মেসিদের বিদায় দিতে গিয়ে পুলিশের হাতে আটক আয়োজকপ্রধান
Published: 13th, December 2025 GMT
লিওনেল মেসির সফরকে কেন্দ্র করে তুলকালাম হয়েছে কলকাতায়। পূর্বনির্ধারিত সূচি অনুসারে যুব ভারতী স্টেডিয়ামে ল্যাপ অব অনার নেওয়ার কথা ছিল মেসির। কিন্তু তা না হওয়ায় চরম বিশৃঙ্খলা দেখা দেয় স্টেডিয়ামে। মেসিকে ঠিকমতো দেখতে না পাওয়ায় ক্ষুব্ধ ভক্তরা গ্যালারিতে ভাঙচুর চালিয়েছেন, মাঠেও ঢুকে পড়েন অনেকে। এমন অবস্থায় মেসিও দ্রুত মাঠ ছেড়ে চলে যান। বাতিল করা হয় প্রদর্শনী ম্যাচও। এই ঘটনায় কলকাতা পুলিশ আটক করেছে আয়োজকের প্রধান শতদ্রু দত্তকে।
যুব ভারতীতে কথা বলছেন আয়োজকদের প্রধান শতদ্রু দত্ত.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ইবির ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের সভাপতি হলেন প্রফেসর ড. মোহাম্ম
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের সভাপতি হিসেবে প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মামুন আল রশীদকে নিয়োগ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তিনি আগামী ১১ ডিসেম্বর থেকে পরবর্তী তিন (০৩) বছর এ দায়িত্ব পালন করবেন। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহর উপস্থিতিতে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। বিভাগীয় সভা কক্ষে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে বিদায়ী সভাপতি প্রফেসর ড. শরীফ মো. আল রেজা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য প্রফেসর ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ট্রেজারার প্রফেসর ড. জাহাঙ্গীর আলম।
আরো পড়ুন:
শিবিরকে জড়িয়ে ছাত্রদল নেত্রীর পোস্ট, ইবি শিবিরের নিন্দা-প্রতিবাদ
ইবিসাসের উদীয়মান লেখক পুরস্কার পেয়েছেন রাইজিংবিডির তানিম তানভীর
বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী রাফিয়া আক্তার রিমা ও মখদুম শাহের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. মনজুরুল হক, আইআইইআর-এর পরিচালক প্রফেসর ড. মোস্তাফিজুর রহমান, প্রভোস্ট কাউন্সিলের সভাপতি ও বেগম খালেদা জিয়া হলের প্রভোস্ট প্রফেসর ড. জালাল উদ্দীনসহ বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
নবনিযুক্ত সভাপতি প্রফেসর ড. মামুন আল রশীদ বলেন, “আমাদের বিভাগটি সম্পূর্ণ গবেষণা ভিত্তিক হলেও গবেষণার জন্য বরাদ্দ ফান্ড অত্যন্ত সীমিত। কেমিস্ট্রি বিভাগের কেমিক্যালস একবারই ব্যবহারযোগ্য হওয়ায় গবেষণায় অতিরিক্ত ব্যয় হয়। এ বিষয়ে সম্মানিত ভিসি মহোদয়ের কাছে বিশেষ বরাদ্দের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগিতা পেলে আমাদের শিক্ষার্থীরা গবেষণায় আরো এগিয়ে যাবে।”
বিভাগে ক্লাসরুম সঙ্কট একটি বড় সমস্যা। মাস্টার্সসহ পাঁচটি ব্যাচ থাকলেও আমাদের ক্লাসরুম মাত্র দুটি। এতে শিক্ষার্থীদের ক্ষতি হচ্ছে এবং সেশনজট তৈরি হচ্ছে। প্রয়োজনীয় ক্লাসরুম বরাদ্দ পেলে দ্রুত এ সমস্যা সমাধান সম্ভব হবে। শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি কমাতে বিভাগীয় টেস্টিমোনিয়াল ও অ্যাপিয়ার সার্টিফিকেট অনলাইনে আবেদন ও ডাউনলোডের জন্য একটি অটো-জেনারেটেড সফটওয়্যার চালু করেছি। ভবিষ্যতে বিভাগকে আরও অনলাইন ভিত্তিক করার পরিকল্পনা রয়েছে, বলে জানান তিনি।
উপাচার্য প্রফেসর ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, “সাবেক সভাপতির সময় যেসব কার্যক্রম অসম্পন্ন রয়ে গেছে, নবনিযুক্ত সভাপতি তা সম্পন্ন করবেন বলে আশা করি। পাশাপাশি তিনি শিক্ষার্থীদের প্রতি আন্তরিক থাকবেন এবং বিভাগকে সর্বোচ্চ পর্যায়ে নিয়ে যাবেন।”
ঢাকা/তানিম/জান্নাত