সবশেষ এশিয়া কাপের ফাইনালে খেলা বাংলাদেশ নারী অনূর্ধ্ব-১৯ দল রীতিমত উড়ছে। মালয়েশিয়াতে অনুষ্ঠিতব্য নারী অনূর্ধ্ব-১৯ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরুর আগে নিজেদেরকে দারুণভাবে ঝালিয়ে নিয়েছে ছোট বাঘিনীরা। প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে হারানোর পর আজ জয় পেয়েছে আসরের বর্তমান রানার্স-আপ ইংল্যান্ডের বিপক্ষেও।

নারীদের যেকোন পর্যায়ের কিংবা সংস্করণের ক্রিকেটে এটাই ইংলিশদের বিপক্ষে প্রথম জয় বাংলাদেশের।

দ্বিতীয় প্রস্তুতি ম্যাচটা জিততে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী দলের সামনে সমীকরণটা ছিল একদম সহজ। শেষ ওভারে মাত্র ৪ রান করতে হতো। উইকেটে ছিলেন ১৫ বলে ২০ রান করা সাদিয়া আক্তার ও ৪ বলে ৮ রান করা হাবিবা ইসলাম পিংকি। তবে এই সহজ সমীকরণ মেলাতে গিয়েই তালগোল পাকিয়ে ফেলে বাংলাদেশ দল। প্রথম বলেই রান আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন সাদিয়া।

আরো পড়ুন:

‘তামিম ভাইয়ের সঙ্গে কথা বললে আমার নিজের আত্মবিশ্বাসটাও বাড়ে’

ছোট সীমানা পেরিয়ে ‘আদর্শ ক্রিকেট’ মাঠে চট্টগ্রামের বিপিএল

পরের চার বল থেকে এসেছে মাত্র ২ রান। জিততে হলে শেষ বলে তাই এক রান করতে হতো বাংলাদেশের মেয়েদের। হাবিবা রান আউট হয়ে যাওয়ায় ১১৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নামা বাংলাদেশ অল আউট হয় ১১৩ রানেই। ফলে ম্যাচ গড়ায় সুপার ওভারে।

বাঁহাতি স্পিনার কোর্টিন কোলম্যানের করা সুপার ওভারে ১১ রান তোলে বাংলাদেশের মেয়েরা। যা আসে মূলত সাদিয়া আক্তারের ৩ বলে অপরাজিত ৮ রানের ইনিংসের সৌজন্যে। ওভারের চতুর্থ বলে ছক্কা মারেন এই ব্যাটার।

সেই ১১ রানের মধ্যে প্রতিপক্ষকে বেঁধে রাখার চ্যালেঞ্জে বাংলাদেশের হয়ে সুপার ওভারটি করেন পেসার হাবিবা আক্তার। টানটান উত্তেজনার সেই ওভারের শেষ বলে ইংল্যান্ডের দরকার ছিল ৪ রান। প্রিশা তানাওয়ালা ২ রানের বেশি নিতে পারেননি।

অনূর্ধ্ব-১৯ নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের এবারের আসরে বাংলাদেশ রয়েছে গ্রুপ ‘ডি’তে। যেখানে তাদের খেলতে হবে অস্ট্রেলিয়া, স্কটল্যান্ড ও নেপালের বিপক্ষে। মালয়েশিয়াতে ১৬ দলের বিশ্বকাপ শুরু হবে ১৮ জানুয়ারি, ফাইনাল হবে ২ ফেব্রুয়ারি।

ঢাকা/নাভিদ/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র ন কর

এছাড়াও পড়ুন:

ব্রাকসু কমিশনারের প্রতি ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী সংসদের অনাস্থা

রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচন (ব্রাকসু) কমিশনারের প্রতি অনাস্থা জানিয়েছে ‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী সংসদ’। সোমবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মিডিয়া চত্বরের দক্ষিণ পাশে সংবাদ সম্মেলনে এই অনাস্থা জানান তারা।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, শিক্ষার্থীদের বহুল প্রত্যাশিত ব্রাকসুর গঠনতন্ত্র অনুমোদন হলেও শুরু থেকে প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনের চরম অযোগ্যতা ও ব্যর্থতার কারণে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ আজ হাস্যকর বিষয়ে পরিণত হয়েছে। শিক্ষার্থীদের শীতকালীন ছুটির দাবি পাশ কাটিয়ে একটি গোষ্ঠীকে সুবিধা  দিতে গঠনতন্ত্র ও ভোটার তালিকায় অসংখ্য ভুলত্রুটি নিয়ে তড়িঘড়ি করে একটি বিতর্কিত নির্বাচনের দিকে এগোচ্ছে নির্বাচন কমিশন।

আরো বলা হয়, ব্যর্থতার দায় নিয়ে দুইবার পদত্যাগ ও একবার নির্বাচনী কার্যক্রম স্থগিত করার পর তারা কথা দিয়েছিলেন ভোটার তালিকায় বিদ্যমান ত্রুটিগুলো সংশোধন করে পরবর্তী কার্যক্রম চালিয়ে যাবেন। কিন্তু, অত্যন্ত দুঃখের বিষয়; তারা ত্রুটিগুলো নিয়ে আবারো অধিকাংশ শিক্ষার্থীর শীতকালীন ছুটির বিষয়টিকে উপেক্ষা করে একটি পক্ষের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে একটি প্রহসনমূলক নির্বাচনের নাটক মঞ্চস্থ করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে বিতর্কিত প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশন।

সংবাদ সম্মেলনে ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী সংসদের পক্ষ থেকে ছয়টি দাবি উল্লেখ করে বলা হয়, ক্যালেন্ডার অনুযায়ী শীতকালীন ছুটি বহাল রেখে যৌক্তিক সময়ে সব শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে উৎসবমুখর পরিবেশ অংশগ্রহণমূলক ব্রাকসু নির্বাচন হোক, ভোটার তালিকায় বিদ্যমান ত্রুটিগুলো সংশোধন করা হোক, প্রার্থীদের অবশ্যই ডোপ টেস্ট ও হল ক্লিয়ারেন্স নিতে হবে, নির্বাচনী আচরণবিধি দৃঢ়ভাবে কার্যকর করতে হবে, মেরুদণ্ডহীন নির্বাচন কমিশনের প্রতি আমরা অনাস্থা প্রকাশ করছি কারণ এই কমিশনের সুষ্ঠু অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেওয়ার সক্ষমতা নেই।

ঢাকা/‎সাজ্জাদ/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ