রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে দৌলতদিয়ায় ৭ নম্বর ফেরিঘাটের সামনে নাব্যতা সংকট দূর করতে খনন শুরু করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। এতে গতকাল শনিবার সকাল থেকে ঘাটটি বন্ধ। বর্তমানে সেখানে চালু আছে মাত্র দুটি ঘাট। ফলে যানবাহন পারাপার ব্যাহত ও যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।

বিআইডব্লিউটিসি ও বিআইডব্লিউটিএর আরিচা কার্যালয় সূত্র জানায়, চলতি বছরের সেপ্টেম্বরের শুরু থেকে পদ্মা নদীতে পানি কমতে থাকায় রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ও মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া নৌপথে ফেরি চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিআইডব্লিউটিএ গত ২১ সেপ্টেম্বর দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় ড্রেজিং কার্যক্রম শুরু করে। দীর্ঘদিন পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলেও এক সপ্তাহ ধরে ৭ নম্বর ঘাটের কাছে ফেরি ভেড়াতে সমস্যা দেখা দেয়।

হঠাৎ ৭ নম্বর ফেরিঘাট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় যাত্রী ও যানবাহনের চালকেরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। প্রায় এক কিলোমিটার ঘুরে ৩ ও ৪ নম্বর ঘাট দিয়ে নদী পারাপার হতে হচ্ছে। এতে সময় ও জ্বালানি খরচ বেড়েছে।

ঢাকাগামী দূরপাল্লার পরিবহনের ঘাট তত্ত্বাবধায়ক বারেক শেখ বলেন, নদী পাড়ি দিতে অধিকাংশ চালক ৭ নম্বর ফেরিঘাটে আসেন। শনিবার সকাল থেকে ঘাটটি বন্ধ করে দেওয়ায় অনেকে এসে ফিরে যান। উপায় না পেয়ে প্রায় এক কিলোমিটার পথ ঘুরে ৩ ও ৪ নম্বর ঘাট দিয়ে পারাপার হচ্ছেন।

বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া কার্যালয়ের সহকারী মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন বলেন, নদীতে নাব্যতা স্বল্পতা নেই। তবে ৭ নম্বর ঘাটের আপ পকেটের সামনে নাব্যতা কম থাকায় ফেরি ভিড়তে সমস্যা হচ্ছিল। ওই ঘাটের সামনে বিআইডব্লিউটিএর ড্রেজার মেশিন বসানোর ফলে ঘাটে কোনো ফেরি ভিড়তে পারছে না। ঘাটটি আগামী দু-তিন দিন বন্ধ থাকতে পারে।

বিআইডব্লিউটিএ আরিচা কার্যালয়ের ড্রেজিং বিভাগের নির্বাহী পরিচালক হাছান আহমেদ বলেন, দৌলতদিয়ার ৭ নম্বর ঘাটের আপ পকেটের সামনে প্রায় ৫০০ ফুট এলাকায় চূড়ান্ত ড্রেজিং চলছে। প্রায় দুই হাজার ফুট ভাসমান পাইপ থাকায় ফেরি ভিড়তে সমস্যা হচ্ছে। সে কারণে ঘাটটি সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে। দু–তিন দিনের মধ্যে ঘাটটি চালু হবে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ট র স মন দ লতদ য়

এছাড়াও পড়ুন:

এক বছরে পারাপারে দুর্ভোগ কতটা কমল, কী বলছেন যাত্রীরা

মধ্যযুগে লবণ ও কাঠের তৈরি জাহাজ নির্মাণের জন্য সন্দ্বীপের খ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছিল উপমহাদেশের গণ্ডি পেরিয়ে ইউরোপ পর্যন্ত। মধ্যযুগের সেই বিখ্যাত বন্দর সন্দ্বীপের পূর্ব উপকূলের গুপ্তছড়া ঘাটকে ২০২৪ সালের ১১ ডিসেম্বর উপকূলীয় নদীবন্দর ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করে সরকার। এই সিদ্ধান্তে আনন্দে মেতে উঠেছিল প্রাচীন এই দ্বীপের চার লাখ বাসিন্দা। তবে এক বছর পার হলেও যাত্রীদের দুর্ভোগ দূর হয়নি পুরোপুরি।

নদীবন্দর ঘোষণার ফলে ঘাটের মালিকানা নিয়ে চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের সঙ্গে বিআইডব্লিউটিএর দীর্ঘদিনের দ্বন্দ্বের অবসান হয়। এ বছরের ২৪ মার্চ ফেরি চলাচল শুরু হয় সীতাকুণ্ডের বাঁশবাড়িয়া থেকে সন্দ্বীপের গুপ্তছড়া ঘাটে।

সরকারি গেজেট প্রকাশের এক বছর পার হলেও ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী সীমানা জরিপের কাজ শুরু হয়নি বলে জানা গেছে। ভৌগোলিক নানামুখী বিপত্তির মুখে ফেরি চলাচল নির্বিঘ্ন করার চ্যালেঞ্জ দূর করা সম্ভব হয়নি এই এক বছরে। করা হয়নি সম্ভাব্যতা যাচাইসহ গুরুত্বপূর্ণ সমীক্ষা। সম্ভাব্যতা যাচাই বা আনুষঙ্গিক সমীক্ষা ছাড়া ফেরি চলাচলের মতো ব্যয়বহুল সিদ্ধান্ত নেওয়ার সমালোচনা করেছেন সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা। যাত্রীরা জানিয়েছেন, এই সময়ে ফেরিঘাটের উল্লেখযোগ্য কোনো পরিবর্তন ঘটেনি। তবে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান দাবি করেছেন, দেশের কোনো নদীবন্দরে এক বছরের মাথায় এত কাজ হয়নি যতটা সন্দ্বীপ নদীবন্দরে হয়েছে।

ফেরি কপোতাক্ষের বদলে এখন থেকে চলাচল করবে সি-ট্রাক এসটি নিঝুম দ্বীপ। ৭ ডিসেম্বর গুপ্তছড়া প্রান্ত থেকে তোলা

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কক্সবাজার বিমানবন্দরের নির্মাণাধীন লাইটিং জেটি উচ্ছেদের সুপারিশ বিআইডব্লিউটিএর
  • এক বছরে পারাপারে দুর্ভোগ কতটা কমল, কী বলছেন যাত্রীরা