সাত দফা দাবিতে সাড়ে তিন ঘণ্টা মহাসড়ক ও রেলপথ অবরোধের পর প্রশাসনের আশ্বাসে কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছে দিনাজপুর পলিটেকনিক ও বিভিন্ন বেসরকারি পলিটেকনিকের শিক্ষার্থীরা। 

বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১টা ২০ মিনিটে অবরোধ তুলে নিলে ট্রেন ও সড়ক যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়।

এর আগে সকাল সাড়ে ৯টায় শহরের ফুলবাড়ী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় রেলপথ অবরোধ করে তারা। পরে দিনাজপুর-গোবিন্দগঞ্জ মহাসড়কে বাঁশ ফেলে অবরোধ করেন।

রেলপথ অবরোধ করায় পঞ্চগড় থেকে ঢাকা ও রাজশাহীগামী দুটি ট্রেন আটকা পড়ে প্রায় দুই হাজার যাত্রী ভোগান্তিতে পড়েন। সেইসঙ্গে সড়ক অবরোধ করায় শহরের দুইপাশে কয়েকশত যানবাহন আটকা পড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।

দাবি আদায়ে সকাল ৯টা থেকে ফুলবাড়ী বাসস্ট্যান্ডে জড়ো হতে থাকেন পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরা। সাত দফা দাবি সম্বলিত বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড ও ব্যানার ফেস্টুন হাতে সড়কে বিক্ষোভ করেন তারা। মাইকে শিক্ষার্থরা তাদের দাবি নিয়ে বক্তব্য দেন।

সকাল ১১টায় সেখানে আসেন প্রশাসন ও পুলিশ সদস্যরা। অবরোধ চলাকালে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করেন। পরে জনদুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে শিক্ষার্থীরা কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন।

শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, দ্রুত দাবি বাস্তবায়ন না হলে তারা আরো কঠোর আন্দোলনে যাবেন।

শিক্ষার্থীদের দাবির মধ্যে রয়েছে, উপসহকারী প্রকৌশলীর পদ কেবল ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য রাখতে হবে, ৫০ শতাংশ পদোন্নতির ব্যবস্থা করতে হবে, ফিল্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের এবং ডেস্ক ইঞ্জিনিয়ারিং বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারদের দিয়ে যোগ্যতা অনুযায়ী কর্মক্ষেত্রে জায়গা দিতে হবে, টেকনিক্যাল ক্যাডার থেকে অন্যত্র স্থানান্তর বন্ধ করতে হবে, বিএসসি ও ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের অনুপাত ১ দশমিক ৫ নির্ধারণ করতে হবে এবং ল্যাব-ওয়ার্কশপ আধুনিকীকরণ, পর্যাপ্ত শিক্ষক, উপকরণ সরবরাহ, ক্রেডিট ট্রান্সফার চালুসহ মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিতসহ করতে হবে।

ঢাকা/মোসলেম/বকুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র লপথ অবর ধ

এছাড়াও পড়ুন:

আলোনসো যেভাবে রিয়ালকে ভয়ংকর এক দল বানালেন

সব ম্যাচ এক রকম হয় না। কিছু ম্যাচ শুধু জয়-পরাজয়ের হিসাব দেয় না, একটা নতুন অধ্যায়ের সূচনা করে। সেই ম্যাচের পর মনে হয়, দলের ভেতরে কিছু একটা বদলে গেছে। লা লিগায় এই মৌসুমের প্রথম এল ক্লাসিকো ছিল তেমনই এক ম্যাচ। রিয়াল মাদ্রিদ সে জয়টা উদ্‌যাপন করেছিল দারুণভাবে। যদিও সেটা কোনো শিরোপা জেতার ম্যাচ ছিল না। বড় ব্যাপার হলো, এমন জয়েও রিয়ালের মধ্যে আত্মতুষ্টি চলে আসেনি। বরং আরও লড়াই চালিয়ে যেতে উজ্জীবিত করেছে।

এল ক্লাসিকোর পর রিয়াল গতকাল রাতে মাঠে নেমেছিল ভ্যালেন্সিয়ার বিপক্ষে। এই ম্যাচেও জাবি আলোনসোর দল দেখিয়েছে একই তীব্রতা, শৃঙ্খলা আর জয়ের ক্ষুধা। সব মিলিয়ে এটা সম্ভবত আলোনসোর অধীনে রিয়ালের অন্যতম সেরা পারফরম্যান্স। কারণ, এই জয় শুধু ভালো খেলার নয়, দলের মানসিকতা ও কাঠামোগত পরিবর্তনের প্রতীকও।

চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত ১৪ ম্যাচের ১৩টিতে জিতেছে রিয়াল। লিগে ১১ ম্যাচের মধ্যে জয় ১০টিতে, চ্যাম্পিয়নস লিগে তিনের তিনটিতেই। এর মধ্যেই নিজেদের আলাদা একটা পরিচয় তৈরি করে ফেলেছে আলোনসোর রিয়াল।

আরও পড়ুনএমবাপ্পের আরেকটি গোল, নাম লেখালেন ডি স্টেফানো, রোনালদোদের পাশে ২০ অক্টোবর ২০২৫

শুধু কৌশলগত দিক থেকেই নয়, দার্শনিক ও মানসিক দিক থেকেও দলে পরিবর্তন আনতে পেরেছেন এই স্প্যানিশ কোচ। খেলোয়াড়রা এখন মাঠে আরও স্বতঃস্ফূর্ত, গতিময় এবং আত্মবিশ্বাসী। খেলোয়াড়েরা পরস্পরের সঙ্গে বোঝাপড়ায়ও যেন আগের চেয়ে আরও পরিণত। ফলাফল, রিয়াল এখন এমন এক দল, যারা প্রতিপক্ষকে দমিয়ে রাখার পাশাপাশি নিজেদের পরিকল্পনাও নিখুঁতভাবে বাস্তবায়ন করতে পারে।

এমবাপ্পে ও বেলিংহামের উদ্‌যাপন

সম্পর্কিত নিবন্ধ