ফসলি জমিতে লাশ সদৃশ বস্তুর ভেতরে হাড়, লোহার টুকরা, সিঁদুর; এলাকায় চাঞ্চল্য
Published: 13th, December 2025 GMT
ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলায় ফসলি জমিতে কাফনের কাপড়ে মোড়ানো লাশ সদৃশ বস্তু উদ্ধার হয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় আতঙ্ক ও কৌতূহলের সৃষ্টি হয়েছে। বস্তুটির ভেতরে পাওয়া গেছে হাড়, লোহার টুকরা, সিঁদুর, কাঠসহ বিভিন্ন ধরনের উপকরণ। এলাকায় ছড়িয়েছে নানা গুঞ্জন ও চাঞ্চল্য।
আজ শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নগরকান্দা উপজেলার জুঙ্গুরদি গ্রামের বাসিন্দা নিজাম উদ্দিনের জমিতে এটি পাওয়া যায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিজাম উদ্দিনের জমিতে কাজ করছিলেন মাহাবুর রহমান নামের এক দিনমজুর। কোদাল দিয়ে মাটি খুঁড়তে গিয়ে তিনি হঠাৎ কাফনের কাপড় সদৃশ সাদা কাপড়ে মোড়ানো বস্তুটি দেখতে পান। তাৎক্ষণিকভাবে তিনি বিষয়টি জমির মালিককে জানান।
খবর পেয়ে আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে যান। একপর্যায়ে কৌতূহলী জনতার অনুরোধে কাপড় খোলা হয়। পরে ভেতরে মেলে হাড়, লোহার টুকরা, সিঁদুর ও কাঠসহ বিভিন্ন উপকরণ। পরে আতঙ্ক ও সংশয়ের কারণে বস্তুটি আবার জমির পাশের একটি স্থানে পুঁতে রাখা হয়েছে।
খবরটি ছড়িয়ে পড়লে দূরদূরান্ত থেকে মানুষ ঘটনাস্থলে ভিড় জমাতে থাকেন। বিষয়টিকে কেন্দ্র করে এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। কেউ কেউ দাবি করছেন, এটি কালো জাদু বা তান্ত্রিক কর্মকাণ্ডের অংশ। আবার কেউ বলছেন, এটি কোনো পুরোনো কুসংস্কারমূলক আচার। কেউ কেউ আবার ধারণা করছেন, এগুলো কোনো মৃতদেহের হাড় ও সিঁদুর হতে পারে।
তবে বস্তুটি আসলে কী, কে বা কারা এটি মাটির নিচে পুঁতে রেখেছিল—এ বিষয়ে এখনো নিশ্চিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
নগরকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেরাজ শারবীন বলেন, ‘বিষয়টি আমরা জেনেছি এবং পুলিশের সঙ্গে কথা বলেছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হচ্ছে। কারা বস্তুটি সেখানে রেখেছে এবং এর প্রকৃতি কী—তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
বিষয়টিকে রহস্যজনক উল্লেখ করে নগরকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসুল সামদানী বলেন, তিনি খবর পেয়েছেন। বস্তুটির ভেতরে হাড় ও সিঁদুর পাওয়া গেছে, তবে কোনো মৃতদেহ ছিল না।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: নগরক ন দ এল ক য় বস ত ট ব ষয়ট
এছাড়াও পড়ুন:
আলগী ও হামিরদী ইউনিয়নকে ফরিদপুর–৪ আসনে অন্তর্ভুক্ত করে গেজেট প্রকাশের নির্দেশ
ফরিদপুর-৪ আসনের অধীন ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ও হামিরদী ইউনিয়নকে কেটে ফরিদপুর-২ আসনের নগরকান্দা উপজেলার সঙ্গে জুড়ে দেওয়াসংক্রান্ত নির্বাচন কমিশনের (ইসি) গেজেটের অংশটুকু অবৈধ ঘোষণা করে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট।
পাশাপাশি হামিরদী ও আলগী ইউনিয়ন পরিষদকে ফরিদপুর–৪ সংসদীয় আসনে অন্তর্ভুক্ত করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গেজেট নোটিফিকেশন জারি করতে নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এক রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি হামিদুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ বৃহস্পতিবার এ রায় দেন।
রায়ের পর রিট আবেদনকারীদের আইনজীবী মোহাম্মদ হুমায়ন কবির প্রথম আলোকে বলেন, ফরিদপুরের-৪ আসনের অধীন ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ও হামিরদী ইউনিয়নকে কেটে ফরিদপুর-২ আসনের নগরকান্দা উপজেলার সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়েছিল। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) গেজেটের এই অংশটুকু অবৈধ ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে এই দুই ইউনিয়ন পরিষদকে আগের মতো ফরিদপুর–৪ সংসদীয় আসনে অন্তর্ভুক্ত করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গেজেট প্রকাশ করতে নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আলগী ও হামিরদী ইউনিয়নকে ফরিদপুর-২ আসনে জুড়ে দেওয়ার গেজেট গত ৪ সেপ্টেম্বর প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এর প্রতিবাদে গত ৫ সেপ্টেম্বর প্রথমে দুই মহাসড়ক অবরোধ করা হয়। সেদিনের কর্মসূচি থেকে তিন দিনের সময়সীমা বেঁধে যাওয়া হয়। কিন্তু দাবি বাস্তবায়ন না হওয়ায় ৯ সেপ্টেম্বর সকাল থেকে আবার অবরোধ শুরু হয়। এরপর তিন দিন সকাল-সন্ধ্যা অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হয়।
এদিকে ইসির ৪ সেপ্টেম্বরের প্রজ্ঞাপনকে চ্যালেঞ্জ করে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুর ৪ আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী মো. শহিদুল ইসলাম বাবুল ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মাহবুবুর রহমান দুলালসহ পাঁচজন গত ৯ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টে ওই রিট করেন। রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত ১৬ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট রুল দেন। রুলের ওপর শুনানি শেষে আজ রায় দেওয়া হয়।
আদালতে রিট আবেদনকারীদের পক্ষে আইনজীবী মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব শুনানি করেন। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মো. কাউছার, নাঈম সরদার ও আশরাফুল করিম। ইসির পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী হাবিবুর রহমান।