সুদানে সন্ত্রাসী হামলায় হতাহত বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের নাম-পরিচয় জানাল আইএসপিআর
Published: 14th, December 2025 GMT
সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনের ঘাঁটিতে সন্ত্রাসীদের ড্রোন হামলায় হতাহত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর শান্তিরক্ষীদের নাম-পরিচয় জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।
আজ রোববার দুপুরে আইএসপিআরের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া পোস্টে বলা হয়, সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনের আওতাধীন কাদুগলি লজিস্টিক বেজে গতকাল শনিবার স্থানীয় সময় বেলা ৩টা ৪০ থেকে ৩টা ৫০ মিনিটের মধ্যে বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র গোষ্ঠী ড্রোন হামলা চালায়। এ হামলায় দায়িত্বরত ছয়জন বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী শহীদ হন। আর আটজন শান্তিরক্ষী আহত হন।
শহীদ শান্তিরক্ষীরা হলেনকরপোরাল মো.
সৈনিক মো. মমিনুল ইসলাম, বীর (কুড়িগ্রাম)
সৈনিক শামীম রেজা, বীর (রাজবাড়ী)
সৈনিক শান্ত মন্ডল, বীর (কুড়িগ্রাম)
মেস ওয়েটার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম (কিশোরগঞ্জ)
লন্ড্রি কর্মচারী মো. সবুজ মিয়া (গাইবান্ধা)
আহত শান্তিরক্ষীরা হলেনলেফটেন্যান্ট কর্নেল খোন্দকার খালেকুজ্জামান, পিএসসি, অর্ডন্যান্স (কুষ্টিয়া)
সার্জেন্ট মো. মোস্তাকিম হোসেন, বীর (দিনাজপুর)
করপোরাল আফরোজা পারভিন ইতি, সিগন্যালস (ঢাকা)
ল্যান্স করপোরাল মহিবুল ইসলাম, ইএমই (বরগুনা)
সৈনিক মো. মেজবাউল কবির, বীর (কুড়িগ্রাম)
সৈনিক মোসা. উম্মে হানি আক্তার, ইঞ্জি. (রংপুর)
সৈনিক চুমকি আক্তার, অর্ডন্যান্স (মানিকগঞ্জ)
সৈনিক মো. মানাজির আহসান, বীর (নোয়াখালী)
আরও পড়ুনসুদানে সন্ত্রাসী হামলায় ৬ বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী নিহত, লড়াই চলছে১৫ ঘণ্টা আগেআইএসপিআরের পোস্টে বলা হয়, আহত আট শান্তিরক্ষীকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তাঁদের মধ্যে সৈনিক মেজবাউল কবিরের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় ইতিমধ্যে তাঁর সফল অস্ত্রোপচার সম্পন্ন করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। আহত অপর সাতজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য হেলিকপ্টারে করে স্থানান্তর করা হয়েছে। তাঁরা সবাই শঙ্কামুক্ত রয়েছেন।
আইএসপিআরের পোস্টে বলা হয়, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এ নৃশংস সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে। শহীদ শান্তিরক্ষীদের আত্মত্যাগ বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের অঙ্গীকারের এক উজ্জ্বল ও গৌরবময় নিদর্শন হয়ে থাকবে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে শহীদদের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানানো হচ্ছে। আহত ব্যক্তিদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুনসুদানে রক্তক্ষয়ী হামলা–সহিংসতায় জড়িত আরএসএফপ্রধান কে এই হেমেদতি১ ঘণ্টা আগেউৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: শ ন ত রক ষ সন ত র স
এছাড়াও পড়ুন:
আইএসআইয়ের সাবেক প্রধানকে কারাদণ্ড: তিনি ও বিরোধী রাজনীতিকদের সামনে কী অপেক্ষা করছে
পাকিস্তানের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের সাবেক প্রধান ফয়েজ হামিদের ১৪ বছর কারাদণ্ড হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা লঙ্ঘন ও রাজনীতিতে হস্তক্ষেপের অভিযোগ আনা হয়েছিল। সামরিক আদালত তাঁর বিরুদ্ধে সাজা ঘোষণা দেওয়ার পর দেশটিতে অস্থিরতা সৃষ্টিতে তাঁর কথিত ভূমিকা নিয়ে নতুন করে আলাপ–আলোচনা শুরু হয়েছে।
বিশেষ করে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) যখন ইঙ্গিত দিয়েছে, এ ঘটনায় নাম না জানা রাজনৈতিক নেতারাও জড়িত। এর পেছনে আরও বড় ও গুরুতর ষড়যন্ত্র রয়েছে।
আইএসপিআরের বিবৃতিতে সামরিক আইনের অধীনে ফয়েজ হামিদের সাজার বিষয়টি তুলে ধরা হলেও সবার নজর কেড়েছে শেষ অনুচ্ছেদটি।
বিবৃতিতে কোনো বিস্তারিত তথ্য না দিয়ে বলা হয়েছে, ‘স্বার্থান্বেষী রাজনৈতিক অস্থিরতা ও অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির জন্য দোষী সাব্যস্ত সাবেক এই সেনা কর্মকর্তার রাজনৈতিক গোষ্ঠীর সঙ্গে যোগসাজশ এবং অন্যান্য বিষয়ে সংশ্লিষ্টতা নিয়ে আলাদাভাবে কাজ করা হচ্ছে।’
আইএসপিআরের বিবৃতির এই ভাষা ইঙ্গিত দিচ্ছে, ফয়েজ হামিদ এবং নাম না জানা কিছু রাজনীতিবিদ দেশে অস্থিরতা তৈরির এক বৃহত্তর চেষ্টার সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
গত বছর থেকে সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে দেওয়া একাধিক বিবৃতির মধ্যে বিষয়টি সর্বশেষ সংযোজন, যাতে সন্দেহ প্রকাশ করে বলা হয়েছে, সরকারের বিরোধিতাকারী রাজনৈতিক গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে ফয়েজ হামিদের কথিত যোগসাজশ থাকতে পারে।
২০২৪ সালের ১৫ আগস্ট আইএসপিআর এক বিবৃতিতে জানিয়েছিল, স্বার্থান্বেষী রাজনৈতিক মহলের সঙ্গে যোগসাজশ ও অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির ইন্ধনে জড়িত থাকতে পারেন, এমন কিছু অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা ও তাঁদের সহযোগীদের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে।
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান