বৃদ্ধাশ্রমের গল্প উপজীব্য করে সরকারি অনুদানে নির্মিত হয়েছে ‘দায়মুক্তি’ সিনেমা। এটি পরিচালনা করেছেন বাণিজ্যিক সিনেমার সফল নির্মাতা বদিউল আলম খোকন। আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি দেশব্যাপী সিনেমাটি মুক্তি পাবে বলে জানিয়েছেন প্রযোজক মো. জসিম উদ্দিন।

মুক্তি উপলক্ষে গতকাল (৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি রেস্তোরাঁয় সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন প্রযোজক মো.

জসিম উদ্দিন, পরিচালক সমিতির মহাসচিব শাহীন সুমন, চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতির সভাপতি কামরুল হাসান দর্পণ, প্রযোজক সমিতির সাবেক সভাপতি খোরশেদ আলম খসরু, সাবেক সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম, পরিচালক সাফি উদ্দিন সাফি, গাজী মাহবুবসহ সিনেমাটির শিল্পী-কলাকুশলী ও অন্যান্য অতিথিবৃন্দ। তবে সিনেমাটির নায়ক সায়মন সাদিক দেশের বাইরে অবস্থান করায় অনুষ্ঠানে অংশ নিতে পারেননি।  

সংবাদ সম্মেলনে হাজির হতে না হতেই ভাইয়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে গ্রামের বাড়িতে ছুটে যান পরিচালক বদিউল আলম খোকন। উপস্থিত না হতে পারলেও লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, “বৃদ্ধাশ্রমের গল্প নিয়ে গড়ে উঠেছে ‘দায়মুক্তি’ সিনেমার কাহিনি। এতে উঠে এসেছে সমাজের সমসাময়িক একটি পরিচিত গল্প। মূলধারার বাণিজ্যিক সিনেমার বাইরে সেভাবে বলতে গেলে ‘দায়মুক্তি’ আমার প্রথম গল্পভিত্তিক সিনেমা। অনেকটা দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে কাজটি করছি। নতুন প্রজন্মসহ সকল শ্রেণির দর্শকদের সিনেমাটি দেখা উচিত।”

আরো পড়ুন:

উধাও পপির দেখা মিলল, সঙ্গে স্বামী-সন্তান

বাপ্পারাজের ‘হেনা’ নাঈমের ঘরে

সিনেমাটির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন সাইমন সাদিক, সুস্মী রহমান, সামিয়া নাহি, আবুল হায়াত, দিলারা জামান, সম্পা নিজাম, সুব্রত, সূচরিতা প্রমুখ।

রাইসা ফিল্ম প্রোডাকশনের ব্যানারে নির্মিত সিনেমাটির কাহিনি ও সংলাপ রচনা করেছেন কমল সরকার। মনিরুজ্জামান মনির ও কবির বকুলের লেখা দুটো গান রয়েছে। জাহিদ নিরব এবং আলী আকরাম শুভর সংগীতে গান দুটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন মনির খান, কোনাল ও সাব্বির নাসির।

ঢাকা/রাহাত/শান্ত

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র

এছাড়াও পড়ুন:

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ শিক্ষককে বরখাস্ত, পাঁচ শিক্ষার্থীকে নানা মেয়াদে শাস্তি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষককে বরখাস্ত, দুই শিক্ষার্থীর ছাত্রত্ব বাতিলসহ পাঁচজনকে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। গতকাল বুধবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এর আগে গত মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেটের ৫৪৪তম সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ফলিত রসায়ন ও রসায়ন প্রকৌশল বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক অনীক কৃষ্ণ কর্মকারকে তিন বছরের জন্য সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি তাঁকে আগামী ১০ বছর পরীক্ষাসংক্রান্ত সব কার্যক্রম থেকে বিরত রাখারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক প্রভাষ কুমার কর্মকার ও ফাইন্যান্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ হেদায়েত উল্লাহকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

পাঁচ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে নেওয়া ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে দুজনের ছাত্রত্ব বাতিল, একজনকে স্থায়ী বহিষ্কার ও দুই শিক্ষার্থীকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার। সিন্ডিকেট সভার তারিখ থেকেই এসব সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক আখতার হোসেন মজুমদার বলেন, ‘শিক্ষকদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগের ঘটনায় তদন্ত কমিটির সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে সিন্ডিকেট তাঁদের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমরা চাইছি শিক্ষার্থীদের নামগুলো গোপন থাকুক। কারণ, তাঁদের মধ্যে নারী শিক্ষার্থীও রয়েছে।’

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, সহযোগী অধ্যাপক অনীক কৃষ্ণ কর্মকারের বিরুদ্ধে নিয়োগ যোগ্যতার ফল না থাকা, শিক্ষার্থীদের হুমকিসহ নানা অভিযোগে গত অক্টোবরে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করেন। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে তাঁকে সাময়িক বহিষ্কারের পর চূড়ান্ত শাস্তি দেওয়া হলো।

অধ্যাপক প্রভাস কুমার কর্মকারের বিরুদ্ধে গত আগস্টের শুরুর দিকে এক ছাত্রীকে ব্যক্তিগত কক্ষে ডেকে যৌন হয়রানির অভিযোগ ওঠে। পরে এ ঘটনায় সুষ্ঠু বিচার চেয়ে ১৩ আগস্ট ভুক্তভোগী ছাত্রীর মা বিভাগের সভাপতি বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন। এ ঘটনা জানাজানির পর ওই বিভাগের শিক্ষার্থীরা তাঁকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের দাবিতে আন্দোলন করেন।

অন্যদিকে ১১ মে সহযোগী অধ্যাপক হেদায়েত উল্লাহকে বিভাগের এক শিক্ষার্থীর সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি কক্ষে অনৈতিক অবস্থায় আটক করা হয়। এ ঘটনা তদন্তে একটি উচ্চতর কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের সুপারিশ অনুযায়ী এ শাস্তির সিদ্ধান্ত নেওয়া নিল সিন্ডিকেট।

সম্পর্কিত নিবন্ধ