নানা কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন প্রার্থীরা, তবে আলোচনায় রেজা কিবরিয়া
Published: 14th, December 2025 GMT
ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে হবিগঞ্জের চারটি আসনে শীতের এ আবহে প্রচার-প্রচারণা জমে উঠেছে। বিএনপি, জামায়াতে ইসলামীসহ বিভিন্ন দলের মনোনীত প্রার্থীরা প্রতিদিন সভা-সমাবেশ, মিছিল, উঠান বৈঠকসহ নানা কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন। তফসিল ঘোষণার পর প্রার্থীদের এই প্রচারণা আরও গতি পেয়েছে। শুধু শহরজুড়েই নয়, জেলার প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলও ছেয়ে গেছে প্রার্থীদের ব্যানার, ফেস্টুন আর পোস্টারে।
তবে সব ছাপিয়ে আলোচনায় আছেন হবিগঞ্জ-১ আসনে বিএনপি মনোনীত রেজা কিবরিয়া। তিনি ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগ সরকারের অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়ার ছেলে।
জেলার চারটি আসনেই প্রার্থী ঘোষণা করেছে বিএনপি। একটি আসনে প্রার্থী নিয়ে দলে অসন্তোষ রয়েছে। জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও গণ অধিকার পরিষদ সব আসনে প্রার্থী দিয়ে প্রচারণা শুরু করেছে বেশ আগে থেকেই। জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) একটি আসনে তাদের প্রার্থী ঘোষণা করেছে। জাতীয় পার্টির (জাপা) তৎপরতা নেই বললেই চলে। একই অবস্থা বামপন্থী দলগুলোর। তবে ইসলামপন্থী বেশ কয়েকটি দলের নেতারা মাঠপর্যায়ে কাজ করছেন।
জেলার চারটি সংসদীয় আসনের মধ্যে ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ চারটিতে জয়ী হয়। ২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনটিতে আওয়ামী লীগ এবং একটিতে জোটের প্রার্থী হিসেবে জাতীয় পার্টির প্রার্থী জয়ী হন। ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চারটিতে জয়ী হয় আওয়ামী লীগ। সর্বশেষ ২০২৪ সালের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দুটিতে জয়ী হন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা। দুটিতে জয় পান স্বতন্ত্র প্রার্থীরা।
হবিগঞ্জ-১ (নবীগঞ্জ-বাহুবল)
বিএনপি প্রথম ধাপে মনোনয়ন ঘোষণার সময় আসনটি ফাঁকা রেখেছিল। পরে ৪ ডিসেম্বর দ্বিতীয় ধাপে অর্থনীতিবিদ রেজা কিবরিয়াকে প্রার্থী করেছে বিএনপি। তিনি ২০১৮ সালের নির্বাচনে এখানে জাতীয় ঐক্য ফ্রন্টের প্রার্থী হিসেবে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। সম্প্রতি তিনি বিএনপিতে যোগ দেন। এখানে দলের মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন যুক্তরাজ্যপ্রবাসী সাবেক সংসদ সদস্য শেখ সুজাত মিয়া, নবীগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র ছাবির আহমদ চৌধুরীসহ কয়েকজন।
মনোনয়ন নিশ্চিত হওয়ার পর এলাকার বিভিন্ন দেয়াল ও স্থাপনা রেজা কিবরিয়ার ছবিসহ শুভেচ্ছা ব্যানারে ছেয়ে গেছে। নবীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো.
রেজা কিবরিয়া গত শুক্রবার প্রথম আলোকে বলেন, ‘সবাই বুঝতে পারছে, আগে যাঁরা এ আসনে সংসদ সদস্য ছিলেন, তাঁরা এলাকার জন্য কোনো কাজ করেননি। এবার বিএনপিকে ভোট দিলে বেশি কাজ হবে। এ ছাড়া আমি আমার বাবার অসমাপ্ত কাজগুলো এগিয়ে নিতে চাই। আমি আশাবাদী, মানুষের জন্য ভালো কিছু করতে পারব।’
এ আসনে জামায়াতের প্রার্থী মো. শাহজাহান আলী। তিনি কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরার সদস্য ও সিলেট মহানগর জামায়াতের সেক্রেটারি। পাশাপাশি ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী আবু হানিফা আহমদ হোসেন। তিনি দলের নবীগঞ্জ উপজেলা কমিটির সভাপতি।
রেজা কিবরিয়ার মনোনয়নে বিএনপির স্থানীয় নেতা-কর্মীরা সন্তোষ প্রকাশ করলেও ‘খুশি’ হতে পারেননি দলের অন্য মনোনয়নপ্রত্যাশীরা।
হবিগঞ্জ-২ (বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জ)
এ আসন থেকে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবু মনসুর সাখাওয়াত হাসান (জীবন)। তিনি ২০০৮ সালে নির্বাচন করেছিলেন। নির্বাচনী মাঠে এখন বেশ সরব সাখাওয়াত হাসান বলেন, ‘এলাকার মানুষের জন্য আমি ৩৫ থেকে ৪০ বছর ধরে কাজ করে আসছি। এলাকার মানুষ আমাকে ভালোবাসেন, তার প্রমাণ আগেও পেয়েছি।’
আসনটিতে জামায়াতের মনোনয়ন পেয়েছেন শেখ জিল্লুর রহমান। তিনি দলের ঢাকা মহানগরের হাতিরঝিল থানা শাখার আমির। তিনি ঢাকায় বসবাস করেন। দলের মনোনয়ন পাওয়ার পর থেকে এলাকায় গণসংযোগ করছেন। জিল্লুর রহমান বলেন, ‘ভোটের প্রতি মানুষের উৎসাহ বেশি। আশা করি, নতুন ভোটাররা এবারের নির্বাচনে জামায়াতকে দেশের দায়িত্ব দিয়ে নতুন এক বাংলাদেশ দেখতে চান।’ এখানে ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী হাদীসুর রহমান রুহানী। তিনি দলের বানিয়াচং উপজেলা শাখার সভাপতির দায়িত্বে আছেন।
এ আসনে গত চারটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী জয়ী হন। ২০০৮ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত সংসদ সদস্য ছিলেন আবদুল মজিদ খান। সর্বশেষ ২০২৪ সালে নির্বাচনে দল তাঁকে মনোনয়ন দেয়নি। তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেন। তবে জয়ী হন আওয়ামী লীগের প্রার্থী ময়েজ উদ্দিন শরীফ (রুয়েল)।
হবিগঞ্জ-৩ (সদর-লাখাই ও শায়েস্তাগঞ্জ)
এখানে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন জি কে গউছ। তিনি দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক (সিলেট বিভাগ)। এখানে প্রচারণায় আছেন গণ অধিকার পরিষদের প্রার্থী দলের জেলা সভাপতি চৌধুরী আশরাফুল বারী (নোমান)। প্রচারণায় এ দুই প্রার্থীর বাগ্যুদ্ধ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনা চলছে।
হবিগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র জি কে গউছ ২০১৮ সালে বিএনপির মনোনয়নে সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন। তিনি মনোনয়ন পাওয়ার পর কর্মী-সমর্থকেরা নির্বাচনী এলাকায় ব্যানার-ফেস্টুন লাগিয়েছেন। জি কে গউছ প্রথম আলোকে বলেন, তফসিল ঘোষণার মধ্য দিয়ে এবারের নির্বাচন প্রথম ধাপ অতিক্রম করল। বাধাহীন ও উৎসবমুখর পরিবেশে এ নির্বাচন হবে, এটা সবার আশা। জনগণ সুন্দরভাবে ভোট প্রয়োগ করলে এ আসনে বিএনপি জয়ী হবে। কারণ, জনগণ দেশের দায়িত্বে বিএনপিকে দেখতে চান।
এ আসনে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী কাজী মহসিন আহমদ। তিনি জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি। তিনি বলেন, বিগত দিনে সরকারগুলোর নানা দুর্নীতির কারণে মানুষের মনে ভয় তৈরি হয়েছে। এবার মানুষ নিজের ভোট নিজে দিয়ে স্বপ্নের সরকার গঠন করতে চান।
এ ছাড়া মাঠে প্রার্থী হিসেবে আছেন ইসলামী আন্দোলনের মহিব উদ্দিন আহমদ (সোহেল) এবং খেলাফত মজলিসের প্রার্থী মো. ছারওয়ার রহমান চৌধুরী।
হবিগঞ্জ-৪ (চুনারুঘাট-মাধবপুর)
আসনটিতে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি সৈয়দ মো. ফয়সল। তিনি শিল্পপ্রতিষ্ঠান সায়হাম গ্রুপের চেয়ারম্যান। ২০০১ ও ২০০৮ সালের নির্বাচনে তিনি বিএনপির প্রার্থী হয়েছিলেন। তবে জয়ের দেখা পাননি। এবারও তাঁর মনোনয়ন পাওয়া নিয়ে দলের ভেতরে কিছুটা অসন্তোষ রয়েছে। বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির স্থানীয় সরকারবিষয়ক সহসম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মি আক্তার এখানে মনোনয়ন চান। তাঁর সমর্থকেরা প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে চুনারুঘাট উপজেলা সদরে বেশ কিছুদিন ধরে বিক্ষোভ মিছিল, সভা-সমাবেশ অব্যাহত রেখেছেন।
শাম্মি আক্তার বলেন, ‘স্বাধীনতার পর এ আসনে বিএনপি কখনো জয়ী হতে পারেনি। এবার আশা ছিল বিএনপি জিতবে। কিন্তু এমন একজনকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে, যিনি এর আগে চারবার নির্বাচন করে ফেল করেছেন। জয়ী হতে পারেননি। ৮০-ঊর্ধ্ব বয়সের ব্যক্তিকে মনোনয়ন দেওয়ায় স্থানীয় নেতা-কর্মীরা তা মেনে নিতে পারছেন না।’
এ বিষয়ে সৈয়দ মো. ফয়সল কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
আসনটিতে জামায়াতে ইসলামী প্রথমে দলের জেলা আমির মুখলিছুর রহমানকে প্রার্থী করেছিল। পরে ২ ডিসেম্বর তাঁর বদলে সাংবাদিক অলিউল্লাহ নোমানকে চূড়ান্ত মনোনয়ন দেওয়া হয়। অলিউল্লাহ নোমান দীর্ঘ সময় যুক্তরাজ্যে বসবাস করছিলেন। গত বছর রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর তিনি দেশে ফেরেন।
মুখলিছুর রহমান জানান, রাজনৈতিক বাস্তবতা ও সংগঠনের কৌশলগত সিদ্ধান্ত বিবেচনায় কেন্দ্রীয় সংগঠন তাঁর সঙ্গে আলোচনা করে অলিউল্লাহ নোমানকে চূড়ান্ত মনোনয়ন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। সংগঠনের প্রতি সম্মান ও আনুগত্য থেকে তিনি সেই সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছেন।
এনসিপি মনোনয়ন দিয়েছে দলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (উত্তরাঞ্চল) ও হবিগঞ্জ জেলা শাখার প্রধান সমন্বয়কারী নাহিদ উদ্দিনকে (তারেক)। ইসলামী আন্দোলন এখানে প্রার্থী করেছে মো. কামাল উদ্দিনকে। তিনি দলের চুনারুঘাট উপজেলা সভাপতি।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ২০১৮ স ল র রহম ন এল ক র ক বর য় উদ দ ন উপজ ল এ আসন প রথম সরক র আওয় ম ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
সেন্ট মার্টিনে যেতে পর্যটকের চাপ, ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সব টিকিট আগাম বিক্রি
সেন্ট মার্টিন দ্বীপে পর্যটকের চাপ বেড়েছে। কক্সবাজার শহর থেকে প্রতিদিন ছয়টি জাহাজে প্রায় দুই হাজার পর্যটক দ্বীপটিতে যাচ্ছেন। মৌসুমের শুরুতে দৈনিক যেতেন ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৩৫০ জন। জাহাজমালিকেরা জানিয়েছেন, পর্যটকের চাপে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সব জাহাজের টিকিট আগাম বিক্রি হয়ে গেছে।
জাহাজমালিকদের তথ্য অনুযায়ী, প্রতিদিন অন্তত তিন হাজার পর্যটক সেন্ট মার্টিন যেতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। তবে সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, দৈনিক দুই হাজারের বেশি পর্যটক বহনের অনুমতি নেই। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে এই নৌপথে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধ হয়ে যাবে।
গত ১৩ দিনে অন্তত ২১ হাজার পর্যটক সেন্ট মার্টিন ভ্রমণ করেছেন। এমভি কর্ণফুলী এক্সপ্রেস, এমভি বার আউলিয়া, কেয়ারি সিন্দাবাদ ও কেয়ারি ক্রুজের পরিচালকেরা ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত টিকিট বিক্রি শেষ হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জাহাজমালিকদের সংগঠন সি ক্রুজ অপারেটর ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক হোসাইন ইসলাম বাহাদুর বলেন, ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কোনো জাহাজের টিকিট অবিক্রীত নেই। এমভি কর্ণফুলী জাহাজের টিকিট আগামী ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত অগ্রিম বিক্রি হয়ে গেছে। অন্য পাঁচটি জাহাজের প্রায় ৫০ শতাংশ টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে।
এর আগে গত ১ নভেম্বর থেকে পর্যটকদের জন্য সেন্ট মার্টিন দ্বীপ উন্মুক্ত করা হয়। তবে নভেম্বর মাসে রাতযাপনের অনুমতি না থাকা ও জাহাজ চলাচল সীমিত থাকায় সে মাসে কোনো পর্যটক দ্বীপে যাননি। চলতি ডিসেম্বর ও জানুয়ারি মাসে রাতযাপনের সুযোগ রাখায় পর্যটক বেড়েছে।
কক্সবাজার হোটেল-গেস্টহাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার প্রথম আলোকে বলেন, গত শুক্র ও শনিবার কক্সবাজার সৈকতে অন্তত দুই লাখ পর্যটক এসেছেন। তাঁদের অনেকেরই সেন্ট মার্টিন যাওয়ার ইচ্ছা ছিল। কিন্তু আসনসংখ্যা সীমিত হওয়ায় সেই ইচ্ছা অনেকের পূরণ হয়নি।
কঠোর নজরদারিতে পর্যটকসেন্ট মার্টিন যেতে পর্যটকদের বিভিন্ন নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। নির্দেশনা অনুযায়ী, বিআইডব্লিউটিএ ও পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন ছাড়া কোনো নৌযান সেন্ট মার্টিনে চলাচল করতে পারবে না। পর্যটকদের বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের স্বীকৃত ওয়েব পোর্টালের মাধ্যমে অনলাইনে টিকিট কিনতে হবে। প্রতিটি টিকিটে ট্রাভেল পাস ও কিউআর কোড সংযুক্ত থাকবে।
এ ছাড়া দ্বীপের পরিবেশ রক্ষায় রাতের বেলায় সৈকতে আলো জ্বালানো, উচ্চ শব্দ, বারবিকিউ পার্টি, কেয়াবনে প্রবেশ, কেয়া ফল সংগ্রহ বা কেনাবেচা, সামুদ্রিক কাছিম, পাখি, প্রবাল, রাজকাঁকড়া, শামুক-ঝিনুকসহ জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সৈকতে মোটরসাইকেল, সি-বাইকসহ সব ধরনের মোটরচালিত যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। প্লাস্টিক ও পলিথিন ব্যবহারেও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
পরিবেশ অধিদপ্তরের কক্সবাজার কার্যালয় উপপরিচালক খন্দকার মাহবুব পাশা প্রথম আলোকে বলেন, দ্বীপে ভ্রমণের ক্ষেত্রে সরকারের ১২ দফা নির্দেশনা কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। কিউআর কোড সংযুক্ত টিকিট ছাড়া কাউকে জাহাজে উঠতে দেওয়া হচ্ছে না। দৈনিক দুই হাজারের বেশি পর্যটকও যেতে পারবেন না। যাত্রীরা প্লাস্টিক বা পলিথিন বহন করছেন কি না, তা জাহাজে ওঠার আগেই তদারকি হচ্ছে।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার অঞ্চলের প্রধান ও অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ বলেন, সেন্ট মার্টিন যাতায়াত ও দ্বীপে পর্যটকদের নিরাপত্তায় ট্যুরিস্ট পুলিশ কাজ করছে। পাশাপাশি পরিবেশ সংরক্ষণেও নজরদারি চলছে।
উল্লেখ্য, ১৯৯৯ সালে সেন্টমার্টিন দ্বীপকে প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা (ইসিএ) ঘোষণা করা হয়। সর্বশেষ ২০২৩ সালের ৪ জানুয়ারি বন্য প্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন অনুযায়ী, দ্বীপসংলগ্ন বঙ্গোপসাগরের ১ হাজার ৭৪৩ বর্গকিলোমিটার এলাকাকে সামুদ্রিক সংরক্ষিত এলাকা ঘোষণা করে পরিবেশ মন্ত্রণালয়।