ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদিকে গুলি করার ঘটনায় সন্দেহভাজন একজনকে শনাক্ত করেছে পুলিশ। বলা হচ্ছে, ওই ব্যক্তির নাম ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান। এই ব্যক্তি কে, তাঁর পরিচয় কী, তা নিয়ে কৌতূহল তৈরি হয়েছে।

প্রথম আলো খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছে, ফয়সাল করিম নামের এই ব্যক্তি কার্যক্রমনিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্রলীগের (এখন নিষিদ্ধ) রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ২০১৯ সালের ১১ মে ঘোষিত কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে তিনি সদস্য হয়েছিলেন। তাঁর পুরো নাম ফয়সাল করিম দাউদ খান।

নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরদিন গতকাল শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে গুলিবিদ্ধ হন ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা–৮ সংসদীয় আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী ওসমান হাদি। মোটরসাইকেলে থাকা আততায়ী তাঁকে গুলি করে মোটরসাইকেলে করেই পালিয়ে যায়। হাদি এখন রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁর অবস্থা এখনো শঙ্কামুক্ত নয় বলে জানিয়েছে ইনকিলাব মঞ্চ।

ওসমান হাদির প্রতিষ্ঠিত ইনকিলাব কালচারাল সেন্টারসহ বিভিন্ন জায়গায় তাঁর সঙ্গে ফয়সাল করিমের সাম্প্রতিক সময়ের কিছু ছবি রয়েছে। সেই ছবিগুলোতে থাকা ফয়সাল করিমের সঙ্গে আততায়ীর চেহারার সাদৃশ্য থাকায় গুলি ছোড়ার ঘটনায় তাঁকে সন্দেহ করা হচ্ছে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক ও বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিবেদনও প্রকাশিত হয়েছে।

ব্যাটারিচালিত রিকশায় বসা ওসমান হাদিকে গুলি করেন মোটরসাইকেলের পেছনে বসা ব্যক্তি। দ্রুত ঘটনা ঘটিয়ে তাঁরা ওই মোটরসাইকেলে সেখান থেকে চলে যান.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ওসম ন হ দ ইনক ল ব

এছাড়াও পড়ুন:

সারা দেশে ২৪ ঘণ্টায় পরোয়ানাভুক্ত আসামিসহ গ্রেপ্তার ১৫০৬

সারা দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে পরোয়ানাভুক্ত ও মামলার আসামিসহ ১ হাজার ৫০৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শনিবার পুলিশ সদর দপ্তরের পাঠানো এক খুদে বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।

খুদে বার্তায় বলা হয়, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে ৯৬৯ জন পরোয়ানাভুক্ত ও মামলার আসামি। বাকি ৫৩৭ জনকে বিভিন্ন অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

পুলিশ সদর দপ্তর জানায়, অভিযানে দুটি ওয়ান শুটার গান, একটি পিস্তল, একটি দেশীয় একনলা বন্দুক, একটি মরিচাপড়া তাজা কার্তুজ, চারটি গুলির খোসা, ৪টি কার্তুজ, ২টি হাতবোমা ও একটি চায়নিজ কুড়াল উদ্ধার করা হয়েছে।

উত্তরায় মাদকসহ গ্রেপ্তার ১০

এদিকে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগ আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, রাজধানীর উত্তরা পূর্ব থানার বিভিন্ন এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে মাদকসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন শাহ আলম (৪৭), মো. সোহেল রানা (৩০), মো. রাকিবুল হাসান (৩০), মো. ফারদীন ইসলাম (১৯), রাকিবুর হাসান (১৯), স্বাধীন প্রামাণিক (৪১), সুজন মিয়া (২৫), সিয়াম আহমেদ (২৯), লিটন মিয়া (২৭) ও সোহেল রানা (১৯)। তাঁদের মধ্যে শাহ আলমের কাছ থেকে ১ হাজার ৯৬০ট পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।

উত্তরা পূর্ব থানা পুলিশের বরাত দিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, গ্রেপ্তার ১০ জনের মধ্যে ৯ জনকে ঢাকা মহানগরী পুলিশ অধ্যাদেশ অনুযায়ী বিশেষ ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মাধ্যমে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। আর শাহ আলমের বিরুদ্ধে উত্তরা পূর্ব থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করে তাঁকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ