চাঁদপুরের মতলব উত্তর থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মো. ছাগির আহমেদ চৌধুরীকে সচিবালয়ের এক নম্বর গেট থেকে আটক করা হয়েছে। সচিবালয়ে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করতে গিয়ে তিনি আটক হন।
তিনি সাবেক শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন বলে জানা গেছে।
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বাংলাদেশ সচিবালয়ে মেয়াদোত্তীর্ণ পাস নিয়ে প্রবেশের সময় এক নম্বর গেট থেকে ছাগিরকে আটক করা হয় বলে জানান উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন।
তিনি বলেন, “বিষয়টি হলো তার প্রবেশ পাসের মেয়াদ নেই। তার গাড়ির স্টিকারও মেয়াদ উত্তীর্ণ। এরপরও তিনি সচিবালয়ে প্রবেশ করতে চাইলে আমার অফিসার তাকে গাড়িসহ আটক করেন।”
পরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিরাপত্তা শাখার উপ-সচিবের সাথে কথা বলে তাকে শাহবাগ থানায় সোপর্দ করা হয়। তাকে অবৈধ অনুপ্রেবশকারী হিসেবে আটক দেখানো হয়েছে।
সূত্র জানায়, আওয়ামী সরকারের সরকারের সাবেক শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির ঘনিষ্ঠ সহচর ছিলেন ছাগির। মেয়াদ উত্তীর্ণ এই প্রবেশ পাস নিয়ে তিনি একাধিকবার সচিবালয়ে প্রবেশ করেছেন।
সচিবালয় পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আটকের পর ছাগিরকে দুপুর পর্যন্ত সচিবালয়ের নিরাপত্তার দায়িত্ব নিয়োজিত সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার ফারহানা মৃধার অফিসে রাখা হয়। এরপর সচিবালয়ের নিরাপত্তা পরিদর্শক (আরআই) মো.
ঢাকা/হাসান/এসবি
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালতকে পৃথক করা হয়েছে, মামলাজট কমার আশা
দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালতকে সম্পূর্ণভাবে পৃথক করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয় আজ বৃহস্পতিবার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
আইন মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালতকে পৃথক করা হয়েছে। এর ফলে মামলা পরিচালনার সময় বাঁচবে এবং মামলার নিষ্পত্তি বহুলাংশে বৃদ্ধি পাবে।
জেলা আদালতগুলোতে যুগ্ম জেলা জজ, অতিরিক্ত জেলা জজ এবং জেলা জজ—এই তিন পর্যায়ের বিচারকেরা একই সঙ্গে দেওয়ানি ও ফৌজদারি (দায়রা) মামলার বিচার করেন। একই বিচারকের ওপর এই দ্বৈত দায়িত্ব মামলাজট এবং বিচারিক দীর্ঘসূত্রতার একটি প্রধান কারণ।
আইন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেশের অধস্তন আদালতগুলোতে বর্তমানে বিচারাধীন দেওয়ানি মামলার সংখ্যা প্রায় ১৬ লাখ এবং ফৌজদারি মামলা প্রায় ২৩ লাখ। ফৌজদারি মামলা দেওয়ানি মামলার তুলনায় বেশি হওয়া সত্ত্বেও ফৌজদারি বিচারককে উভয় ধরনের মামলা পরিচালনা করতে হয়। এর ফলে মামলা নিষ্পত্তির গতি হ্রাস পায় এবং মামলাজট বৃদ্ধি পায়।
এই বাস্তবতা বিবেচনায় পৃথক ২০৩টি অতিরিক্ত দায়রা আদালত এবং ৩৬৭টি যুগ্ম দায়রা আদালত প্রতিষ্ঠা করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। এই আদালতগুলোতে বিচারকেরা কেবল ফৌজদারি মামলার বিচার করবেন। ফলে বিচারকদের দ্বৈত দায়িত্বের অবসান ঘটাবে এবং বিচারিক কার্যক্রমে প্রত্যাশিত গতি তৈরি হবে। এই সিদ্ধান্তের ফলে বিদ্যমান মামলাজট উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পাবে বলে আশা করছে আইন মন্ত্রণালয়।