খুলনায় অস্ত্র তৈরির ‘কারখানার’ সন্ধান, আটক ৪
Published: 13th, December 2025 GMT
খুলনা নগরের জোড়াগেট এলাকায় অভিযান চালিয়ে অবৈধ অস্ত্র তৈরির একটি কারখানার সন্ধান পাওয়ার দাবি করেছে পুলিশ। এ সময় চারজনকে আটক করা হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় খুলনা মহানগর পুলিশের (কেএমপি) গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) এ অভিযান পরিচালনা করে।
পুলিশের দাবি, অভিযানে অস্ত্র তৈরির ছাঁচ, সিসা, ট্রিগার, ট্রিগার গার্ডসহ প্রায় ৩০–৩৫টি অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে।
এই ঘটনায় আটক ব্যক্তিরা হলেন নজরুল ইসলাম, কর্মচারী শহিদুল, পিকলু ও আকবর আলী। তাঁদের মধ্যে নজরুল দোহা আয়রন ফাউন্ডার নামের একটি কারখানার মালিক, বাকিরা অস্ত্র তৈরির কারিগর বলে জানিয়েছে পুলিশ।
কেএমপির উপপুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, ডিবির কাছে তথ্য ছিল যে জোড়াগেট এলাকায় অস্ত্র তৈরির একটি কারখানা রয়েছে। সেই তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে সরঞ্জাম ও যন্ত্রাংশ উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার করা যন্ত্রাংশগুলো অ্যাসেম্বল করলে ৩০টির মতো অস্ত্র তৈরি করা সম্ভব। এগুলোর মধ্যে ওয়ান শুটার গান ও পিস্তলের যন্ত্রাংশ রয়েছে। এসব যন্ত্রাংশের ফিনিশিংয়ের জন্য তাঁদের আলাদা আরেকটি সেক্টর রয়েছে। সেখানে ফিনিশিং শেষে পূর্ণাঙ্গ ওয়ান শুটার গান ও পিস্তল তৈরি করা হতো।
নির্বাচনের সময়কে সামনে রেখে এসব অস্ত্র তৈরি করা হচ্ছিল কি না—এমন প্রশ্নে তাজুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে এসব অস্ত্র সন্ত্রাসীদের কাছে যাওয়ার তথ্য ছিল। সাধারণত জলদস্যু ও সন্ত্রাসীরা এ ধরনের অস্ত্র ব্যবহার করে থাকে। ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত এখনো শেষ হয়নি। পুরো নেটওয়ার্ক সম্পর্কে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত বিস্তারিত বলা সম্ভব নয়। আটক চারজনের মধ্যে তিনজন কারিগর, যাঁরা অস্ত্র তৈরিতে পারদর্শী। এ ঘটনায় আইনগত প্রক্রিয়া চলছে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ওসমান হাদির ওপর হামলা নির্বাচন বানচালের হীন চেষ্টা: অধিকার
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে গুলির ঘটনায় গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে মানবাধিকার সংগঠন অধিকার। আজ শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলা আসন্ন নির্বাচনকে বানচাল করার একটি হীন চেষ্টা।
হামলার সঙ্গে জড়িত সব অভিযুক্তকে দ্রুত শনাক্ত করে গ্রেপ্তার এবং ঘটনার একটি নিরপেক্ষ, স্বচ্ছ ও বিশ্বাসযোগ্য তদন্ত নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।
শরিফ ওসমান হাদি ‘ভারতীয় আধিপত্যবাদ’ এবং শেখ হাসিনার মানবতাবিরোধী অপরাধের বিরুদ্ধে উচ্চকণ্ঠ বক্তা হিসেবে পরিচিত উল্লেখ করে সংগঠনটির দাবি, সাম্প্রতিক সময়ে তাঁকে আওয়ামী লীগ ও ভারতের বিভিন্ন ফোন নম্বর থেকে হত্যার হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। অতীতের একটি ঘটনার উদাহরণ হিসেবে অধিকার বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের হত্যাকাণ্ডের কথাও উল্লেখ করেছে।
হাদিকে গুলি করার ঘটনায় জড়িত সবাইকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানিয়ে সংগঠনটি রাজনৈতিক সহিংসতা ও দুর্বৃত্তায়নের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়ে আইনের শাসন, মানবাধিকার সুরক্ষা এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ রক্ষায় কার্যকর ও দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছে।
সংগঠনটি অভিযোগ করে, ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে শেখ হাসিনার সরকারের অধীনে ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে। এই সরকারের সময়ে অনুষ্ঠিত জাতীয় ও অন্য নির্বাচনগুলোকে তারা ভুয়া হিসেবে বিবেচনা করে।
সংগঠনটি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি, গোয়েন্দা নজরদারি জোরদার, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও অস্ত্র প্রবেশ রোধে নির্বাচন কমিশন ও সরকারকে আরও তৎপর হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। একই সঙ্গে নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী সব দলের প্রতি দায়িত্বশীল আচরণ এবং দলীয় ও অন্তর্দলীয় কোন্দল বন্ধে শীর্ষ নেতৃত্বের ভূমিকার ওপর জোর দেয়।