মেডিকেল কলেজ বন্ধের প্রতিবাদে অবরোধ
Published: 16th, March 2025 GMT
হবিগঞ্জ মেডিকেল কলেজ বন্ধের প্রতিবাদে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় তাদের সঙ্গে স্থানীয় এলাকাবাসী ও সচেতন মহলের অনেকেই অংশ নেন। একই সঙ্গে তারা কলেজের স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণের দাবিও জানান।
রোববার দুপুরে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের শায়েস্তাগঞ্জ নতুন ব্রিজ গোলচত্বরে এ বিক্ষোভ সমাবেশ হয়। কর্মসূচিতে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে হাজারো মানুষ অংশ নেন। এতে মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সৃষ্টি হয় তীব্র যানজটের।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, শিক্ষার মান শিক্ষাসংক্রান্ত বিষয় দিয়ে বিচার করতে হয়। পরিবেশ আছে কিনা, পড়াশোনা হচ্ছে কিনা, শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার ফলাফল কী– এগুলো দিয়ে শিক্ষার মান বিচার করতে হয়। এখানে অবকাঠামো মুখ্য বিষয় নয়। শুধু অবকাঠামোর অজুহাতে মানহীন ট্যাগ লাগানো মোটেই সমীচীন নয়। সারাদেশে চিকিৎসা ব্যবস্থা এমনিতেই নাজুক। পারলে একটি মেডিকেল কলেজ বা ভালো মানের হাসপাতাল তৈরি করুন। একটি চলমান মেডিকেল কলেজ বন্ধ করে দেওয়া ঠিক নয়।
বক্তারা বলেন, হবিগঞ্জ জেলায় প্রায় ৩০ লাখ মানুষের বাস। তাদের চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করার অধিকার কারও নেই। যদি হবিগঞ্জ মেডিকেল কলেজ বন্ধের সিদ্ধান্ত হয়, তবে রেলপথসহ সব ধরনের রাস্তাঘাট অবরোধ করা হবে। সিলেটের
সঙ্গে সারাদেশের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হবে। স্বৈরাচারের দোসররা উস্কানিমূলক কাজের মাধ্যমে সরকার ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টির চেষ্টা করছে।
বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ইকরামুল ওয়াদুদের সভাপতিত্বে ও শামছুল হুদার পরিচালনায় কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন হবিগঞ্জ প্রেস ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মনসুর উদ্দিন আহমেদ ইকবাল, জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা মুখলেছুর রহমান, চুনারুঘাট উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান সৈয়দ লিয়াকত হাসানসহ স্থানীয় ব্যক্তিরা।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ম ড ক ল কল জ ব
এছাড়াও পড়ুন:
শিবচরে তরুণকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা, বিচারের দাবিতে মানববন্ধন
মাদারীপুরের শিবচরে জামিনে থাকা আসামি রাকিব মাদবরকে (২৫) প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। এতে ২২ জনকে এজাহারভুক্ত ও অজ্ঞাত আরও ৭ জনকে আসামি করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকালে নিহত ব্যক্তির চাচি পারুল আক্তার বাদী হয়ে শিবচর থানায় মামলাটি করেন।
এর আগে গত রোববার রাত আটটার দিকে শিবচর পৌর বাজারের প্রধান সড়কে একটি ব্যাংকের সামনে রাকিব মাদবরকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। রাকিব শিবচর উপজেলার চরশ্যামাইল এলাকার নাসির মাদবরের ছেলে। তিনি সরকারি বরহামগঞ্জ কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের স্নাতক শেষ বর্ষের ছাত্র ছিলেন।
দুই দিন পার হয়ে গেলেও এই ঘটনায় কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। এর প্রতিবাদে আজ দুপুরে শিবচর পৌর বাজারের সদর রোডে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থী ও স্থানীয় লোকজন। এ সময় বক্তারা বলেন, প্রকাশ্যে শত শত মানুষের সামনে হত্যাকাণ্ড কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। একটা সভ্য স্বাধীন দেশে এমন নৃশংস হত্যাকাণ্ড হতে পারে না। হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচার না করা হলে ভবিষ্যতে কঠোর আন্দোলনের ডাক দেবেন তাঁরা।
মামলার বাদী নিহত ব্যক্তির চাচি পারুল আক্তার বলেন, ‘রাকিবরে এতগুলো মানুষের সামনে কুপাইয়া মাইরা ফালাইলো। কেউ বাঁচাতে এগিয়ে আসলো না। যারা খুন করছে, তারা রাকিবের পূর্বশত্রু। আবুল কালাম সরদারের নির্দেশে তার লোকজন এই খুন করেছে। পুলিশ এ ঘটনায় কোনো আসামি এখন অবধি গ্রেপ্তার করে নাই। আসামিগো গ্রেপ্তার চাই, ফাঁসি চাই।’
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শিবচর উপজেলার শিরুয়াইল ইউনিয়নের চরশ্যামাইল গ্রামের আবুল কালাম সরদারের লোকজনের সঙ্গে নিহত রাকিব মাদবরের লোকজনের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে গত ৬ মে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে প্রতিপক্ষের হামলায় আবুল কালাম সরদারের ছেলে ইবনে সামাদ নিহত হন। ইবনে সামাদ হত্যা মামলার আসামি রাকিব সম্প্রতি জামিন নিয়ে জেল থেকে বের হয়ে এলাকায় আসেন। রোববার রাত আটটার দিকে শিবচর পৌর বাজারের একটি সড়কে দাঁড়িয়ে ছিলেন রাকিব। এ সময় ৪ থেকে ৫ জনের একটি দল ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁর ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। হাসপাতালে নেওয়ার পথে রাকিবের মৃত্যু হয়।
শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রকিবুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, প্রকাশ্যে হত্যার ঘটনায় ২২ জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে। নিহত ব্যক্তির স্বজন ও স্থানীয় লোকজন মানববন্ধন করে এ ঘটনার প্রতিবাদ ও বিচার দাবি করেছেন। আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য সব ধরনের চেষ্টা অব্যাহত আছে।
আরও পড়ুনশিবচরে হত্যা মামলায় জামিনে থাকা আসামিকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫