বিশৃঙ্খলতায় পণ্ড মেসিকে ঘিরে কলকাতার আয়োজন
Published: 13th, December 2025 GMT
১৪ বছর পর লিওনেল মেসি কলকাতায়। আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী তারকাকে ঘিরে উৎসবে সেজেছিল কলকাতা। কিন্তু চরম বিশৃঙ্খলতায়, অব্যবস্থাপনায় পণ্ড মেসিকে ঘিরে কলকাতার প্রায় সব আয়োজন।
যাদের জন্য মেসিকে কলকাতায় নিয়ে আসা, সমর্থকরা… তারা দেখাই পেলেন না মেসির। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে তারা সল্ট লেগে তাণ্ডব চালান। গ্যালারির সিট উপড়ে ফেলা, বোতল ছোঁড়া, মাঠে ঢুকে লণ্ডভণ্ড করাসহ স্টেডিয়ামের কার্পেট তুলে নিয়ে যাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে।
অনাকাঙ্ক্ষিত এই ঘটনার জন্য ক্ষমা চেয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যনার্জী। একইসঙ্গে সুষ্ঠু তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। এরই মধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে মেসিকে ভারতে আনার মূল উদ্যোক্তা শতদ্রু দত্তকে। মেসির সঙ্গে তার হায়দ্রাবাদে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার হন তিনি। দর্শকদের টিকিটের টাকা ফেরত দেওয়ার নিশ্চয়তা পেলে তাকে ছাড়া হতে পারে খবর একাধিক গণমাধ্যমের।
গতকাল দিবাগত রাত ২টা ১০ মিনিটে কলকাতায় পৌঁছান মেসি। সকালে ভার্চুয়ালি নিজের ভাস্কর্য উদ্বোধনের পর ১২টায় সল্ট লেগে যান। মেসিকে দেখার জন্য টিকিট কেটে গ্যালারিতে যান দর্শকরা। কিন্তু অধিকাংশেরই সেই প্রত্যাশা পূরণ হয়নি।
প্রথমত, মেসিকে ঘিরে থাকা নিরাপত্তা কর্মীদের কারণে তাকে দেখা যায়নি। এরপর একের পর এক রাজনৈতিক নেতা, অভিনেতারা তাকে ঘিরে রাখেন। হট্টগোল শুরু হলে মেসিকে সরিয়ে নেন আয়োজকরা। তাতেই ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন সমর্থকরা। সল্ট লেকে বসে একটি ম্যাচ দেখার কথা ছিল মেসির। তা হয়নি। পরবর্তীতে হোটেলে ফিরে তার ফটোশুটে অংশ নেওয়ার কথা ছিল। সেটাও হয়নি।
মেসির পরের গন্তব্য হায়দ্রাবাদ। কলকাতার অভিজ্ঞতা থেকে হায়দ্রাবাদে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। রাজীব গান্ধী স্টেডিয়ামে সেভেন ভার্সেস সেভেন ম্যাচ আয়োজন করা হয়েছে। এরপর রয়েছে মিউজিক্যাল নাইট।
আগামীকাল মুম্বাই এবং পরের দিন নয়া দিল্লিতে যাওয়ার কথা রয়েছে ফুটবল জাদুকরের।
ঢাকা/ইয়াসিন
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সাজিদকে উদ্ধারে ৪০ ফুট গর্ত করে চলছে সুড়ঙ্গ করার কাজ
রাজশাহীর তানোরে গভীর নলকূপের জন্য খনন করা ৮ ইঞ্চি ব্যাসার্ধের গর্তে পড়ে যাওয়া দুই বছরের শিশু সাজিদকে উদ্ধারে পাশে ৪০ ফুট গভীর গর্ত খনন করা হয়েছে। মূল সরু গর্তে পৌঁছাতে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এখন সুড়ঙ্গ করার কাজ করছেন। বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) সকাল পৌনে ৯টা পর্যন্ত সাজিদের দেখা মেলেনি।
গতকাল বুধবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুর ১টার দিকে মায়ের পেছন পেছন হাঁটার সময় গর্তে পড়ে যায় সাজিদ। এরপর থেকে তাকে উদ্ধারে কাজ শুরু করে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট। বুধবার থেকেই ওই গর্তে পাইপের মাধ্যমে অক্সিজেন দেওয়া হচ্ছে শিশুটিকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য।
আরো পড়ুন:
৩৫ ফুট নিচে ক্যামেরা পাঠিয়েও দেখা যায়নি সাজিদকে
কুড়িগ্রামে পানিতে ডুবে মামা-ভাগ্নের মৃত্যু
তানোরের এই এলাকাটি উচ্চ খরাপ্রবণ এলাকা। এখানে মাটির ১২০ থেকে ১৩০ ফুট গভীরেও ভূ-গর্ভস্থ পানির সন্ধান মেলে না। জমির মালিক কছির উদ্দিন একটি গভীর নলকূপ বসাতে চেয়েছিলেন। বছর খানেক আগে ৮ ফুট ব্যাসার্ধে খনন করেছিলেন। পানি না পেয়ে গভীর নলকূপ বসানো হয়নি। সেই গর্তে পড়ে গেছে গ্রামের রাকিবুল ইসলামের ছেলে সাজিদ। ফায়ার সার্ভিস ধারণা করছিল, শিশুটি প্রায় ৩৫ ফুট নিচে পড়ে গেছে।
ক্যামেরা নামিয়ে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা শিশুটিকে দেখতে পাননি। বিকেল থেকে ওই সরু গর্তের পাশে স্কেভেটর দিয়ে খনন শুরু করেন তারা। পর পর তিনটি স্কেভেটর যন্ত্র আনা হয়। এগুলোর মাধ্যমে বৃহস্পতিবার ভোরের দিকে ৪০ ফুট গভীর পর্যন্ত গর্ত করা সম্ভব হয়। এরপর সুড়ঙ্গ কাটার কাজ শুরু হয়।
এ বিষয়ে ফায়ার সার্ভিসের রাজশাহী স্টেশনের সহকারী পরিচালক দিদারুল ইসলাম বলেন, “উদ্ধার কাজ এখনো চলছে। গর্ত কাটা শেষে এখন সুড়ঙ্গ কাটা হচ্ছে। আমরা শিশুটিকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করতে চাই।”
এদিকে, অসংখ্য মানুষ উৎকণ্ঠা নিয়ে উদ্ধার তৎপরতা দেখছেন। ভিড় সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
ঢাকা/কেয়া/মাসুদ