ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম টিটু বলেন, দীর্ঘ আন্দোলনের মাধ্যমে সৈরাচার হাসিনার পতনের পর ভেবেছিলাম দেশে গণতন্ত্র ফিরে আসবে। কিন্তু এখন তা উল্টো দেখছি। বর্তমান সরকারের উপর আওয়ামী লীগের পেতাত্না ভর করেছে।

আমরা সবাই মিলে জুলাই আন্দোলনে যুদ্ধ করেছি। সেই যুদ্ধে আমাদের অনেকে প্রান হারিয়েছে। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে আমরা সবাই একজোট ছিলাম। বর্তমান সরকারের কর্মকান্ডে আমাদের সরে আসতে হবে। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে আমাদেরকে আবারও যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। 

রোববার (১ জুন) বিকেলে ফতুল্লার লালখাঁ এলাকায় শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের শাহাদাৎ বাষিকী উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। 

এদিকে ফতুল্লা থানা বিএনপির কোষাধ্যক্ষ তৈয়বুর রহমানের সার্বিক তত্ত্বাবধানে শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান শাহাদাৎ বাষিকী পালনে ১০১ ডেক খিচুরী রান্না মানুষের মাঝে বিতরণ করে ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন। তৈয়বুর রহমানের অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে ফতুল্লার লালখাঁ, রামারবাগ, কাঠেরপুল এলাকা সহ কয়েকটি এলাকা রান্না করা ১০১ ডেক খিচুরী শান্তিপূর্ণ ভাবে বিতরণ করা হয়েছে। 

শহিদুল ইসলাম টিটু আরো বলেন, দেশের মাটিতে নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। নির্বাচন নিয়ে তালবাহানা করছে। তাই সৈরাচার হাসিনার বিরুদ্ধে যেভাবে আন্দোলন সংগ্রাম করেছি আগামীতেও আমাদেরকে প্রস্তুত থাকতে হবে। সাধারণ জনগনকে সাথে নিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে থাকতে হবে। যেকোন সময় আমাদের নেতা তারেক রহমান চুড়ান্ত আন্দোলনের জন্য ঘোষণা দিতে পারেন। সেই আন্দোলন হবে আমাদের চুড়ান্ত আন্দোলন।

গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা এবং নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মাধ্যমে অবাধ সুষ্ঠু একটি নির্বাচন উপহার দিবে। বর্তমান সরকারকে বলতে চাই আমাদেরকে জনগন ভোট দিয়ে ক্ষমতায় বসায় নাই। আপনাদেরকে বসানো হয়েছে একটি অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দেয়ার জন্য। দীর্ঘ ১৫ টি বছর এ দেশের জনগন ভোট দেয়া থেকে বঞ্চিত রয়েছে। 

টিটু আরো বলেন, শহিদ জিয়াউর রহমান এই দেশে বহু দলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে গড়ে রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়েছিলেন। জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর দেশ বিদেশি ষড়যন্ত্রের কারণে তাকে জীবন দিতে হয়েছে। জিয়াউর রহমান বেচে থাকলে আমাদের দেশ জাপান রাষ্ট্রের চেয়ে বেশি উন্নত হতো। আমাদের কাউকে টাকা খরচ করে চাকরির জন্য বিদেশে যেতে হতো না। 

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ফতুল্লার কুুতবপুর ইউনিয়ন ৯নং ওয়ার্ড বিএনপির নেতৃবৃন্দ সহ বিভিন্ন এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ব এনপ ন র য়ণগঞ জ র রহম ন র ব এনপ র আম দ র র জন য সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

দ্রুত নির্বাচনের গণতান্ত্রিক পরিবেশ তৈরি করুন: আকবর খান

ঢাকা-৮ আসনে দ্রুত নির্বাচনের গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টির আহ্বান জানিয়েছেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য আকবর খান। তিনি বলেন, “ভোটের অধিকার জনগণের পবিত্র আমানত, এটি সচেতনভাবে প্রয়োগ করতে হবে।”

বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) রাজধানীর মতিঝিলের বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও গণতন্ত্র মঞ্চের শীর্ষ নেতা জননেতা সাইফুল হক-এর ঢাকা-৮ আসনে নির্বাচনী গণসংযোগ ও প্রচারপত্র বিতরণ কর্মসূচিতে তিনি একথা বলেন।

গণসংযোগের শুরুতে ঢাকা মহানগর কমিটির সভাপতি মীর মোফাজ্জল হোসেন মোশতাকের সভাপতিত্বে এক সংক্ষিপ্ত পথসভা হয়। 

সেখানে আকবর খান বলেন, “নির্বাচন কমিশন ও সরকারকে অবিলম্বে ভোটের গণতান্ত্রিক পরিবেশ তৈরিতে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে। গত কয়েকটি জাতীয় নির্বাচনে—২০০৮, ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে—ঢাকা-৮ আসনের বহু নাগরিক ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। যে তরুণের এখন বয়স ২৫ বা ২৬, তারা কখনো ভোট দিতে পারেনি, ভোট কী তা জানে না- এটি গণতন্ত্রের জন্য গভীর উদ্বেগের বিষয়।”

তিনি আরো বলেন, “গত ১৬-১৭ বছর ধরে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি এবং আমাদের নেতা সাইফুল হক জনগণের ভোটাধিকারের আন্দোলনে রাজপথে সংগ্রাম করে আসছেন। এর জন্য জেল-জুলুম, নির্যাতন সহ্য করেও তিনি থেমে থাকেননি। ভোটাধিকার গণমানুষের দীর্ঘ লড়াই ও ত্যাগের ফসল। এই অধিকার ভুল ব্যক্তিকে নির্বাচিত করার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না।”

আকবর খান বলেন, “জননেতা সাইফুল হক গণমানুষের পরীক্ষিত নেতা। আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনের জনগণ যেন তাকে ভোট দিয়ে নিজেদের সুখ-দুঃখ, চাওয়া-পাওয়ার কথা ও দীর্ঘ বঞ্চনার ইতিহাস সংসদে তুলে ধরার সুযোগ করে দেন- এটাই আমাদের আহ্বান।”

গণসংযোগ ও প্রচারপত্র বিতরণ কর্মসূচি বাংলাদেশ ব্যাংক এলাকা থেকে শুরু হয়ে মতিঝিল, কমলাপুর, ফকিরাপুল, কালভার্ট রোড হয়ে বিজয়নগরে এসে শেষ হয়। এতে শতাধিক নেতাকর্মী অংশ নেন।

কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা সিকদার হারুন মাহমুদ, মীর রেজাউল আলম, কবি জামাল সিকদার, ফাইজুর রহমান মুনির, বাবর চৌধুরী, মহানগর নেতা যুবরান আলী জুয়েল, সালাউদ্দিন, রিয়েল মাতবর, আরিফুল ইসলাম, মুজিবুল হক চুন্নু, গোলাম রাজিব, মাহমুদুল হাসান খান, ফয়েজ ইবনে জাফর, নান্টু দাস, শিবু মহন্ত ও হুমায়ুন কবির প্রমুখ।

ঢাকা/এএএম/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠাই এখন জাতির দাবি
  • জনগণের বৃহত্তর ঐক্য ছাড়া এই ফ্যাসিস্ট ব্যবস্থার পতন হবে না: সাকি
  • দ্রুত নির্বাচনের গণতান্ত্রিক পরিবেশ তৈরি করুন: আকবর খান