ক্রেডিট কার্ডে যেসব সুবিধা দিচ্ছে প্রাইম ব্যাংক
Published: 23rd, May 2025 GMT
এক সময় বাংলাদেশে ক্রেডিট কার্ডকে মনে করা হতো শুধু উচ্চবিত্তের বিলাসিতা। সময়ের পরিবর্তনে এই চিত্র অনেকটাই বদলে গেছে। এখন ক্রেডিট কার্ড হয়ে উঠেছে একজন সচেতন নাগরিকের দৈনন্দিন জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আর্থিক লেনদেন, অনলাইন কেনাকাটা, ট্রাভেল বুকিং কিংবা জরুরি প্রয়োজনে ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার বেড়েছে উল্লেখযোগ্যভাবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২০২৫ সালের শুরুতে দেশে প্রায় ২০ লাখ সক্রিয় ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারকারী রয়েছেন। এই সংখ্যা প্রতিনিয়তই বাড়ছে।
বিশেষ করে তরুণ প্রজন্ম, অনলাইনভিত্তিক পেশাজীবী ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষ ক্রেডিট কার্ডকে তাদের প্রতিদিনের প্রয়োজন হিসেবে দেখছেন। করোনা-পরবর্তী সময়ে ক্যাশলেস লেনদেনের প্রবণতা বেড়ে যাওয়াও এর একটি অন্যতম কারণ।
বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যাংকগুলোর মধ্যে প্রাইম ব্যাংক অন্যতম, যাদের রয়েছে সব গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ী বিভিন্ন ক্যাটেগরির বহু সুবিধাসম্পন্ন ক্রেডিট কার্ড। প্রাইম ব্যাংকের কার্ড গ্রাহকরা তাদের ক্রেডিট কার্ডের বিল পরিশোধের জন্য সর্বোচ্চ ৫০ দিন পর্যন্ত সুদমুক্ত সময় পেয়ে থাকেন। কার্ডের বার্ষিক ফি মওকুফের ক্ষেত্রে মাত্র ১৫টি লেনদেনের মাধ্যেমেই গ্রাহকরা বার্ষিক ফি মওকুফের সুবিধা পেয়ে থাকেন, যা গ্রাহকদের কাছে ক্রেডিট কার্ডগুলোকে আরও সাশ্রয়ী করে তুলেছে।
লাইফস্টাইল সুবিধা হিসেবে ইএমআই, ইন্টারন্যাশনাল ইউজ, ডিসকাউন্ট, রিওয়ার্ড পয়েন্টস কন্ট্রাক্টলেস ট্রানজেকশনের পাশাপাশি অনলাইন ব্যাংকিং অ্যাপ মাইপ্রাইমের মাধ্যমে ক্রেডিট কার্ড থেকে যে কোনো অ্যাকাউন্টে ফান্ড ট্রান্সফার করা যায় নিমেষেই। এ ছাড়া কোনো ধরনের অতিরিক্ত চার্জ ছাড়া ওয়ালেট ট্রান্সফার ও টপ আপ সুবিধা তো আছেই।
ধানমন্ডিতে একটি বেসরকারি অফিসে কর্মরত রাফসান ফারদিন বলেন, ‘আমি প্রাইম ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করি, কারণ তাদের সার্ভিস খুবই ভালো। জরুরি সময়েও সহজে লেনদেন করতে পারি। সবচেয়ে ভালো লাগে যে, আমি মাসিক খরচ ট্র্যাক করতে পারি এবং ইএমআই সুবিধা থাকায় বড় কেনাকাটার সময় মানসিক চাপ থাকে না।’
ব্যবহারকারীরা জানিয়েছেন, ক্রেডিট কার্ড শুধু একটি লেনদেন মাধ্যম নয়, এটি এখন একটি ‘লাইফ ম্যানেজমেন্ট টুল’। হোটেল বুকিং, ফ্লাইট টিকিট কাটা, বিনোদনের জন্য আন্তর্জাতিক ওটিটি সাইটের মাসিক ফি পরিশোধসহ নানা গুরুত্বপূর্ণ কাজ তারা এখন সহজেই ঘরে বসে সম্পন্ন করছেন ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে। বিশেষ করে অনলাইন শপিং এবং সাবস্ক্রিপশন-ভিত্তিক সার্ভিসে ক্রেডিট কার্ডের চাহিদা এখন চোখে পড়ার মতো।
মানুষের কর্মচঞ্চল জীবনে সময় ও সাশ্রয়– দুটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়কে কেন্দ্র করে ক্রেডিট কার্ড হয়ে উঠেছে এক নির্ভরযোগ্য লেনদেন মাধ্যম। হোক তা মাসের শেষে অপ্রত্যাশিত খরচ সামলানো কিংবা ছুটির দিনে পরিবারকে নিয়ে হোটেলে অবকাশযাপন– সব ক্ষেত্রে ‘নিরবচ্ছিন্ন লাইফস্টাইল’ বজায় রাখতে ক্রেডিট কার্ড দিচ্ছে প্রয়োজনীয় সাপোর্ট।
এ প্রসঙ্গে প্রাইম ব্যাংকের ইভিপি ও হেড অব কার্ডস অ্যান্ড রিটেইল অ্যাসেটস জোয়ার্দ্দার তানভীর ফয়সাল জানান, ক্রেডিট কার্ড শুধু নিরাপদ ও ঝামেলামুক্ত লেনদেনই নিশ্চিত করে না, এর পাশাপাশি রিওয়ার্ড পয়েন্ট, ক্যাশব্যাক, ছাড় ইত্যাদি সুবিধার মাধ্যেমে গ্রাহক লাভবানও হতে পারেন। বিল পরিশোধের ক্ষেত্রেও আমাদের গ্রাহকরা সর্বোচ্চ সুদমুক্ত সুবিধা পেয়ে থাকেন। এ ছাড়া ভ্রমণের ক্ষেত্রে রয়েছে কম খরচে হোটেল ও টিকিট বুকিং, আন্তর্জাতিক এয়ারপোর্ট লাউঞ্জে বিনামূল্যে প্রবেশাধিকার ও মিট অ্যান্ড গ্রিট সার্ভিস। পাশাপাশি রয়েছে জরুরি প্রয়োজনে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ও
মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল ওয়ালেটে ফান্ড
ট্রান্সফার সুবিধা। এ সব কিছুই গ্রাহকের জীবনকে করেছে সহজ।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: সম দ ধ ব যবহ র ল নদ ন
এছাড়াও পড়ুন:
মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলা: নাহিদের জবানবন্দি পেশ
ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে জুলাই-আগস্টে ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ৪৭তম সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি পেশ করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক ও জুলাই আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া নাহিদ ইসলাম।
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ জবানবন্দি পেশ শেষ করেন নাহিদ। তিনি গতকাল জবানবন্দি পেশ শুরু করেন।
আরো পড়ুন:
মালয়েশিয়ায় পৌঁছেছেন নাহিদ ইসলাম
মালয়েশিয়া যাচ্ছেন নাহিদ ইসলাম
আজ বিকেলে তাকে জেরা করবেন এই মামলায় পলাতক শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন।
এ মামলায় প্রসিকিউসন পক্ষে আজ চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম ও গাজী এসএইচ তামিম শুনানি করেন। সেই সাথে অপর প্রসিকিউটররা শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন।
উক্ত মামলায় পলাতক শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে ছিলেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন। এ মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে পরে রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী যায়েদ বিন আমজাদ।
মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলায় শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে গত ১০ জুলাই অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।
একপর্যায়ে এ মামলায় দোষ স্বীকার করে ঘটনার সত্যতা উদঘাটনে (অ্যাপ্রোভার) রাজসাক্ষী হতে সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের আবেদন মঞ্জুর করেন ট্র্যাইব্যুনাল। পরবর্তীকালে এ মামলার ৩৬ তম সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দেন রাজসাক্ষী পুলিশের সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন।খবর বাসসের।
এ মামলাটি ছাড়াও শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে আরো দুটি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে একটি মামলায় আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে গুম-খুনের ঘটনায় তাকে আসামি করা হয়েছে। অন্য মামলাটি হয়েছে রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায়।
গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান দমনে আওয়ামী লীগ সরকার, এর দলীয় ক্যাডার ও সরকারের অনুগত প্রশাসনসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি অংশ গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করে বলে একের পর এক অভিযোগ জমা পড়ে। দুটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এসব অপরাধের বিচার কাজ চলছে।
ঢাকা/এসবি