রাখাইনে হাসপাতালে বোমা হামলায় বাংলাদেশের নিন্দা
Published: 13th, December 2025 GMT
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে হাসপাতালে সাম্প্রতিক বোমা হামলার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ। আজ শনিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভেরিফায়েড এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করা এক বার্তায় এই নিন্দা জানানো হয়। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মানবিক আইন লঙ্ঘন ও সহিংসতা বৃদ্ধিতে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।
পোস্টে বলা হয়, রাখাইনের একটি হাসপাতালে সাম্প্রতিক বোমা হামলার নিন্দা জানাচ্ছে বাংলাদেশ। পাশাপাশি রাজ্যটিতে সাম্প্রতিক সময়ে সহিংসতা ও আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের (ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যানিটারিয়ান ল) লঙ্ঘনের ঘটনা বৃদ্ধিতে উদ্বেগ প্রকাশ করছে। একই সঙ্গে নিহতদের পরিবারের প্রতি গভীর শোক এবং ক্ষতিগ্রস্ত সবার প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করছে।
বার্তায় বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষার ওপর জোর দিয়ে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ কোনো ধরনের ভেদাভেদ ছাড়াই বেসামরিক নাগরিক ও বেসামরিক স্থাপনা সুরক্ষার ওপর গুরুত্ব দেয়। একই সঙ্গে বাংলাদেশ মনে করে, রোহিঙ্গা ও রাখাইনসহ সব সম্প্রদায়কে সহিংসতা থেকে রক্ষা করতে হবে।
উল্লেখ্য, ১০ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের ম্রাউক-উতে একটি হাসপাতালে জান্তার বিমান হামলায় অন্তত ৩১ জন নিহত হয়েছেন। ম্রাউক-উ বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী। পরদিন জাতিসংঘ ওই হামলার নিন্দা জানিয়েছে।
মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাখাইন রাজ্যের ম্রাউক-উ জেনারেল হাসপাতালে এক বিমান হামলায় ৩৩ জন নিহত হয়েছেন.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র খ ইন র
এছাড়াও পড়ুন:
ওসমান হাদির ওপর হামলা নির্বাচন বানচালের হীন চেষ্টা: অধিকার
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে গুলির ঘটনায় গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে মানবাধিকার সংগঠন অধিকার। আজ শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলা আসন্ন নির্বাচনকে বানচাল করার একটি হীন চেষ্টা।
হামলার সঙ্গে জড়িত সব অভিযুক্তকে দ্রুত শনাক্ত করে গ্রেপ্তার এবং ঘটনার একটি নিরপেক্ষ, স্বচ্ছ ও বিশ্বাসযোগ্য তদন্ত নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।
শরিফ ওসমান হাদি ‘ভারতীয় আধিপত্যবাদ’ এবং শেখ হাসিনার মানবতাবিরোধী অপরাধের বিরুদ্ধে উচ্চকণ্ঠ বক্তা হিসেবে পরিচিত উল্লেখ করে সংগঠনটির দাবি, সাম্প্রতিক সময়ে তাঁকে আওয়ামী লীগ ও ভারতের বিভিন্ন ফোন নম্বর থেকে হত্যার হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। অতীতের একটি ঘটনার উদাহরণ হিসেবে অধিকার বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের হত্যাকাণ্ডের কথাও উল্লেখ করেছে।
হাদিকে গুলি করার ঘটনায় জড়িত সবাইকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানিয়ে সংগঠনটি রাজনৈতিক সহিংসতা ও দুর্বৃত্তায়নের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়ে আইনের শাসন, মানবাধিকার সুরক্ষা এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ রক্ষায় কার্যকর ও দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছে।
সংগঠনটি অভিযোগ করে, ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে শেখ হাসিনার সরকারের অধীনে ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে। এই সরকারের সময়ে অনুষ্ঠিত জাতীয় ও অন্য নির্বাচনগুলোকে তারা ভুয়া হিসেবে বিবেচনা করে।
সংগঠনটি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি, গোয়েন্দা নজরদারি জোরদার, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও অস্ত্র প্রবেশ রোধে নির্বাচন কমিশন ও সরকারকে আরও তৎপর হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। একই সঙ্গে নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী সব দলের প্রতি দায়িত্বশীল আচরণ এবং দলীয় ও অন্তর্দলীয় কোন্দল বন্ধে শীর্ষ নেতৃত্বের ভূমিকার ওপর জোর দেয়।