এনসিটিবির পাঠ্যবইয়ে কমিশন বাণিজ্যের অভিযোগে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম সদস্য সচিব গাজী সালাউদ্দীন তানভীরকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। 

সোমবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তার সচিবালয়ে যাওয়ার ছবি ভাইরাল হওয়ার পর দলের পক্ষ থেকে এ সিদ্ধান্ত এলো। এদিন রাতে এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব (দপ্তর) সালেহ উদ্দিন সিফাত স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। 

এতে বলা হয়, ‘গাজী সালাউদ্দীন তানভীর গত ১১ মার্চ দৈনিক ইনকিলাবে প্রকাশিত প্রতিবেদনে আপনার বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসক নিয়োগে অবৈধভাবে হস্তক্ষেপ এবং জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) এর পাঠ্যবই ছাপার কাগজে কমিশন বাণিজ্যের অভিযোগ উঠে এসেছে। এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় শৃঙ্খলা কমিটির প্রধানের নিকট আগামী ০৭ (সাত) দিনের মধ্যে লিখিতভাবে যথাযথ ব্যাখ্যা প্রদান করতে এবং আপনাকে কেন দল থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না জানতে চেয়ে কারণ দর্শানোর জন্য জনাব মো.

আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ও সদস্যসচিব জনাব আখতার হোসেন নির্দেশ প্রদান করেছেন।’

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, একইসঙ্গে সাংগঠনিক শৃঙ্খলা রক্ষার্থে প্রদত্ত পূর্ববর্তী মৌখিক সতর্কতা অমান্যের প্রেক্ষিতে শৃঙ্খলা কমিটির চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশের পূর্ব পর্যন্ত আপনাকে দলের সকল দায়িত্ব ও কার্যক্রম থেকে আহ্বায়ক জনাব মো. নাহিদ ইসলাম ও সদস্যসচিব জনাব আখতার হোসেনের নির্দেশক্রমে অব্যাহতি প্রদান করা হলো। 

গাজী সালাউদ্দীন তানভীর গত কয়েকমাস থেকে নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের জন্য সমালোচিত ছিলেন। শনিবার এনসিপির সাধারণ সভায় তাকে এ নিয়ে অন্যান্য নেতাদের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়। 

এরপর সাধারণ সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক রোববার দলের অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা রক্ষায় ১২ সদস্যের একটি উচ্চ ক্ষমতার শৃঙ্খলা কমিটি গঠন করা হয়। এর মধ্যে সোমবার ফেসবুকে ফের গাজী সালাউদ্দীনকে সচিবালয়ে যাওয়ার ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হলে সমালোচনা তৈরি হয়।পরে তাকে সাময়িক অব্যাহতির ঘোষণা এলো। 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: এনস প এনস প সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

নীল সমুদ্রে দক্ষিণ আফ্রিকার নীল বেদনা, ভারত বিশ্ব চ‌্যাম্পিয়ন

অনুমিত চিত্রনাট্যই যেন অনুসরণ করল মুম্বাইয়ের ফাইনাল ম্যাচ। ভারতের জার্সি গায়ে দর্শকে ঠাসা গ্যালারি রূপ নিল নীল সমুদ্রে। ২২ গজে আরও একবার ভারতের আধিপত‌্য, শাসন। যেন শিরোপার পায়চারি অনেক আগের থেকেই। 

ব‌্যাটিংয়ে পর্বত ছুঁই-ছুঁই রান। এরপর স্পিনে ফুল ফোটালেন স্পিনাররা। দক্ষিণ আফ্রিকা লড়াই করল সাধ‌্যের সবটুকু দিয়ে। ব্যাটে-বলে সহজে হাল ছাড়ল না তারাও। হৃদয় জিতলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পাত্তাই পেল না। ভারতের শক্তি-সামর্থ‌্যের গভীরতার কাছে হার মানতেই হলো প্রোটিয়া নারীদের।

আরো পড়ুন:

৪১১ রানের টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৯ রানে হারল জিম্বাবুয়ে

কেন বিপিএল থেকে বাদ পড়ল চিটাগং কিংস

মুম্বাইয়ের নাভি স্টেডিয়ামের নীল সমুদ্রে সব আতশবাজি আজ রাতে ফুটল ভারতের বিশ্বকাপ  উদ্‌যাপনে। প্রথমবার ভারতের নারী ক্রিকেট দল ওয়ানডেতে বিশ্ব চ‌্যাম্পিয়ন। ৫২ রানের বিশাল জয় বুঝিয়ে দেয় হারমানপ্রীত কৌর, জেমিমা রদ্রিগেজ, দীপ্তি শর্মা কিংবা শেফালি বার্মা, স্মৃতি মান্ধানা, রিচা ঘোষরা ২২ গজকে কতটা আপন করে নিয়েছেন। শিরোপা জয়ের মঞ্চে ছাড় দেননি একটুও। ২০০৫ ও ২০১৭ বিশ্বকাপে যে ভুলগুলো হয়েছিল...সেগুলো আজ ফুল হয়ে ঝরল। 

বৃষ্টি বাঁধায় বিঘ্ন ম‌্যাচে আগে ব‌্যাটিংয়ে নেমে ৭ উইকেটে ২৯৮ রানের স্কোর পায় ভারত। ৪৫.৩ ওভারে অলআউট হওয়ার আগে ২৪৬ রান করতে পারে প্রোটিয়া নারীরা। নাডিন ডি ক্লার্ক শেষ ব‌্যাটসম‌্যান হিসেবে যখন আউট হলেন, স্টেডিয়ামের প্রায় ষাট হাজার ভারতীয় সমর্থকদের মুখে একটাই স্লোগান, চাক দে ইন্ডিয়া।

ওই জনসমুদ্রের স্লোগান, ‘ভারত মাতা কি জয়’, ‘বন্দে মাতরম’। 

বিস্তারিত আসছে …

 

ঢাকা/ইয়াসিন

সম্পর্কিত নিবন্ধ