেত্রেই বেশি সুযোগ তৈরি হবে। সাধারণ ক্যাপাসিটিভিত্তিক ভূমিকা আর যুক্তরাষ্ট্রে স্থানান্তরিত হবে না। দূরবর্তী ও হাইব্রিড বৈশ্বিক ভূমিকার চাহিদা বাড়বে এবং যেসব দেশ দক্ষ কর্মশক্তি প্রস্তুতিতে বিনিয়োগ করবে, তারাই সবচেয়ে বেশি লাভবান হবে।’
আরও পড়ুনঅস্ট্রেলিয়া অ্যাওয়ার্ডস ফেলোশিপ, ৬ খাতে বিনা মূল্যে প্রশিক্ষণের সুযোগ১৭ নভেম্বর ২০২৫কোম্পানিগুলোয় অফশোর মডেল শক্তিশালী হচ্ছে
ম্যাভেরিক সিস্টেমস লিমিটেডের সিওও সুব্রামানিয়ান এন এন মনে করেন, নীতি পরিবর্তনে বৈশ্বিক টেক কোম্পানিগুলোর নিয়োগ পরিকল্পনায় তেমন বড় পরিবর্তন না–ও আসতে পারে।
সুব্রামানিয়ান জানান, ‘কোম্পানিগুলো এরই মধ্যে অফশোর ইঞ্জিনিয়ারিং হাব ও অফশোর সেন্টার প্রসারিত করছে। একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় টেক ট্যালেন্ট তৈরিতে বিনিয়োগ বাড়ানো হচ্ছে। গত পাঁচ বছরে আমাদের প্রতিষ্ঠানে এইচ–১বি নির্ভরতা উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে।’
দ্রুত বাড়বে স্কিল–ফার্স্ট গ্লোবাল টিম
নিউটন স্কুলের সহপ্রতিষ্ঠাতা নিশান্ত চন্দ্রা বলেন, প্রস্তাবিত এক লাখ ডলারের এইচ–১বি ফি প্রতিষ্ঠানগুলোকে দ্রুত ভিসানির্ভর নিয়োগ থেকে দূরে সরিয়ে দেবে। তাঁর বিশ্লেষণ, ভারত ও দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ায় অফশোর ও হাইব্রিড টিম আরও বড় হবে। কারণ, খরচ কম এবং দক্ষ জনশক্তির জোগান বাড়ছে। এআই, ডেটা সায়েন্স ও সাইবার সিকিউরিটিতে আঞ্চলিক আপস্কিলিংয়ে বিনিয়োগ বাড়বে, যা ভারতকে শুধু ট্যালেন্ট এক্সপোর্টার নয়; বরং প্রযুক্তি উদ্ভাবনের কেন্দ্রেও পরিণত করবে।
আরও পড়ুনওবামা ফাউন্ডেশনে ছয় মাসের লিডারশিপ প্রোগ্রাম, যেভাবে আবেদন২০ নভেম্বর ২০২৫ভারতসহ এশিয়ায় টেক উদ্ভাবন বাড়ার সম্ভাবনা
বিশ্লেষকদের মতে, নীতি পরিবর্তন বৈশ্বিক কর্মসংস্থানের ধরন বদলে দেবে। ফলে ভিসানির্ভর নিয়োগ কমবে, স্কিল–ফার্স্ট, ডিস্ট্রিবিউটেড টেক টিম বাড়বে এবং ভারত ও দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ার অফশোর হাবের গুরুত্ব আরও বৃদ্ধি পাবে।
এশীয় দেশগুলোয় অপারেশনাল খরচ যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের তুলনায় ৪০ থেকে ৬০ শতাংশ কম। কর্মী হ্রাস ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ কম হওয়ায় টেক কোম্পানিগুলো সেখানে বড় টিম গড়তে উৎসাহী হবে।
আরও পড়ুনযুক্তরাষ্ট্রের এফ–১ ও এইচ–১বি ভিসা নীতি: শিক্ষার্থীদের সংকট আসলে কেমন হবে২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ট্রাম্প প্রশাসন কি নমনীয় হচ্ছে?
অন্যদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে জানান, নির্দিষ্ট কিছু ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের বিদেশি প্রতিভা প্রয়োজন। তাঁর মতে, জটিল ও সংবেদনশীল খাতে, বিশেষ করে প্রতিরক্ষা খাতে দীর্ঘদিন বেকার থাকা মার্কিন নাগরিকদের অল্প সময়ে প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ করা সম্ভব নয়, তাই দক্ষ অভিবাসীর প্রয়োজন রয়ে গেছে।