জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনে সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করার প্রতিবাদে শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে বিএনপি। রাইজিংবিডির প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর—
কিশোরগঞ্জ
রাজধানী ঢাকার বিজয়নগর এলাকায় হাদির ওপর দুর্বৃত্তদের গুলির প্রতিবাদে কিশোরগঞ্জে বিএনপির উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসাবে শনিবার দুপুরে জেলা শহরের রথখোলা ময়দান থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে পুনরায় একই স্থানে গিয়ে শেষ হয়।
আরো পড়ুন:
হাদির ওপর হামলা গণতন্ত্রের ওপর আঘাত: বিএনপি
হাদির ওপর হামলা নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র: সালাহউদ্দিন
সাভার
হাদিকে গুলির প্রতিবাদে সাভারের ধামরাইয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে উপজেলা বিএনপি। শনিবার দুপুরে উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে ধামরাই পৌর শহরে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি ধামরাই উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হয়ে শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে যাত্রাবাড়ী মাঠে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়।
রাঙামাটি
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদিকে গুলি এবং চট্টগ্রাম-৮ আসনে বিএনপির প্রার্থী এরশাদ উল্লাকে গণসংযোগকালে হত্যাচেষ্টার প্রতিবাদ এবং জড়িতদের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে রাঙামাটি জেলা বিএনপি। শনিবার শহরের কাঁঠালতলী বিএনপির দলীয় কার্যালয় থেকে প্রতিবাদ মিছিলটি বের হয়ে বনরূপা বাজারে ঘুরে দলীয় কার্যালয়ে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়।
সিরাজগঞ্জ
ওসমান হাদিকে গুলির প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপি। শনিবার বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চুর নেতৃত্বে প্রতিবাদ মিছিলটি বের করা হয়। মিছিলটি শহরের ইবি রোডস্থ জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু করে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে বাজার স্টেশন স্বাধীনতা স্কয়ার চত্বরে এসে শেষ হয়।
ফরিদপুর
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র হাদির ওপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ফরিদপুর জেলা বিএনপি। শনিবার ফরিদপুর প্রেস ক্লাব থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের হয়। মিছিলটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে জনতা ব্যাংকের মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।
ঢাকা/রুম্মন/সাব্বির/শংকড়/রাসেল/তামিম/রাজীব
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ হ দ র ওপর প রদক ষ ণ ব এনপ র শহর র
এছাড়াও পড়ুন:
রেকর্ড রান তাড়া করে দুর্দান্ত জয়ে এশিয়া কাপের মিশন শুরু বাংলাদেশের
‘চ্যাম্পিয়নরা চ্যাম্পিয়নদের মতোই খেলল’ - বাংলাদেশের দুর্দান্ত জয়ের পর এমন কথা নিশ্চিতভাবেই বলাবলি হচ্ছে সংযুক্ত আরব আমিরাতে। অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ টুর্নামেন্টে রেকর্ড রান তাড়া করে জিতেছে বাংলাদেশ।
মহাদেশীয় কিংবা বৈশ্বিক কোনো প্রতিযোগিতায় ২৮৪ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড ছিল না বাংলাদেশের। শনিবার দুবাইয়ে আফগানিস্তান যুবাদের দেওয়া ২৮৩ রানের লক্ষ্য বাংলাদেশ জিতে যায় ৩ উইকেটে, ৭ বল হাতে রেখে।
টস জিতে আগে ব্যাটিং করতে নেমে আফগানিস্তান ৭ উইকেটে ২৮৩ রান করে। দলের টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান ফয়সাল শিনোজাদার সেঞ্চুরিতে বিশাল পুঁজি পায় আফগান যুবারা। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে জাওয়াদ আবরার ও রিফাত বেগের ১৫১ রানের জুটি বাংলাদেশকে এগিয়ে নেয়। সেঞ্চুরির পথে ছিলেন জাওয়াদ। কিন্তু ৪ রানের আক্ষেপে পুড়তে হয় তাকে। ৯৬ রানে সীমানায় দারুণ এক ক্যাচে কাটা পড়ে তার উইকেট।
এছাড়া রিফাত বেগ ৬২ রান করেন। দুজনের পর অধিনায়ক আজিজুল হাকিমের ৪৭ রানের ইনিংসে বাংলাদেশকে লক্ষ্যের পথে এগিয়ে যায়। মনে হচ্ছিল সহজ জয় পাবে বাংলাদেশ। কিন্তু জয়ের ঠিক আগ মুহূর্তে ২০ রানে ৩ উইকেট হারায় লাল সবুজের প্রতিনিধিরা। সেখান থেকে রিজানের অপরাজিত ১৭ ও পারভেজ হোসেনের ১৩ রানে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ।
লক্ষ্য তাড়ায় বাংলাদেশ ৩০৭ রান করেও ম্যাচ জিতেছে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে, ২০২৩ সালে। সেটা ছিল দ্বিপাক্ষিক সিরিজে। এবার মহাদেশীয় আসরে রেকর্ড রান তাড়া করে জিতল যুবারা। ম্যাচ জয়ের নায়ক আবরার ৯ চার ও ৬ ছক্কায় সাজান নিজের ইনিংস।
এর আগে ব্যাটিংয়ের শুরুটা ভালো হয়নি আফগানিস্তানের। ওপেনার খালিদ আহমেদজাই চতুর্থ ওভারে উইকেটের পেছনে ৩ রানে ক্যাচ দেন। সেখান থেকে দ্বিতীয় উইকেটে উসমান সাদাত ও ফয়সাল শিনোজাদা ৬৬ রানের জুটি গড়েন। ওপেনার উসমান ৩৪ রানে ফিরে আসলেও ফয়সালের ব্যাট চলতে থাকে।
উইকেটের চারিপাশে শট খেলতে থাকেন অনায়েসে। তৃতীয় উইকেটে আবার বড় জুটি পায় আফগানিস্তান। ফয়সালের নতুন সঙ্গী এবার উজায়রুল্লাহ নিয়াজাই। দুজন দলকে টেনে নেন ১৭৫ রান পর্যন্ত। ফয়সাল তুলে নেন সেঞ্চুরি। ৫৯ বলে ফিফটি ছোঁয়া এই ব্যাটসম্যান শতরান পেয়েছেন ৯১ বলে। এরপর অবশ্য ইনিংসটি বড় করতে পারেননি তিনি। ৯৪ বলে ৮ চার ও ৪ ছক্কায় ১০৩ রান করে ইকবাল হোসেন ইমনের বলে আউট হন।
তার সঙ্গী উজায়রুল্লাহ ৬ রানের আক্ষেপে পুড়েন। ৪৪ রানে থামে তার ইনিংস। সেখান থেকে আফগানিস্তানের ইনিংস বড় করেন আজিজুল্লাহ মিখাইল ও আব্দুল আজিজ। আজিজুল্লাহ ২টি করে চার ও ছক্কায় ৩৬ বলে ৩৮ এবং আব্দুল ১৬ বলে ৩ ছক্কায় ২৬ রান করেন।
বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে ইকবাল হোসেন ৬৩ রানে ও শাহরিয়ার আহমেদ ৪৩ রানে ২টি করে উইকেট নেন। ১টি করে উইকেট নেন সাদ ইসলাম, সাইমুন বশির ও রিজান হোসেন।
এশিয়া কাপের হ্যাটট্রিক মিশনে বাংলাদেশ। ১৫ ডিসেম্বর বাংলাদেশের পরের ম্যাচ নেপাল অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বিপক্ষে।
ঢাকা/ইয়াসিন