ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-৮ আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী এরশাদ উল্লাহ এবং ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান বিন হাদির ওপর গুলিবর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদে চট্টগ্রামে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিএনপি। এ সময় সশস্ত্র হামলার ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবি জানান বিএনপি নেতারা।

আজ শনিবার বিকেলে নগরের নূর আহম্মদ সড়কের নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে এই মিছিল বের হয়। পরে নগরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে জামালখানে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে এসে শেষ হয়।

দলীয় কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন চৌধুরী বলেন, এরশাদ উল্লাহ ও শরিফ ওসমান বিন হাদির ওপর গুলিবর্ষণের ঘটনা নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করার চক্রান্তের অংশের। দেশ আজ এক ভয়াবহ ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। নির্বাচনের মাঠে প্রতিযোগিতা নয়, বরং ভয় ও সন্ত্রাসকে রাজনৈতিক অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।

আগামী নির্বাচনে চট্টগ্রাম-৫ আসনে বিএনপির প্রার্থী মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন চৌধুরী বলেন, যারা জনগণের ভোটে আস্থা রাখে না, তারাই পরিকল্পিতভাবে প্রার্থী ও রাজনৈতিক নেতাদের ওপর হামলা চালিয়ে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়। এরশাদ উল্লাহ ও শরিফ ওসমান বিন হাদির ওপর সশস্ত্র হামলা প্রমাণ করে—দেশে এখনো গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিরাপদ নয়।

বিএনপি নেতা মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘রাষ্ট্রযন্ত্রের দায়িত্ব হলো সব প্রার্থী ও রাজনৈতিক দলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। স্পষ্ট করে বলতে চাই, এ ধরনের হামলার দায় এড়ানোর কোনো সুযোগ নেই।’

সভাপতির বক্তব্যে নগর বিএনপির সদস্যসচিব নাজিমুর রহমান বলেন, স্বৈরাচার পতন হলেও দেশে প্রকৃত গণতন্ত্র এখনো প্রতিষ্ঠিত হয়নি। সারা দেশে আইনশৃঙ্খলা ও নাগরিক নিরাপত্তা মারাত্মকভাবে ভঙ্গুর। পরিকল্পিত সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড এখনো সক্রিয়, যা দেশকে অস্থিতিশীল করে নির্বাচনকে ভণ্ডুল করার গভীর ষড়যন্ত্রেরই বহিঃপ্রকাশ।

সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম নগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুস সাত্তার, নিয়াজ মোহাম্মদ খান, আর ইউ চৌধুরী, শওকত আজম, শিহাব উদ্দিন, মঞ্জুরুল আলম প্রমুখ।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ন র ব চনক ম হ ম মদ ব এনপ র দ র ওপর উদ দ ন

এছাড়াও পড়ুন:

সিইসি ও কমিশনারদের বিশেষ নিরাপত্তা দিতে পুলিশকে চিঠি

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন, চার নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের সিনিয়র সচিবের বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে পুলিশকে চিঠি দিয়েছে ইসি। একই সঙ্গে সারা দেশে ইসির মাঠপর্যায়ের কার্যালয়গুলোতে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।

ইসি সূত্র জানায়, আজ শনিবার আলাদা চিঠিতে পুলিশকে এ নির্দেশনা দেয় ইসি।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনারকে দেওয়া চিঠিতে বলা হয়েছে, গত ১১ ডিসেম্বর ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময়সূচি জারি করা হয়েছে। এ সূত্রে সিইসি, চার নির্বাচন কমিশনার এবং ইসি সচিবের বিশেষ নিরাপত্তা বিধান প্রয়োজন। সিইসির নিরাপত্তার জন্য ইতিমধ্যে গাড়িসহ পুলিশি নিরাপত্তা রয়েছে। সিইসির জন্য নির্বাচনকালীন অতিরিক্ত আরও একটি গাড়িসহ পুলিশি নিরাপত্তা দিতে বলা হয়েছে।

এ ছাড়া চার নির্বাচন কমিশনার ও ইসি সচিবের বাসভবন, অফিস যাতায়াতসহ সার্বক্ষণিক নিরাপত্তার জন্য গাড়িসহ পুলিশি নিরাপত্তা দিতে বলা হয়েছে।

পুলিশের মহাপরিদর্শককে দেওয়া আরেক চিঠিতে সারা দেশে মাঠপর্যায়ের ইসির কার্যালয়গুলোর সার্বিক নিরাপত্তা ও সুরক্ষা সুনিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। তাতে বলা হয়, ১১ ডিসেম্বর ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময়সূচি জারি করা হয়েছে। সময়সূচি জারির পর দুর্বৃত্তরা লক্ষ্মীপুর জেলা নির্বাচন অফিস এবং পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলা নির্বাচন অফিসে অগ্নিসংযোগ করেছে।

এ পরিপ্রেক্ষিতে সারা দেশে মাঠপর্যায়ের ইসির কার্যালয়গুলোতে প্রয়োজনীয়সংখ্যক পুলিশের ফোর্স মোতায়েন করতে বলা হয়েছে চিঠিতে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ