চট্টগ্রাম ওয়াসায় আরেকটি বড় চাকরি, পদ ১৪৪
Published: 14th, December 2025 GMT
চট্টগ্রাম ওয়াসার রাজস্ব খাতে নবম থেকে ২০তম গ্রেডের ২৪ ক্যাটাগরির পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। মোট পদসংখ্যা ১৪৪টি। আবেদনের শেষ তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫।
পদের নাম ও বিবরণ ১. গবেষণা কর্মকর্তা
পদসংখ্যা: ০১
গ্রেড ও বেতন স্কেল: ২২,০০০-৫৩,০৬০ টাকা (গ্রেড-৯)
২. রাজস্ব কর্মকর্তা (বিলিং/হিসাব)
পদসংখ্যা: ০১
গ্রেড ও বেতন স্কেল: ২২,০০০-৫৩,০৬০ টাকা (গ্রেড-৯)
৩.
ক্রয় কর্মকর্তা
পদসংখ্যা: ০১
গ্রেড ও বেতন স্কেল: ২২,০০০-৫৩,০৬০ টাকা (গ্রেড-৯)
৪. কানুনগো
পদসংখ্যা: ০১
গ্রেড ও বেতন স্কেল: ১৬,০০০-৩৮,৬৪০ টাকা (গ্রেড-১০)
৫. রাজস্ব তত্ত্বাবধায়ক
পদসংখ্যা: ০৩
গ্রেড ও বেতন স্কেল: ১২,৫০০-৩০,২৩০ টাকা (গ্রেড-১১)
৬. কম্পিউটার অপারেটর
পদসংখ্যা: ০৪
গ্রেড ও বেতন স্কেল: ১১,০০০-২৬,৫৯০ টাকা (গ্রেড-১৩)
৭. উচ্চমান সহকারী
পদসংখ্যা: ০৩
গ্রেড ও বেতন স্কেল: ১০,২০০-২৪,৬৮০ টাকা (গ্রেড-১৪)
৮. হিসাব সহকারী
পদসংখ্যা: ০২
গ্রেড ও বেতন স্কেল: ১০,২০০-২৪,৬৮০ টাকা (গ্রেড-১৪)
৯. ল্যাব: অ্যাসিস্ট্যান্ট
পদসংখ্যা: ০২
গ্রেড ও বেতন স্কেল: ১০,২০০-২৪,৬৮০ টাকা (গ্রেড-১৪)
১০. নার্স
পদসংখ্যা: ০১
গ্রেড ও বেতন স্কেল: ৯,৭০০-২৩,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৫)
১১. ড্রাফটসম্যান
পদসংখ্যা: ০১
গ্রেড ও বেতন স্কেল: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৬)
১২. অফিস সহকারী-কাম-কম্পিডটার মুদ্রাক্ষরিক
পদসংখ্যা: ১০
গ্রেড ও বেতন স্কেল: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৬)
১৩. জুনিয়র হিসাব সহকারী-কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক
পদসংখ্যা: ১১
গ্রেড ও বেতন স্কেল: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৬)
১৪. ক্যাশিয়ার
পদসংখ্যা: ০১
গ্রেড ও বেতন স্কেল: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৬)
১৫. ডাটা এন্ট্রি অপারেটর
পদসংখ্যা: ০১
গ্রেড ও বেতন স্কেল: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৬)
১৬. মিটার পরিদর্শক
পদসংখ্যা: ০৮
গ্রেড ও বেতন স্কেল: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৬)
১৭. কার্য-সহকারী
পদসংখ্যা: ০৪
গ্রেড ও বেতন স্কেল: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৬)
১৮. অপারেটর (পাম্প, ক্লোরিন, লাইম, ফিল্টার)
পদসংখ্যা: ৩৮
গ্রেড ও বেতন স্কেল: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৬)
১৯. কেয়ার টেকার
পদসংখ্যা: ০১
গ্রেড ও বেতন স্কেল: ৯,০০০-২১,৮০০ টাকা (গ্রেড-১৭)
২০. ফটোকপি অপারেটর
পদসংখ্যা: ০১
গ্রেড ও বেতন স্কেল: ৮,৮০০-২১,৩১০ টাকা (গ্রেড-১৮)
২১. মেকানিক
পদসংখ্যা: ০২
গ্রেড ও বেতন স্কেল: ৮,৮০০-২১,৩১০ টাকা (গ্রেড-১৮)
২২. জুনিয়র ইলেকট্রিশিয়ান
পদসংখ্যা: ০৬
গ্রেড ও বেতন স্কেল: ৮,৮০০-২১,৩১০ টাকা (গ্রেড-১৮)
২৩. সহকারী নিরাপত্তা পরিদর্শক
পদসংখ্যা: ০১
গ্রেড ও বেতন স্কেল: ৮,৮০০-২১,৩১০ টাকা (গ্রেড-১৮)
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র পদস খ য গ র ড ১৬ ড স ম বর গ র ড ১৮ সহক র
এছাড়াও পড়ুন:
সেন্ট মার্টিনে যেতে পর্যটকের চাপ, ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সব টিকিট আগাম বিক্রি
সেন্ট মার্টিন দ্বীপে পর্যটকের চাপ বেড়েছে। কক্সবাজার শহর থেকে প্রতিদিন ছয়টি জাহাজে প্রায় দুই হাজার পর্যটক দ্বীপটিতে যাচ্ছেন। মৌসুমের শুরুতে দৈনিক যেতেন ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৩৫০ জন। জাহাজমালিকেরা জানিয়েছেন, পর্যটকের চাপে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সব জাহাজের টিকিট আগাম বিক্রি হয়ে গেছে।
জাহাজমালিকদের তথ্য অনুযায়ী, প্রতিদিন অন্তত তিন হাজার পর্যটক সেন্ট মার্টিন যেতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। তবে সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, দৈনিক দুই হাজারের বেশি পর্যটক বহনের অনুমতি নেই। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে এই নৌপথে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধ হয়ে যাবে।
গত ১৩ দিনে অন্তত ২১ হাজার পর্যটক সেন্ট মার্টিন ভ্রমণ করেছেন। এমভি কর্ণফুলী এক্সপ্রেস, এমভি বার আউলিয়া, কেয়ারি সিন্দাবাদ ও কেয়ারি ক্রুজের পরিচালকেরা ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত টিকিট বিক্রি শেষ হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জাহাজমালিকদের সংগঠন সি ক্রুজ অপারেটর ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক হোসাইন ইসলাম বাহাদুর বলেন, ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কোনো জাহাজের টিকিট অবিক্রীত নেই। এমভি কর্ণফুলী জাহাজের টিকিট আগামী ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত অগ্রিম বিক্রি হয়ে গেছে। অন্য পাঁচটি জাহাজের প্রায় ৫০ শতাংশ টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে।
এর আগে গত ১ নভেম্বর থেকে পর্যটকদের জন্য সেন্ট মার্টিন দ্বীপ উন্মুক্ত করা হয়। তবে নভেম্বর মাসে রাতযাপনের অনুমতি না থাকা ও জাহাজ চলাচল সীমিত থাকায় সে মাসে কোনো পর্যটক দ্বীপে যাননি। চলতি ডিসেম্বর ও জানুয়ারি মাসে রাতযাপনের সুযোগ রাখায় পর্যটক বেড়েছে।
কক্সবাজার হোটেল-গেস্টহাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার প্রথম আলোকে বলেন, গত শুক্র ও শনিবার কক্সবাজার সৈকতে অন্তত দুই লাখ পর্যটক এসেছেন। তাঁদের অনেকেরই সেন্ট মার্টিন যাওয়ার ইচ্ছা ছিল। কিন্তু আসনসংখ্যা সীমিত হওয়ায় সেই ইচ্ছা অনেকের পূরণ হয়নি।
কঠোর নজরদারিতে পর্যটকসেন্ট মার্টিন যেতে পর্যটকদের বিভিন্ন নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। নির্দেশনা অনুযায়ী, বিআইডব্লিউটিএ ও পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন ছাড়া কোনো নৌযান সেন্ট মার্টিনে চলাচল করতে পারবে না। পর্যটকদের বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের স্বীকৃত ওয়েব পোর্টালের মাধ্যমে অনলাইনে টিকিট কিনতে হবে। প্রতিটি টিকিটে ট্রাভেল পাস ও কিউআর কোড সংযুক্ত থাকবে।
এ ছাড়া দ্বীপের পরিবেশ রক্ষায় রাতের বেলায় সৈকতে আলো জ্বালানো, উচ্চ শব্দ, বারবিকিউ পার্টি, কেয়াবনে প্রবেশ, কেয়া ফল সংগ্রহ বা কেনাবেচা, সামুদ্রিক কাছিম, পাখি, প্রবাল, রাজকাঁকড়া, শামুক-ঝিনুকসহ জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সৈকতে মোটরসাইকেল, সি-বাইকসহ সব ধরনের মোটরচালিত যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। প্লাস্টিক ও পলিথিন ব্যবহারেও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
পরিবেশ অধিদপ্তরের কক্সবাজার কার্যালয় উপপরিচালক খন্দকার মাহবুব পাশা প্রথম আলোকে বলেন, দ্বীপে ভ্রমণের ক্ষেত্রে সরকারের ১২ দফা নির্দেশনা কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। কিউআর কোড সংযুক্ত টিকিট ছাড়া কাউকে জাহাজে উঠতে দেওয়া হচ্ছে না। দৈনিক দুই হাজারের বেশি পর্যটকও যেতে পারবেন না। যাত্রীরা প্লাস্টিক বা পলিথিন বহন করছেন কি না, তা জাহাজে ওঠার আগেই তদারকি হচ্ছে।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার অঞ্চলের প্রধান ও অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ বলেন, সেন্ট মার্টিন যাতায়াত ও দ্বীপে পর্যটকদের নিরাপত্তায় ট্যুরিস্ট পুলিশ কাজ করছে। পাশাপাশি পরিবেশ সংরক্ষণেও নজরদারি চলছে।
উল্লেখ্য, ১৯৯৯ সালে সেন্টমার্টিন দ্বীপকে প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা (ইসিএ) ঘোষণা করা হয়। সর্বশেষ ২০২৩ সালের ৪ জানুয়ারি বন্য প্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন অনুযায়ী, দ্বীপসংলগ্ন বঙ্গোপসাগরের ১ হাজার ৭৪৩ বর্গকিলোমিটার এলাকাকে সামুদ্রিক সংরক্ষিত এলাকা ঘোষণা করে পরিবেশ মন্ত্রণালয়।