জবিতে ‘ই’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন, উপস্থিতি ৮১ শতাংশ
Published: 13th, December 2025 GMT
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) ২০২৫–২৬ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) ও বিবিএ প্রথম বর্ষের ‘ই’ ইউনিটের (চারুকলা অনুষদ) ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এতে মোট পরীক্ষার্থীর প্রায় ৮১ শতাংশ শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের নির্ধারিত কেন্দ্রগুলোতে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ৬০টি আসনের বিপরীতে এ বছর আবেদন করেন ১ হাজার ২৫১ জন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী। এর মধ্যে পরীক্ষায় অংশ নেন ১ হাজার ৮ জন। ফলে উপস্থিতির হার দাঁড়ায় ৮০ দশমিক ৫৮ শতাংশ।
আরো পড়ুন:
ঢাবির কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত
বেরোবিতে ঢাবির বি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত
ভর্তি পরীক্ষা চলাকালে কেন্দ্রগুলোর সার্বিক পরিস্থিতি পরিদর্শন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো.
এ সময় উপাচার্যের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমীন, চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক মোহা. আলপ্তগীন, বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মঞ্জুর মুর্শেদ ভূঁইয়া, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. শেখ মো. গিয়াস উদ্দিন, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক এবং পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসান।
এ ছাড়া শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. মোশাররাফ হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. রইছ উদ্দীন, অর্থ ও হিসাব দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. শেখ রফিকুল ইসলাম, গবেষণা সেলের পরিচালক অধ্যাপক ড. ইমরানুল হকসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে, হেল্প ডেস্কের কার্যক্রম তত্ত্বাবধান করেন জবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান হিমেল ও সদস্য সচিব শামসুল আরেফিন। ভর্তি পরীক্ষা উপলক্ষে শাখা ছাত্রদলের পক্ষ থেকে ক্যাম্পাসে একটি তথ্য ও সহায়তা কেন্দ্র স্থাপন করা হয়। হেল্প ডেস্ক থেকে পরীক্ষার্থীদের ব্যাগ, মোবাইল ফোনসহ প্রয়োজনীয় সামগ্রী টোকেন নম্বরের মাধ্যমে সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়। পাশাপাশি পরীক্ষার কেন্দ্র শনাক্তকরণ, চারুকলা অনুষদের ভর্তি পরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম সংগ্রহে সহায়তা, দেরিতে পৌঁছানো পরীক্ষার্থীদের বাইকযোগে কেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়া, বিশুদ্ধ খাবার পানি সরবরাহ এবং অভিভাবকদের বসার সুব্যবস্থা রাখা হয়।
শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. তৌহিদ চৌধুরী বলেন, “বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল সব সময় সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাশে ছিল, আছে এবং থাকবে। সেই ধারাবাহিকতায় চারুকলা অনুষদের ভর্তি পরীক্ষা উপলক্ষে এই হেল্প ডেস্ক স্থাপন করা হয়েছে।”
ঢাকা/লিমন/জান্নাত
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর পর ক ষ র থ ইউন ট র ছ ত রদল উপস থ ত চ র কল র ভর ত
এছাড়াও পড়ুন:
অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনে যথাযথ প্রচারের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবা ফারজানা বলেছেন, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে যথাযথ প্রচারের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট উপলক্ষ্যে সরকারের প্রচার কার্যক্রমকে আরো গতিশীল ও জোরদার করতে হবে। বিশেষ করে হ্যাঁ-না গণভোটের বিষয়টি জনগণকে বোঝানো বড় চ্যালেঞ্জ। ভোটের প্রস্তাবগুলো প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছে সহজবোধ্য করে তুলতে তিনি বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে নিযুক্ত জনসংযোগ কর্মকর্তা ও আঞ্চলিক তথ্য অফিসের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেন। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে বলে জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি কথা বলেন।
সচিবালয়ে তথ্য অধিদপ্তরের সম্মেলনকক্ষে তথ্য অধিদপ্তরের প্রধান তথ্য কর্মকর্তা মো. নিজামূল কবীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে নিযুক্ত জনসংযোগ কর্মকর্তা ও আঞ্চলিক তথ্য অফিসের কর্মকর্তাদের নিয়ে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে প্রচার কার্যক্রম বিষয়ক আলোচনা ও মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।
মাহবুবা ফারজানা বলেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট উপলক্ষ্যে নির্বাচন কমিশনের সাথে সমন্বয় করে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের যোগাযোগ কার্যক্রমকে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে বেশ কিছু কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। নির্বাচন উপলক্ষে ৩০টি জেলায় সাংবাদিকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। প্রতিটি বিভাগে একটি করে সেমিনার আয়োজন করা হবে। গুজব এবং অপতথ্য দূর করতেও তথ্য কর্মকর্তাদের বিশেষ ভূমিকা রাখতে হবে। এ সময় কর্মকর্তাদের নির্বাচনি আইন ও নিয়মকানুন সম্পর্কে জেনে নেওয়ার অনুরোধ জানান তথ্য সচিব।
তথ্য সচিব বলেন, গত ১৫ বছরের নির্বাচন নিয়ে জনগণের বহু তিক্ত অভিজ্ঞতা আছে। জনগণকে নির্বাচন এবং ভোটকেন্দ্রে আসার ব্যাপারে উৎসাহী করে তুলতে হবে; বিশেষ করে তরুণ, নারী ও অনগ্রসর অঞ্চলের ভোটারদের।
সচিব বিগত দিনগুলোতে বিভিন্ন প্রতিকূলতার মধ্যেও পেশাদারিত্বের সাথে সরকারের যোগাযোগ কার্যক্রম নিরবচ্ছিন্নভাবে চালিয়ে যাওয়ায় তথ্য অধিদপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা ও আঞ্চলিক তথ্য কর্মকর্তাদের প্রশংসা করেন।
ঢাকা/এএএম//