টেকনাফে গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ, পরিবারের দাবি হত্যা
Published: 14th, May 2025 GMT
কক্সবাজারের টেকনাফের হ্নীলা থেকে আজ বুধবার ভোর চারটায় লুলুয়ান মারজান নামের এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। মারজানের স্বজনদের অভিযোগ, তাঁকে যৌতুকের দাবিতে হত্যার পর আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন শ্বশুরবাড়ির লোকজন। এ ঘটনার পর থেকে মারজানের স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন পলাতক। মারজান টেকনাফ উপজেলার হ্নীলার পূর্ব সিকদারপাড়ার মীর কাশেমের মেয়ে।
নিহত গৃহবধূর পরিবারের দাবি, বিয়ের পর থেকে পাঁচ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে আসছিলেন মারজানের স্বামী আব্বাস উদ্দিন। তা দিতে অস্বীকার করায় মারজানকে নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করা হয়।
আজ ভোর চারটার দিকে উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের রোজারঘোনা এলাকার শ্বশুরবাড়ি থেকে নিহত গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন।
পুলিশ ও মারজানের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, হ্নীলার মৌলভীবাজারের রোজারঘোনা এলাকার নুর আহাম্মদের ছেলে আব্বাস উদ্দিনের সঙ্গে একই ইউনিয়নের পূর্ব সিকদারপাড়ার মীর কাশেমের মেয়ে লুলুয়ান মারজানের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি তাঁরা পালিয়ে বিয়ে করেন। বিয়ের কিছুদিন যেতে না যেতেই স্ত্রীর কাছে যৌতুক হিসেবে পাঁচ লাখ টাকা দাবি করেন স্বামী আব্বাস। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে কয়েকবার ঝগড়াও হয়। এর জেরে গতকাল মঙ্গলবার রাতেই স্বামী আব্বাস মারজানকে মারধর করেন। এতে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
গৃহবধূর মেজ বোন আফরোজা আক্তার বলেন, স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন মিলে নির্যাতন ও মারধর করে মারজানকে হত্যা করেছেন। এখন তাঁরা বাঁচার জন্য আত্মহত্যা করেছেন বলে চালানোর চেষ্টা করছেন। এ ঘটনায় মামলায় প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
মারজানের স্বামী আব্বাস উদ্দিনের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তাঁর কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে টেকনাফ মডেল থানার ওসি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন বলেন, আজ ভোরে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে একটি কক্ষ থেকে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় লাশটি উদ্ধার করে। এরপর সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে লাশের ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে ওই সময় বাড়িতে স্বামীসহ কাউকে পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
গোপালগঞ্জে স্ত্রীকে তালাক দিয়ে ছেলেকে নিয়ে স্বামীর দুধ দিয়ে গোসল
গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে স্ত্রীকে তালাক দিয়ে দীর্ঘ ১২ বছরের দাম্পত্য জীবনের ইতি টেনেছেন স্বামী তাইফুল ইসলাম। আনন্দ প্রকাশ করে ছেলে মিনহাজ শেখকে (১০) সঙ্গে নিয়ে দুধ দিয়ে গোসল করেন তিনি। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, উপজেলার বাটিকামারী গ্রামের তাইফুল ইসলাম এক যুগ আগে ভাঙ্গা উপজেলার রোজিনা বেগমের সঙ্গে সংসার শুরু করেন। তবে সংসার জীবনে নানা ধরনের কলহ ও নির্যাতনের অভিযোগে সম্পর্ক দিন দিন তিক্ত হয়ে ওঠে। অবশেষে শুক্রবার (১৫ আগস্ট) বিকেল ৪টার দিকে তিনি স্ত্রীকে আনুষ্ঠানিকভাবে তালাক দেন। এর কিছুক্ষণ পর তিনি তার ছেলে মিনহাজ শেখকে সঙ্গে নিয়ে দুধ দিয়ে গোসল করেন। তবে তালাক পরবর্তী এমন ব্যতিক্রমী আচরণ এলাকায় কৌতূহলের জন্ম দিয়েছে।
তাইফুল ইসলাম দাবি করেন, গত ১২ বছর তারা বাবা-ছেলে ভীষণ কষ্টে দিন কাটিয়েছেন। নানাভাবে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে। স্ত্রীকে তালাক দিয়ে সেই অধ্যায়ের অবসান হয়েছে। তাই আনন্দ প্রকাশে তারা বাবা-ছেলে দুধ দিয়ে গোসল করেছেন।
আরো পড়ুন:
বাকৃবিতে বিশ্ব দুগ্ধ দিবস উদযাপন
বিশ্ব দুগ্ধ দিবস উপলক্ষে বাকৃবিতে নানা আয়োজন
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গ্রামবাসীর মতে, দাম্পত্য জীবনের কলহ এভাবে প্রকাশ্যে চলে আসা দুঃখজনক। তবে তালাক পরবর্তী এমন ব্যতিক্রমী আচরণ এলাকায় কৌতূহলের জন্ম দিয়েছে।
ঢাকা/বাদল/মেহেদী