যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পর বেলারুশের প্রধান বিরোধী নেতার মুক্তি পাওয়ার খবর
Published: 13th, December 2025 GMT
বড় পরিসরে রাজনৈতিক বন্দীদের মুক্তির অংশ হিসেবে বেলারুশের বিরোধী নেতা ভিক্টর বাবারিকোকে কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ভিয়াসনা মানবাধিকার গোষ্ঠী। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে গোষ্ঠীটি জানিয়েছে, ‘ভিক্টর বাবারিকো মুক্ত।’
এ ঘোষণার আগে নিশ্চিত করা হয়েছিল, বিক্ষোভের নেতা মারিয়া কোলেসনিকোভা এবং নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী আলেস বিয়ালিয়াতস্কিও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় হওয়া চুক্তির আওতায় মুক্তি পেয়েছেন।
২০২০ সালের নির্বাচনের আগে কারাবন্দী হওয়ার আগপর্যন্ত ভিক্টর বাবারিকো বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কোর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন। ওই নির্বাচনকে মানবাধিকার সংস্থা এবং স্বাধীন পর্যবেক্ষকেরা ব্যাপকভাবে কারচুপিপূর্ণ বলে নিন্দা করেছিলেন। এর ফলে রাশিয়ার ঘনিষ্ঠ মিত্রদেশ বেলারুশজুড়ে ব্যাপক গণবিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।
এদিকে শনিবার বিবিসি জানিয়েছে, পূর্ব ইউরোপের দেশ বেলারুশের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে সম্মত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এই সিদ্ধান্তের পর ১২৩ বন্দীকে মুক্তি দিয়েছে বেলারুশ।
রাজধানী মিনস্কে বেলারুশ–বিষয়ক যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ দূত জন কোয়ালের সঙ্গে আলোচনার পর নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী আলেস বিয়ালিয়াতস্কিও মুক্তি পাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্র পটাশের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে সম্মত হয়েছে। পটাশ সারের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান এবং বেলারুশের একটি প্রধান রপ্তানিপণ্য।
বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কো রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে পরিচিত। ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) লুকাশেঙ্কোকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে স্বীকৃতি দেয়নি।
ট্রাম্পের বিশেষ দূত জন কোয়ালে বলেন, ‘দুই দেশের সম্পর্ক স্বাভাবিক হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আরও বেশি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হবে।’
বিবিসি জানিয়েছে, বিক্ষোভের নেতা কোলেসনিকোভা ২০২০ সাল থেকে কারাগারে ছিলেন এবং এর বেশির ভাগ সময়ই একাকী অবস্থায় কাটিয়েছেন। কোলেসনিকোভার মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তাঁর বোন তাতিয়ানা। মুক্ত হওয়া ব্যক্তিদের একটি দল শিগগিরই লিথুয়ানিয়ার রাজধানী ভিলনিয়াসে পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: য ক তর ষ ট র
এছাড়াও পড়ুন:
পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের ২৭ পদের চাকরি পেতে আর কত অপেক্ষা
২০২০ থেকে ২০২৫—৫ বছর পেরিয়ে গেলেও পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের ২৭ ক্যাটাগরির পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া এখনো সম্পন্ন হয়নি। করোনা মহামারি, ফুটবল ও ক্রিকেট বিশ্বকাপ, এমনকি একটি গণ-অভ্যুত্থান পার হলেও এই নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ না হওয়ায় চরম হতাশায় দিন কাটছে হাজারো চাকরিপ্রত্যাশীর।
২০২০ সালের ২৮ অক্টোবর ১১ থেকে ২০তম গ্রেডের ৩৬ ক্যাটাগরির ১ হাজার ৫৬২টি পদের জন্য প্রথম নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। ২০২১ সালের ৩ অক্টোবর সংশোধিত বিজ্ঞপ্তি আসে। কয়েক ধাপে লিখিত, মৌখিক এবং কয়েকটি পদের ব্যবহারিক পরীক্ষাও ২০২৩ সালে শেষ হয়। কিন্তু এরপরও ২৫ ক্যাটাগরির পদের চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করা হয়নি। অন্যদিকে, দুটি ক্যাটাগরির পদের পরীক্ষা এখনো অনুষ্ঠিতই হয়নি।
জানা যায়, ২০২৩ সালে একযোগে ২৬টি পদের লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হলেও একই বছরের ১ নভেম্বর মাত্র ৩টি পদের চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করা হয়। এর আগে আরও ৬টি পদের নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়, তবে একযোগে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার পরও ২৩টি পদের ফলাফল কেন প্রকাশ করা হয়নি, তার সদুত্তর দিতে পারছে না অধিদপ্তর।
লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা শেষ হলেও আটকে আছে ফলাফল, আশাহত প্রার্থীরাগবেষণা সহকারী পদে মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেওয়া একজন প্রার্থী আক্ষেপ করে বলেন, ‘একই সঙ্গে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা দিয়েও কারও চাকরি হলো, কারও হলো না। দুই বছরের বেশি সময় পার হয়েছে, কিন্তু ফলাফল হয়নি। এটা কোনো স্বাভাবিক ঘটনা হতে পারে না। আমরা অনেকবার স্মারকলিপি দিয়েছি, মানববন্ধন করেছি, কিন্তু অধিদপ্তর কোনো গুরুত্বই দেয়নি।’
অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পদে আবেদনকারী একজন বলেন, ‘আবেদন করতে তো টাকা লাগে। আমরা যাঁরা ছোট পদে আবেদন করি, তাঁদের আর্থিক অবস্থাও ভালো থাকে না। এরপর পরীক্ষা না হলে আরও হতাশ হতে হয়। পাঁচ বছর হয়ে গেছে, এখন আর পরীক্ষা হবে সে আশা করি না।’
আরও পড়ুনসহকারী শিক্ষক নিয়োগে দুই ধাপের লিখিত পরীক্ষা ২ জানুয়ারি১৭ ঘণ্টা আগেনিয়োগপ্রক্রিয়া বিলম্বের কারণনিয়োগপ্রক্রিয়া এত দীর্ঘ হওয়ার বিষয়ে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) মীর সাজেদুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘মন্ত্রণালয়ের পদ সংরক্ষণের মেয়াদ থাকে তিন বছর। ফলে আমরা নতুন করে ডিপিসি (বিভাগীয় পদোন্নতি কমিটি) করেছি। কোটাসংক্রান্ত জটিলতাও ছিল। আমাদের কাজ প্রায় সমাপ্ত, দুই-তিন সপ্তাহের মধ্যে ফলাফল প্রকাশ করা হবে।’ এত দিন কেন ফলাফল প্রকাশ করা হয়নি, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘অভ্যুত্থান–পরবর্তী সময়ে আমি এই পদে যোগ দিয়েছি। আগে ঠিক কী কারণে এই নিয়োগ প্রক্রিয়া আটকে ছিল, এ বিষয়ে আমার সঠিক জানা নেই।’
আরও পড়ুন৬৫৫০২ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের পদ এখন ১০ম গ্রেড১৭ ঘণ্টা আগেএ ছাড়া, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক (গ্রেড-১৬) ও অফিস সহায়ক (গ্রেড-২০) পদের পরীক্ষা নিয়োগবিধি সংশোধনের পর অনুষ্ঠিত হওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে পরিচালক জানিয়েছেন।
এদিকে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘আগের প্রশাসনের রদবদলসহ অভ্যন্তরীণ কারণে নিয়োগ প্রক্রিয়া পিছিয়েছে। আগের প্রশাসক অধিদপ্তরে অনেক পদ শূন্য রেখে গিয়েছে । এসবের স্পষ্ট কোনো কারণ আমরা জানি না।’
আরও পড়ুনকানাডায় ৫ হাজার চিকিৎসকের স্থায়ী বসবাসের সুযোগ, বাংলাদেশ থেকে আবেদন সম্ভব কি?১৯ ঘণ্টা আগেআরও পড়ুননর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই–এ চাকরি, পদ ১৩৭ ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫