পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় একটি আবাসিক হোটেলে মোহাম্মদ তুহিন নামের এক পর্যটককে আটকে রেখে মারধরের অভিযোগে যুবদলের এক নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গতকাল বুধবার পটুয়াখালী জেলা যুবদলের উপদপ্তর সম্পাদক সৈয়দ ইকবাল হোসেনের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

ওই নেতার নাম বেলাল হোসেন। তিনি কুয়াকাটা পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি। অন্যদিকে পর্যটক তুহিন রাজধানী ঢাকার ডেমরা এলাকার বাসিন্দা।

ভুক্তভোগী, প্রত্যক্ষদর্শী ও দলীয় সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার মধ্যরাতে কুয়াকাটা পর্যটনকেন্দ্রে ‘ব্লু বার্ড’ নামের একটি আবাসিক হোটেলে পর্যটক তুহিনকে আটকে রেখে মারধর করা হয়। এ সময় তাঁর কাছ থেকে ৪০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি আরও ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন বেলাল হোসেন। পরে তুহিনকে হোটেলটির একটি কক্ষে তালাবদ্ধ করে রাখা হয়। এ সময় তিনি জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ কল করে তাঁকে উদ্ধারের অনুরোধ করেন। খবর পেয়ে দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে তুহিনকে উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে বেলালসহ চারজনকে আটক করা হয়। অন্য তিনজন হলেন সাকিব (২৪), রিয়াজ (২৫) ও ইউসুফ হাওলাদার (২৭)।

এ ঘটনায় তুহিন বাদী হয়ে চাঁদাবাজির মামলা করেন বলে জানান মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তরিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, ওই মামলা বেলাল ও তাঁর সহযোগীদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

বহিষ্কারাদেশের বিষয়ে পটুয়াখালী জেলা যুবদলের সভাপতি মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘যুবদলে কোনো দুষ্কৃতকারীর ঠাঁই হবে না। কেউ দলের শৃঙ্খলাবিরোধী কাজ করলে তাঁর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যার দৃষ্টান্ত বেলাল হোসেনের বহিষ্কার।’

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: য বদল র

এছাড়াও পড়ুন:

কুয়াকাটায় পর্যটককে আটকে রেখে মারধর ও চাঁদাবাজির অভিযোগে যুবদল নেতাকে বহিষ্কার

পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় একটি আবাসিক হোটেলে মোহাম্মদ তুহিন নামের এক পর্যটককে আটকে রেখে মারধরের অভিযোগে যুবদলের এক নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গতকাল বুধবার পটুয়াখালী জেলা যুবদলের উপদপ্তর সম্পাদক সৈয়দ ইকবাল হোসেনের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

ওই নেতার নাম বেলাল হোসেন। তিনি কুয়াকাটা পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি। অন্যদিকে পর্যটক তুহিন রাজধানী ঢাকার ডেমরা এলাকার বাসিন্দা।

ভুক্তভোগী, প্রত্যক্ষদর্শী ও দলীয় সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার মধ্যরাতে কুয়াকাটা পর্যটনকেন্দ্রে ‘ব্লু বার্ড’ নামের একটি আবাসিক হোটেলে পর্যটক তুহিনকে আটকে রেখে মারধর করা হয়। এ সময় তাঁর কাছ থেকে ৪০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি আরও ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন বেলাল হোসেন। পরে তুহিনকে হোটেলটির একটি কক্ষে তালাবদ্ধ করে রাখা হয়। এ সময় তিনি জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ কল করে তাঁকে উদ্ধারের অনুরোধ করেন। খবর পেয়ে দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে তুহিনকে উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে বেলালসহ চারজনকে আটক করা হয়। অন্য তিনজন হলেন সাকিব (২৪), রিয়াজ (২৫) ও ইউসুফ হাওলাদার (২৭)।

এ ঘটনায় তুহিন বাদী হয়ে চাঁদাবাজির মামলা করেন বলে জানান মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তরিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, ওই মামলা বেলাল ও তাঁর সহযোগীদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

বহিষ্কারাদেশের বিষয়ে পটুয়াখালী জেলা যুবদলের সভাপতি মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘যুবদলে কোনো দুষ্কৃতকারীর ঠাঁই হবে না। কেউ দলের শৃঙ্খলাবিরোধী কাজ করলে তাঁর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যার দৃষ্টান্ত বেলাল হোসেনের বহিষ্কার।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ