কুষ্টিয়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৮ নেতা বহিষ্কার
Published: 26th, February 2025 GMT
সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গসহ বিভিন্ন অভিযোগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কুষ্টিয়া জেলা ও কুমারখালী কমিটির আট নেতাকে বহিষ্কার ও পাঁচজনকে শোকজ করা হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা শাখার এক জরুরি সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত হয়।
গতকাল মঙ্গলবার রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কুষ্টিয়া জেলা শাখার আহ্বায়ক হাসিবুর রহমান ও সদস্য সচিব মোস্তাফিজুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বহিষ্কৃত নেতারা হলেন– কুষ্টিয়া জেলা শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক বায়েজিদ খান হিমু, সদস্য ইমরান খান রানা, কুমারখালী উপজেলা শাখার সংগঠক আতিকুল হাসান আসিফ, যুগ্ম সদস্যসচিব সাকিব হাসান সাব্বির, সদস্য রায়হান হোসেন, আপন, রাজু আহমেদ, রাতুল রায়হান।
শোকজ পাওয়া নেতারা হলেন– কুষ্টিয়া জেলা শাখার সংগঠক আশিক খান, সদস্য সাগর উদ্দিন, আমির হামজা, কুমারখালী উপজেলা শাখার সদস্যসচিব আসাদুজ্জামান খান আলী ও যুগ্ম আহ্বায়ক কাজল হোসেন। তাদের তিন দিনের মধ্যে শোকজ নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কুষ্টিয়া জেলা শাখার আহ্বায়ক হাসিবুর রহমান বলেন, সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গ করায় আটজনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এ ছাড়া সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গ, ঊর্ধ্বতন দায়িত্বশীলদের সঙ্গে অসদাচরণ ও বিভিন্ন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পাঁচজনকে শোকজ করা হয়েছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
সালিশে বেত্রাঘাত করায় সংঘর্ষ, ছাত্রদল নেতাসহ আহত ৬
বগুড়ার ধুনট উপজেলায় গ্রাম্য সালিশে বেত্রাঘাত ও জরিমানা করার জেরে সংঘর্ষে ছাত্রদল নেতাসহ ছয়জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার রাতে উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। পরে মামলা হলে পুলিশ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রবাসীর স্ত্রীর সঙ্গে গ্রামের এক যুবকের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এর জেরে বিয়ের দাবিতে যুবকের বাড়িতে অবস্থান নেন গৃহবধূ। ঘটনাটি স্থানীয়ভাবে মীমাংসার জন্য জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক এস এম জাকিরের নেতৃত্বে শুক্রবার রাতে সালিশ বৈঠক বসে।
বৈঠকে যুবককে দোষী সাব্যস্ত করে তাকে ৫০টি বেত্রাঘাত ও ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। বিষয়টি নিয়ে যুবকের বড় ভাই প্রতিবাদ করায় সংঘর্ষ হয়। এতে ছাত্রদল নেতা জাকিরসহ ছয়জন আহত হন। তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে জাকিরসহ দু’জনকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
অভিযুক্ত যুবকের বড় ভাই বলেন, ‘ছাত্রদল নেতা জাকির ও তার পরিবারের সদস্যদের অত্যাচারে এলাকার মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। তারা প্রভাব খাটিয়ে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে সুবিধা আদায় করছে।’
ছাত্রদল নেতা এস এম জাকির অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘পূর্বপরিকল্পিতভাবে আমাকেসহ আমার স্বজনের ওপর হামলা করে আহত করা হয়েছে।’ ধুনট থানার ওসি সাইদুল আলম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। এতে জড়িত সন্দেহে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।