দিনাজপুরে সরকারি ভাতার কার্ড দিতে টাকার সঙ্গে ঘুষ নিলেন রাজহাঁসও
Published: 24th, November 2025 GMT
সরকারের ভিডব্লিউবি (ভালনারেবল উইমেন বেনিফিট) কর্মসূচির কার্ড করে দিতে ঘুষ হিসেবে টাকা ও বাড়ির রাজহাঁস নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) এক সদস্যের বিরুদ্ধে।
ওই ইউপি সদস্যের নাম আবুল কাসেম। তিনি দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার খট্টামাধবপাড়া ইউপির সদস্য। তিনি ওই ইউনিয়ন শাখা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক পদে আছেন।
ইউপি সদস্য আবুল কাসেম ভিডব্লিউবি কর্মসূচির কার্ড ছাড়াও মাতৃত্বকালীন, প্রতিবন্ধী, বয়স্ক, বিধবা ভাতা কার্ড এবং স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের পল্লী কর্মসংস্থান ও সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ কর্মসূচির (আরইআরএমপি) সদস্য করে দেওয়ার কথা বলে টাকা নিয়েছেন বলে অভিযোগ। তিনি বিভিন্ন সময়ে ওই ওয়ার্ডের ২০ থেকে ৩০ জন নারী-পুরুষের কাছ থেকে ২ হাজার থেকে ৩০ হাজার টাকা করে নিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা।
১৯ নভেম্বর খট্টামাধবপাড়া ইউনিয়নের বিলেরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা জাহিদ হাসান ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দেন। অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, চার মাস আগে তাঁর মা ভিডব্লিউবি কর্মসূচির একটি কার্ড করার জন্য ইউপি সদস্য আবুল কাসেমের কাছে যান। এ সময় ইউপি সদস্য তাঁর মায়ের নামে কার্ড করে দিতে চার হাজার টাকা চান। পরে তাঁর মা ইউপি সদস্যকে দুই হাজার টাকা দেন। বাকি দুই হাজার টাকা নিতে ইউপি সদস্যের স্ত্রী তাঁদের বাড়িতে যান এবং তাঁর মায়ের পালিত একটি বড় রাজহাঁস নিয়ে যান।
দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার ১নং খট্টামাধবপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের ৭নং ওয়ার্ডের সদস্য আবুল কাসেম.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
শহরের অবচেতনে হেমন্ত
ব্যস্ততার ছায়ায় দেখি সময়। প্রতিটি যাত্রা যেন এক নীরব অন্তর্গমন, যেখানে শরীর এগোয়, মন স্থির থাকে জানালার পাশে, অদৃশ্য কুয়াশার মতো।
হেমন্ত এখন শহরের অবচেতনে ঘুমিয়ে থাকা সফটওয়্যার যা কফির গন্ধে খুলে যায়, ই–মেইলের আলোয় জেগে ওঠে, আর দিন শেষে নিভে যায় ধূসর পর্দায়। এখানে ঋতু যেন মেমোরি লস, আর প্রকৃতি ডেটা ব্যাকআপ।
তবু কোথাও এক নিঃশব্দ কোডে, মাটির গন্ধ এখনো বেঁচে আছে। শহরের মানুষ জানে না, কখন রোদ্দুরের রং ফিকে হয়ে যায়, কখন শরীরে শিশির জমে ক্লান্তির মতো।
হেমন্ত এখানে আত্মিক সংযোগ—যেখানে চেতনা ধাতব, ইন্দ্রিয় কৃত্রিম; তবু কোনো এক স্থির মুহূর্তে মানুষ নিজের নিশ্বাস শুনে ফেলে, আর ভাবে—এই হালকা হিম, এই অদৃশ্য থেমে থাকা, সম্ভবত হেমন্ত।