হাদির ওপর গুলি করা আসামি যেন পালাতে না পারেন, সে জন্য ফেনী সীমান্তে কড়াকড়ি
Published: 13th, December 2025 GMT
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা–৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির ওপর গুলিবর্ষণের ঘটনায় জড়িত আসামিরা যেন দেশ ছেড়ে পালাতে না পারেন, সে জন্য ফেনী সীমান্তে বিজিবির তল্লাশি ও টহল জোরদার করা হয়েছে।
বিজিবি সূত্র জানায়, গতকাল শুক্রবার রাত থেকে ফেনী ব্যাটালিয়ন (৪ বিজিবি) সীমান্ত এলাকায় তল্লাশি কার্যক্রম ও টহল বৃদ্ধি করেছে। একই সঙ্গে পুলিশসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে যৌথভাবে চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
আজ শনিবার দুপুরে বিজিবির পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বর্তমান পরিস্থিতিতে সীমান্ত এলাকায় নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। বিজিবির সদস্যরা পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় করে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে যৌথ চেকপোস্ট ও টহল কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।
শুক্রবার রাত থেকে পরশুরাম উপজেলার বক্সমাহমুদ উচ্চবিদ্যালয় এলাকা ও আলাউদ্দিন চৌধুরী নাসিম কলেজ এলাকা, ছাগলনাইয়া উপজেলার জিরো পয়েন্ট ও শুভপুর সেতু এলাকা এবং ফুলগাজী উপজেলার আমজাদের হাট এলাকায় টহল জোরদার করা হয়েছে।
ফেনী সীমান্তে বিজিবির তল্লাশি.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ঢাবিতে শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২৫–২০২৬ শিক্ষাবর্ষের কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের প্রথম বর্ষ স্নাতক (আন্ডারগ্র্যাজুয়েট) প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার অনুষ্ঠিত এই ভর্তি পরীক্ষায় মোট ২ হাজার ৯৩৪টি আসনের বিপরীতে ১ লাখ ৭ হাজার ৭০১ জন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ ভবনের পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। এ সময় উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এম. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, ভর্তি পরীক্ষার কো-অর্ডিনেটর ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. তৈয়েবুর রহমান এবং প্রক্টর অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ উপস্থিত ছিলেন।
আরো পড়ুন:
বেরোবিতে ঢাবির বি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত
জবিতে ভর্তির আবেদন ৫ ডিসেম্বর ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত বৃদ্ধি
পরীক্ষাকেন্দ্র পরিদর্শন শেষে উপাচার্য বলেন, “অত্যন্ত সুশৃঙ্খল, শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু পরিবেশে এই ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এবছর প্রতি আসনের বিপরীতে প্রায় ৩৯ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন, যা একটি কঠিন প্রতিযোগিতা।”ৎ
তিনি অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে সন্তানদের ওপর কোনো ধরনের মানসিক চাপ সৃষ্টি করা উচিত নয়। ভর্তির সুযোগ পাওয়া মানেই জীবনের শেষ কথা নয়। প্রতিটি শিক্ষার্থীর নিজস্ব সক্ষমতা রয়েছে, যা বিকাশের সুযোগ দেওয়া প্রয়োজন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ ঢাকার বাইরে সাতটি বিভাগীয় শহরের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে একযোগে এই ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকার বাইরে কেন্দ্রগুলো ছিল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (ময়মনসিংহ) এবং বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়।
ঢাকা/ সৌরভ/জান্নাত
পুলিশ কমিশন ও এনজিও আইন করার পেছনে সরকারের ‘ভিন্ন উদ্দেশ্য’ দেখছে বিএনপি