ডাকাত দেখে আতঙ্কে অসুস্থ গৃহকর্তা, সেবাযত্ন করে সুস্থ করার পর লুট
Published: 29th, April 2025 GMT
গভীর রাতে দরজা ভেঙে ঘরে ডাকাত প্রবেশ করলে আতঙ্কে অসুস্থ হয়ে পড়েন ব্যবসায়ী সোবাহান হাওলাদার (৬০)। এ সময় ডাকাতরা তাকে পানি পান করিয়ে তার সেবাযত্ন করে। পরে তারা স্বর্ণালংকার, টাকা ও মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করে পালিয়ে যায়।
সোমবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার আমড়াগাছিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ আমড়াগাছিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ছাড়া একই বাড়ির সোবাহান হাওলাদারের ভাতিজা জহিরুল ইসলামের আধা পাকা ঘরের দরজা ভেঙে ডাকাত দল টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করেছে।
ভুক্তভোগীরা জানান, চিৎকার না করায় ডাকাতেরা তাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেনি। তাদের দাবি দুই ঘর থেকে সাড়ে তিন ভরি স্বর্ণালংকার, ৩৮ হাজার টাকা ও অন্যান্য মালামাল লুট করা হয়েছে।
জহিরুল ইসলাম বলেন, রাত দুইটার দিকে বৈরী আবহাওয়া ছিল। বৃষ্টির মধ্যে মুখোশ পরা একদল ডাকাত তার ঘরের দরজা ভেঙে প্রবেশ করে কাপড় দিয়ে সবার চোখ-মুখ বেঁধে ফেলে। তারা নিজেদের ডাকাত পরিচয় দেয় এবং ঘরের সব আসবাব তছনছ করে ১৮ হাজার টাকা ও আড়াই ভরি ওজনের স্বর্ণালংকার এবং অন্যান্য মালামাল নিয়ে পালিয়ে যায়।
সোবাহান হাওলাদার বলেন, ‘আমার পাকা দালানের দরজার সিটকিনি ভেঙে ঘরে ঢুকে ডাকাত দল। তারা নিজেদের ডাকাত পরিচয় দিলে আমি ভয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ি। এ সময় ডাকাতেরা আমাকে পানি খেতে দেয়। পরে একাধিক আলমারি ভেঙে ১ ভরি ওজনের স্বর্ণের চেইন, ১০ হাজার টাকা ও অন্যান্য মালামাল নিয়ে চলে যায়।’
সোবাহান হাওলাদার আরও বলেন, ‘আমি ও আমার স্ত্রী এ সময় ঘরে ছিলাম। ডাকাতরা আমাদের কোনো আঘাত করেনি, বরং আমি ভয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে তারা আমার সেবাযত্ন করে।’
মির্জাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শামীম হাওলাদার বলেন, তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ভুক্তভোগীরা অভিযোগ দিলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: স বর ণ ল ক র
এছাড়াও পড়ুন:
বকেয়া রিকশা ভাড়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে আহত ৫০
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে বকেয়া রিকশা ভাড়া আদায়কে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে নারীসহ অন্তত অর্ধশত ব্যক্তি আহত হয়েছেন। গত মঙ্গলবার সকালে সদর ইউনিয়নের কানাইপুর গ্রামের শান্তিনগরে এ ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষে আহত কয়েকজনের পরিচয় জানা গেছে। তারা হলেন– সদর ইউনিয়নের কানাইপুর গ্রামের রুহুল আমিন, জান্নাতুল বেগম, তাহমিনা বেগম, উজ্জ্বল মিয়া, ইকবাল মিয়া, সিতন মিয়া, উজ্জ্বল মিয়া (২), সুফিয়া বেগম ও উমর আলী। তাদের সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সকালে কানাইপুর গ্রামের শান্তিনগর এলাকার বাহার মিয়ার ছেলে রুহুল আমিন একই গ্রামের রুশন মিয়ার ছেলে আলমগীরের কাছে বকেয়া ৫০ টাকা রিকশা আদায় করতে যায়। এ সময় আলমগীর ভাড়া পরিশোধ না করে রুহুল আমিনের প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। তাদের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডার এক পর্যায়ে উভয় পরিবারের লোকজন ও স্বজনরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়রা সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে থানায় খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
রিকশাচালক রুহুল আমিন বলেন, ‘আমি আলমগীরের কাছে রিকশা ভাড়া আদায়ে গেলে সে আমাকে মারধর করে। প্রতিবাদ করলে সে আরও উত্তেজিত হয়ে দলবল নিয়ে এসে হামলা করে। আজকে (বুধবার) আবার এলে আমার আত্মীয়স্বজন প্রতিবাদ করতে জড়ো হন।’
আলমগীর মিয়া বলেন, ‘সে রিকশা ভাড়া চাইতে এসে আমাকে খারাপ ভাষায় গালাগাল করেছে। তাই তাকে শাসিয়েছি।’
নবীগঞ্জ থানার ওসি মো. কামাল হোসেন বলেন, পুলিশ উভয়পক্ষকে আবারও সংঘর্ষে জড়ানো থেকে নিবৃত্ত করেছে। কোনো পক্ষই থানায় অভিযোগ দেয়নি। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত আছে।