বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে পূর্ব সুন্দরবনের নদ-নদীতে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে প্লাবিত হয়েছে বনাঞ্চলের অনেক উঁচু এলাকাও। হুমকির মুখে পড়েছে বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য।

বৃহস্পতিবার (২৯ মে) সকালে জোয়ারের পানিতে ভেসে যাচ্ছিল একটি হরিণ শাবক। তবে, বনকর্মীদের তৎপরতায় শাবকটি জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।

বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, সকাল ৯টার দিকে পূর্ব সুন্দরবনের শেলারচর টহলফাঁড়ি এলাকায় বনকর্মীরা একটি হরিণ শাবক পানির তোড়ে সাগরের দিকে ভেসে যেতে দেখেন। পরে তারা হরিণ শাবকটি উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে সুন্দরবনের নিরাপদ স্থানে অবমুক্ত করেন।

আরো পড়ুন:

বাজেটে ‘কৃষি-শিল্প-পাট-সুন্দরবন’ রক্ষায় পর্যাপ্ত বরাদ্দের দাবি

করমজলে বাটাগুর বাসকা কচ্ছপের ৬৫ বাচ্চার জন্ম

শ‍েলারচর টহল ফাঁড়ির কর্মকর্তা মোমিন শরীফ বলেন, “নিম্নচাপের প্রভাবে সুন্দরবনের নদ-নদীতে স্বাভাবিকের চেয়ে জোয়ারের পানির উচ্চতা বেড়েছে। জোয়ারের পানিতে একটি হরিণ শাবক ভেসে যাচ্ছিল। আমরা সেটিকে উদ্ধারের পর সুস্থ করে বনে অবমুক্ত করেছি।”

ঢাকা/শহিদুল/রাজীব

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ন দরবন স ন দরবন র

এছাড়াও পড়ুন:

সুন্দরবনে প্রবেশে তিন মাসের নিষেধাজ্ঞা

সুন্দরবনে প্রবেশে তিন মাসের জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ১ জুন থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত ওই বিধিনিষেধ বলবৎ থাকবে বলে সুন্দরবনের পশ্চিম বন বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে কোনো বনজীবীকে সুন্দরবনে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে না। সেইভাবে কোনো পর্যটকও এ সময়সীমায় সুন্দরবনে প্রবেশ করতে পারবে না। 

জীব ও প্রাণবৈচিত্র্য রক্ষার জন্য সুন্দরবনকে বিশ্রাম দিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে বন বিভাগ জানিয়েছে। এর আগে দুই মাস বা ৬০ দিনের জন্য সুন্দরবনে প্রবেশ নিষেধাজ্ঞা ছিল। তবে ২০২১ সালে মন্ত্রিপরিষদের সিদ্ধান্তে নিষেধাজ্ঞার সময়সীমা আরও ৩০ দিন বা এক মাস বাড়ানো হয়।

সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী রেঞ্জ কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান জানান, জুন, জুলাই ও আগস্ট মাসে সুন্দরবন থেকে সব ধরনের সম্পদ আহরণ ও ইকো ট্যুরিজম বন্ধ থাকবে। খুলনা বিভাগীয় বন কর্মকর্তা এ জেড এম হাছানুর রহমানের সই করা এক লিখিত নির্দেশনা তারা গত ২৩ মে হাতে পেয়েছেন। এর প্রেক্ষিতে বন বিভাগের সব অফিস ২৬ মে থেকে সুন্দরবনে প্রবেশের পাস (অনুমতিপত্র) দেওয়া বন্ধ রেখেছে। আগে পাস নিয়ে এখনও যারা সুন্দরবনে অবস্থান করছেন, তাদের ৩১ মের মধ্যে লোকালয়ে ফিরতে বলা হয়েছে।

হাবিবুর রহমান জানান, সারা বছর হাজার হাজার বনজীবী সুন্দরবন থেকে মাছ, কাঁকড়াসহ গোলপাতা ও মধু আহরণ করেন। তাই বনকে বিশ্রাম দেওয়ার মাধ্যমে সেখানকার প্রকৃতি, প্রতিবেশসহ জীব-প্রাণবৈচিত্র্য রক্ষায় প্রতি বছর তিন মাস এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। এ সময় বেকার সময় কাটানো সুন্দরবনে যাতায়াতকারী জেলেরা নির্দিষ্ট পরিমাণ চাল পাবেন। 
 

 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মুরগির খোপ থেকে অজগর উদ্ধার, পরে সুন্দরবনে অবমুক্ত
  • জোয়ারের পানিতে ভেসে আসা হরিণের বাচ্চা উদ্ধার
  • সুন্দরবনে প্রবেশে ৩ মাসের নিষেধাজ্ঞা
  • সুন্দরবনে প্রবেশে ১ জুন থেকে তিন মাসের নিষেধাজ্ঞা
  • সুন্দরবনে প্রবেশে তিন মাসের নিষেধাজ্ঞা