প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে দুটি আন্তর্জাতিক পুরস্কার জয় ক্যাডেট রিফাতের
Published: 13th, December 2025 GMT
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অফিসার ক্যাডেট সাকিব আহসান রিফাত যুক্তরাজ্যের রয়্যাল মিলিটারি একাডেমি স্যান্ডহার্স্ট (আরএমএএস) থেকে প্রশিক্ষণ সফলভাবে সম্পন্ন করে দুটি মর্যাদাপূর্ণ আন্তর্জাতিক সম্মান ‘ইন্টারন্যাশনাল সোর্ড অব অনার’ এবং ‘ইন্টারন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড’ অর্জন করেছেন।
শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে। এর আগে, শুক্রবার অনুষ্ঠিত পাসিং-আউট প্যারেডে তাকে এই সম্মাননা প্রদান করেন হার রয়েল হাইনেস প্রিন্সেস অ্যান।
আইএসপিআর জানায়, বাংলাদেশের ইতিহাসে এই প্রথম কোনো অফিসার ক্যাডেট একইসঙ্গে এই দুই আন্তর্জাতিক পুরস্কারে ভূষিত হন। যুক্তরাজ্যসহ বিশ্বের ১৮টি দেশের ১৮৪ জন ক্যাডেট উক্ত প্রশিক্ষণে অংশ নেন। এর মধ্যে ১৫৭ জন যুক্তরাজ্যের এবং ২৭ জন বিভিন্ন দেশ থেকে আগত।
অফিসার ক্যাডেট রিফাত সব বৈদেশিক ক্যাডেটের মধ্যে সেরা চৌকস ক্যাডেট হিসেবে মর্যাদাপূর্ণ ‘ইন্টারন্যাশনাল সোর্ড অব অনার’ অর্জন করেন। পাশাপাশি একাডেমিক ও সামরিক বিষয়ে সামগ্রিক সর্বোচ্চ ফলাফলের ভিত্তিতে পুরো কোর্সে তৃতীয় স্থান এবং আন্তর্জাতিক ক্যাডেটদের মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করেন, যার পরিপ্রেক্ষিতে তাকে ‘ইন্টারন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান করা হয়।
অফিসার ক্যাডেট রিফাত গত বছরের ২৫ নভেম্বর থেকে গত চলতি বছরের ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত যুক্তরাজ্যে ক্যাডেট প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেন। তিনি ২০২২ সালে কুমিল্লা ক্যাডেট কলেজ থেকে এইচএসসি উত্তীর্ণ হয়ে বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমির ৮৯তম বিএমএ দীর্ঘমেয়াদি কোর্সে অফিসার ক্যাডেট হিসেবে যোগদান করেন। বিএমএ-তে তার অসামান্য মেধা ও যোগ্যতার স্বীকৃতিস্বরূপ তাকে এক বছর মেয়াদি কমিশনিং কোর্সে অংশগ্রহণের জন্য রয়্যাল মিলিটারি একাডেমি স্যান্ডহার্স্টে পাঠানো হয়।
ঢাকা/রাজীব
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অফ স র ক য ড ট য ক তর জ য এক ড ম
এছাড়াও পড়ুন:
আইএসআইয়ের সাবেক প্রধানকে কারাদণ্ড: তিনি ও বিরোধী রাজনীতিকদের সামনে কী অপেক্ষা করছে
পাকিস্তানের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের সাবেক প্রধান ফয়েজ হামিদের ১৪ বছর কারাদণ্ড হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা লঙ্ঘন ও রাজনীতিতে হস্তক্ষেপের অভিযোগ আনা হয়েছিল। সামরিক আদালত তাঁর বিরুদ্ধে সাজা ঘোষণা দেওয়ার পর দেশটিতে অস্থিরতা সৃষ্টিতে তাঁর কথিত ভূমিকা নিয়ে নতুন করে আলাপ–আলোচনা শুরু হয়েছে।
বিশেষ করে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) যখন ইঙ্গিত দিয়েছে, এ ঘটনায় নাম না জানা রাজনৈতিক নেতারাও জড়িত। এর পেছনে আরও বড় ও গুরুতর ষড়যন্ত্র রয়েছে।
আইএসপিআরের বিবৃতিতে সামরিক আইনের অধীনে ফয়েজ হামিদের সাজার বিষয়টি তুলে ধরা হলেও সবার নজর কেড়েছে শেষ অনুচ্ছেদটি।
বিবৃতিতে কোনো বিস্তারিত তথ্য না দিয়ে বলা হয়েছে, ‘স্বার্থান্বেষী রাজনৈতিক অস্থিরতা ও অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির জন্য দোষী সাব্যস্ত সাবেক এই সেনা কর্মকর্তার রাজনৈতিক গোষ্ঠীর সঙ্গে যোগসাজশ এবং অন্যান্য বিষয়ে সংশ্লিষ্টতা নিয়ে আলাদাভাবে কাজ করা হচ্ছে।’
আইএসপিআরের বিবৃতির এই ভাষা ইঙ্গিত দিচ্ছে, ফয়েজ হামিদ এবং নাম না জানা কিছু রাজনীতিবিদ দেশে অস্থিরতা তৈরির এক বৃহত্তর চেষ্টার সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
গত বছর থেকে সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে দেওয়া একাধিক বিবৃতির মধ্যে বিষয়টি সর্বশেষ সংযোজন, যাতে সন্দেহ প্রকাশ করে বলা হয়েছে, সরকারের বিরোধিতাকারী রাজনৈতিক গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে ফয়েজ হামিদের কথিত যোগসাজশ থাকতে পারে।
২০২৪ সালের ১৫ আগস্ট আইএসপিআর এক বিবৃতিতে জানিয়েছিল, স্বার্থান্বেষী রাজনৈতিক মহলের সঙ্গে যোগসাজশ ও অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির ইন্ধনে জড়িত থাকতে পারেন, এমন কিছু অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা ও তাঁদের সহযোগীদের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে।
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান