বন্দরে হেবা সম্পত্তী সাইনবোর্ড উপড়ে ফেলায় থানায় অভিযোগ
Published: 13th, December 2025 GMT
বন্দরে হেবা সম্পত্তী সাইনবোর্ড উপড়ে ফেলার ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) রাতে হেবা সম্পত্তী মালিক আতাউর রহমান বাদী হয়ে প্রতিপক্ষ ফারুকের নাম উল্লেখ্য করে বন্দর থানায় এ অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।
এর আগে গত শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) রাতে বন্দর ইউনিয়নের কুশিয়ারা মৌজাস্থ পদুঘর এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে।
অভিযোগের তথ্য সূত্রে জানা গেছে, গত গত ২১ সেপ্টেম্বর বন্দর থানার কদম রসুল রোড এলাকার গোলাম মোস্তফা মিয়ার ছেলে আতাউর রহমানের চাচী ফিরোজা বেগম তার পৈত্রিক সম্পত্তী ১৬ শতাংশ ১৬ পয়েন্ট জায়গা বিল এওয়াজ হেবা দলিল নং- ৬৩৯১ মূলে তার ভাতিজা আতাউর রহমানকে বুঝিয়ে দেয়। যার নামজারী নং- ৮৩৯(১ী-১) / ২০২৫-২৬।
এদিকে উল্লেখিত সম্পত্তী ভাতিজা আতাউর রহমান প্রাপ্ত হয়ে সে নামজারী নং-৪৬৬৭(১ী-১) ২০২৫-২৬ করে উক্ত সম্পত্তি ভোগ দখলে আছে।
সম্প্রতি ভাতিজা আতাউর রহমান তার প্রাপ্ত সম্পত্তী উপর সাইনবোর্ড স্থাপন করলে এর জের ধরে গত শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) বন্দর থানার নবীগঞ্জ উত্তরপাড়া এলাকার মৃত নুরু মিয়া কন্ট্রাকটারের ছেলে ফারুকসহ অজ্ঞাত নামা ভূমিদৎসুরা জমিতে লাগানো সাইনবোর্ড উপরে ফেলে দেয়।
এ ছাড়াও প্রতিপক্ষ ফারুক মিয়া গত শুক্রবার বিকেলে তার ব্যবহারকৃত ০১৭২৭৪০৮১৬০ নাম্বার থেকে আতাউর রহমানের ব্যবহারকৃত ০১৭১১৪৭৭৪৪৫ নাম্বারের সাইনবোর্ড নিয়ে গেলাম পারলে কিছু করিস। এ বিষয়ে বেশী বারাবারি করলে প্রানে মেরে ফেলবে বলে হুমকি প্রদান করে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ স ইনব র ড
এছাড়াও পড়ুন:
৮৭ কোটি টাকা মানিলন্ডারিং, গাজীসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা
সাবেক বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী এবং নারায়ণগঞ্জ (রূপগঞ্জ-১) এর সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজী (৭৭) ও তার সাবেক পিএস এমদাদুল হক (৫২) সহ মোট ৮ জনের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলা করেছে সিআইডি।
মামলার অন্য অভিযুক্তরা হলেন- সৈয়দা ফেরদৌসী আলম নীলা (৫৭), তোফায়েল আহমেদ আলমাছ (৫৫), মো. মাহাবুবুর রহমান জাকারিয়া মোল্লা (৪৮), মো. আনছার আলী (৫৫), আলফাজ উদ্দিন (৬৩) ও দিমন ভূঁইয়া (৫৫)।
প্রতারণাপূর্বক চাঁদাবাজীর মাধ্যমে ভুয়া দলিল তৈরি করে অবৈধভাবে মোট ২৪০১.৪৬ শতাংশ জমি (যার বর্তমান সরকারি বাজারমূল্য ৮৬ কোটি ৭৮ লাখ ৮৭ হাজার ৬৪৪ টাকা) জবর দখল, হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রূপান্তর করায় তাদের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট রূপগঞ্জ থানায় এ মামলা দায়ের করেন। মামলা নং- ৪৩
মামলার এজাহার ও সিআইডি সূত্রে জানাগেছে, অভিযুক্তরা অজ্ঞাত ৭/৮ জন ব্যক্তির সহায়তায় একটি সংঘবদ্ধ অপরাধ চক্র গড়ে তোলে। অপরাধ চক্রটি পরস্পর যোগসাজশে গত ২০১৫ সালের ১ জানুয়ারি হতে ২০২৪ সালের ২০ জুলাই পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে ভিকটিম মো. শাহ আলমের ১২৪ শতাংশ, আব্দুস সোবহান মিয়ার ১০ শতাংশ, নাঈম প্রধানের ১৮ শতাংশ, হাসিনা বেগমের ০৯ শতাংশ, আলেয়ার ৪৫ শতাংশ, ইয়াছিন প্রধানের ২৭.৫ শতাংশ, সানজুরা বেগমের ০৪ শতাংশ, মো. আশরাফ উদ্দিন ভুইয়ার ৭২ শতাংশমোস্তফা মনোয়ার ভুইয়ার ৩৪৬ শতাংশ, মো. হাবিব খানের ১৮৩.৫ শতাংশ, রাশিদা ভুইয়ার ১২৪ শতাংশ, আমজাদ আলী ভুইয়ার ৭৬০.৫ শতাংশ, মোবারক ভুইয়ার ৩১ শতাংশ, নূর-ই-তাছলীম তাপসের ৪৩০.৭ শতাংশ, মো. মাহবুবুল হক ভুইয়ার ৭১.৪৭ শতাংশ ও মোহাম্মদ মাহমুদুল হকের ৬৫ শতাংশসহ সর্বমোট ২৪০১.৪৬ শতাংশ জমি যার বর্তমান মূল্য (সরকারি দর অনুযায়ী) ৮৬ কোটি ৭৮ লাখ ৮৭ হাজার ৬৪৪ টাকা পরস্পর সংঘবদ্ধভাবে প্রতারণাপূর্বক চাঁদাবাজির মাধ্যমে ভুয়া দলিল সৃজন করে অবৈধভাবে স্থাবর সম্পত্তি জবর দখল করে হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রূপান্তর করেছে।
এ বিষয়ে সিনিয়র স্পেশাল জজ, মহানগর আদালত, ঢাকার পারমিশন পিটি. নং- ৬৮৪/২০২৫, তারিখ-৮ জুলাই ২০২৫ খ্রি. মুলে সম্পত্তি ক্রোক করা আছে, যার বর্তমান বাজার মূল্য ৪০০ (চারশত) কোটি টাকা।
ক্রোককৃত সম্পত্তির রিসিভার হিসেবে বিজ্ঞ সিনিয়র স্পেশাল জজ, মহানগর আদালত, ঢাকা সিআইডি প্রধান (এ্যাডিশনাল আইজিপি) কে নিয়োগ করেছেন। ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট এই মামলার তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
অপরাধের পূর্ণাঙ্গ তথ্য উদঘাটন, অজ্ঞাত অপর সদস্যদের শনাক্তকরণ ও অন্যান্য আইনানুগ প্রক্রিয়ার স্বার্থে সিআইডির অনুসন্ধান অব্যাহত রয়েছে।
মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে রূপগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাবজাল বলেন, মামলাটি থানায় দায়ের হলেও তদন্ত করছে সিআইডি।